বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সঙ্গীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল স্মরণে হতে যাচ্ছে “সব ক’টা জানালা খুলে দাও না” শীর্ষক অনুষ্ঠান। এর আয়োজন করেছে সৃজনশীল গানের দল ‘নিবেদন’। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্রে অনুষ্ঠানটি শুরু হবে।
আলোচনায় অংশ নেবেন সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম, শেখ সাদী খান, গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, বাচিক শিল্পী আশরাফুল আলম ও সমাজসেবী সাধনচন্দ্র দাস। সভাপতিত্ব করবেন নিবেদনের পরিচালক শিল্পী বিশ্বজিৎ রায়।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের জন্ম ১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি। ক্যারিয়ারে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেন তিনি। আগে ২০০১ ও ২০০৫ সালে সেরা সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি।
বিজ্ঞাপন
সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১০ সালে একুশে পদকে ভূষিত করা হয় আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান গুণী এই মানুষ। তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
বিশ্বখ্যাত পপ তারকা ডুয়া লিপা প্রতিবেশী দেশ ভারতের মায়ানগরী মুম্বাইয়ে পা রেখেছেন। আজ তিনি রাতে মুম্বাইয়ের এমএমআরডিএ, বিকে সি-তে অনুষ্ঠিত জোমাতো ফিডিং ইন্ডিয়া কনসার্টে অংশ নেবেন তিনি।
এবার মুম্বাই বিমানবন্দরে ডুয়া লিপাকে দেখা যায় একটি হলুদ টি-শার্ট এবং ব্যাগি প্যান্টে। পাপারাজ্জি ক্যামেরায় বন্দি করেছেন তার গাড়ির দিকে এগিয়ে যাওয়ার মুহূর্ত। এ সময় কেউ কেউ মজার ছলে বলছিলেন, ‘ডুয়া.. ডুয়া..দুয়া মে ইয়াদ রাখনা।’ বলিউডের জনপ্রিয় একটি গানের লাইন এটি। ফলে ডুয়া লিপার নামের সঙ্গে মিল রেখেই ভক্ত-পাপারাজ্জিরা গানটি গেয়ে উঠলেন, সেই মুহূর্তটি বেশ মজার ছিল।
এর আগে ডুয়া লিপা তার মুম্বাই কনসার্টের ঘোষণায় একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করে বলেছিলেন, ‘ভারত, আমি আবার আসছি! বছরের শুরুতে ভারতে আমার সফর আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছিল যে, আমি এই দেশটিকে কতটা ভালোবাসি। এখানকার মানুষজনের উষ্ণতা ও শক্তি অসাধারণ। আমি আবারও এখানে এসে পারফর্ম করতে মুখিয়ে আছি। দেখা হবে নভেম্বরে!’
এর আগে, ডুয়া লিপা তার পরিবারের সঙ্গে ভারতে এসেছিলেন। তিনি দিল্লি এবং রাজস্থান ঘুরে দেখেছিলেন। সেই সফরের স্মৃতি তুলে ধরে ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছিলেন, ‘বছর শেষে ভারতে থাকতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। এখানকার মানুষদের ভালোবাসা, উদারতা, আতিথেয়তা এবং সৌজন্যতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। এই অভিজ্ঞতা আমার জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। পরিবারসহ এখানে ঘুরে, নিজেকে পুনর্গঠন ও প্রস্তুত করার সুযোগ পেয়েছি। নতুন বছরের জন্য এখন পুরোপুরি রিচার্জড! কী দারুণ অনুভূতি!!!’
মুম্বাইয়ের আজকের কনসার্টে ডুয়া লিপার পাশাপাশি ভারতের শীর্ষস্থানীয় কিছু জনপ্রিয় গায়ক-গায়িকাও পারফর্ম কোর কথা রয়েছে।
গত চার বছরের প্রেমকে স্বীকৃতি দিতে চলেছেন নাগা চৈতন্য ও শোভিতা ধুলিপালা। আগামী ৪ ডিসেম্বর বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন এই জুটি। তার আগেই বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গতকাল (২৯ নভেম্বর) থেকে।
এদিন একেবারে দক্ষিণী রীতি অনুযায়ী গায়ে হলুদ সারলেন এই জুটি। হয়েছে মঙ্গলস্নানও। জুটির বেশ কিছু ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। ছবি নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ভিডিওটি। একটি ছবিতে দেখা যায়, পাশাপাশি বসে নিয়ম পালন করছেন শোভিতা ও নাগা। লাল শাড়ি আর সাবেকি গহনা পরেছেন শোভিতা। অন্যদিকে পাজামা-পাঞ্জাবিতে সেজেছেন নাগা চৈতন্য। তাদের চারপাশে পরিবারের সদস্যরা।
অন্য একটি ছবিতে দেখা যায়, নাগা চৈতন্য-শোভিতার শরীরে ফুলের বৃষ্টি। অন্য একটি ছবিতে শাড়িতে দেখা যায় শোভিতাকে। বড় একটি পাত্রের মধ্যে বসে আছেন তিনি। পরিবারের লোকজন ফুল আর পানি ঢালছেন তার ওপর।
এ ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “নাগা চৈতন্য-শোভিতার গায়েহলুদ।” তা ছাড়াও এসব স্থিরচিত্র ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নাগা চৈতন্যর বিয়ের নজরকাড়া এসব মুহূর্ত দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা।
আগামী ৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদে বিয়ে করবেন নাগা চৈতন্য ও শোভিতা। পারিবারিক সূত্রে প্রাপ্ত অন্নপূর্ণা স্টুডিওতে বসবে বিয়ের আসর। সেখানে বিশেষভাবে তৈরি করা হবে মণ্ডপ। আর সেখানেই বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন বলেও এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। তবে অনুষ্ঠান সভাস্থলের খবর প্রকাশ্যে এলেও কারা নিমন্ত্রিত, কেমন আয়োজন, তার কিছুই জানা যায়নি এখনও।
নাগা-শোভিতার বিয়ের দিন-তারিখ নিয়ে নানা সময়ে নানা খবর প্রকাশ্যে এসেছে। কিছুদিন আগে তাদের বিয়ের কার্ড অন্তর্জালে ভাইরাল হয়। তাতেও বিয়ের দিন ৪ ডিসেম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেননি নাগা কিংবা শোভিতা।
নন্দিত অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী শোভিতা ঢুলিপালারের সঙ্গে সম্পর্ক জড়ান নাগা চৈতন্য। বিষয়টি নিয়ে নানা গুঞ্জন চাউর হলেও কখনো মুখ খুলেননি তারা। গুঞ্জন মাথায় নিয়েই গত ৮ আগস্ট এ জুটি বাগদান সারেন।
অভিনয়ে ২৫ বছর হয়ে গেলো গুণী অভিনেত্রী গোলাম ফরিদা ছন্দার। গতকাল বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছে অভিনীত সিনেমা ‘ভয়াল’। দুটি প্রচার চলতি ধারাবাহিকেও নিয়মিত অভিনয় করছেন। সমসাময়িক বিষয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি-
২৫ বছরের অভিনয়জীবন, এ প্রসঙ্গে কী বলবেন?
প্রত্যেকের জীবনেই তো অপ্রাপ্তি থাকে। আমিও এর বাইরে নই। যখন নাটকে অভিনয় শুরু করলাম তখন থেকেই নিয়মিত চলচ্চিত্রের প্রস্তাব পেতাম। কিন্তু চলচ্চিত্রে তখন সময়টা একটু অস্থির ছিল। তার পরও নির্মাতারা বলতেন, আমার পছন্দ মতো চরিত্র দেবেন, গল্প নির্বাচন করবেন। তবে ভয়ে তাদের কথায় সায় দিতাম না। এখন মনে হয়, তখন যদি চলচ্চিত্রে কাজ করতাম আজ আমার অবস্থানটা আরো ওপরে হতো। তবে একেবারেই যে প্রাপ্তি নেই তা তো নয়। এখনো ‘সাকিন সারিসুরি’ নাটকের বাসন্তী বৌদি বলে ডাকে মানুষ। এই যে একটা চরিত্র এত দিন ধরে মানুষ মনে রেখেছে, এটাই বা কজনের ভাগ্যে জোটে। যেখানে মা হওয়ার পর মানুষ কাজ কমিয়ে দেয়, সেখানে আমি আরো বেশি কাজ করেছি। এটাও তো বড় পাওয়া। সবচেয়ে তৃপ্তি লাগে যখন ভাবি টাপুর আর টুপুরের কথা। ওরা পর্দায় হাজির হচ্ছে, মানুষ ওদের অভিনয় দেখে খুশি হচ্ছে—এটা আমাকে অনেক বেশি আনন্দ দেয়।
‘ভয়াল’ গতকাল মুক্তি পেলো। ছবিটি নিয়ে প্রত্যাশা কেমন?
গতকাল হলে গিয়ে ছবিটি দেখেছি। তখন দর্শকের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। শো শেষে অনেকেই বলেছেন যে, ছবিটি ভালো লেগেছে। এই ছবিতে পরিচালক বিপ্লব হায়দার আমাকে অন্য রকম একটা চরিত্র দিয়েছেন। আমিও চেষ্টা করেছি চরিত্রটিকে প্রপার রূপ দিতে। সরাসরি দর্শকের প্রতিক্রিয়া দেখে ভালো লেগেছে।
এটা আমাদের দেশে ইতিহাস। চার বছর ধরে নাটকটি করছি আমরা। যে মেয়েটি মূল চরিত্রে অভিনয় করছে চার বছর আগে সে ছোট ছিল। এখন অনেকটা বড় হয়েছে। চেহারায়ও পরিবর্তন এসেছে। তার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পর্দার চরিত্রেও পরিবর্তন এসেছে। আমার চরিত্রটির নাম রুনা খান। যে প্রথমে ছিল গৃহিণী, এরপর চাকরিজীবী, পরে সাংবাদিক ও উকিল হয়েছে। এই যে চরিত্রের বাঁক পরিবর্তন সেটা কিন্তু দর্শক পছন্দ করছে। নইলে তো এত দিন নাটকটি প্রচারিত হতো না। আমি নাট্যকারদের ধন্যবাদ দিতে চাই। সেই সঙ্গে নির্মাতা সাজ্জাদ সুমনও বাহবা পাবেন। তিনি নাটকের চরিত্রগুলোর জন্য সঠিক শিল্পী নির্বাচন করেছেন। আমরা যে কজন এই নাটকে অভিনয় করছি, প্রত্যেকেরই নাটকটির প্রতি ভালোবাসা আছে। সে কারণেই এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া সম্ভব হয়েছে। সবশেষে দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তারা নাটকটি এখনো ভালোবেসে দেখছেন।
নাটকটি জনপ্রিয় হওয়ার কারণ কী?
প্রথমত গল্পের প্লট ও নাম। দর্শকদের আকৃষ্ট করতে এটা খুব প্রয়োজন। এরপর অভিনয় শিল্পীদের পারফরম। এখানে যারা অভিনয় করেছেন প্রত্যেকেই চরিত্রটিকে সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন। এরপর বলতে হবে চিত্রনাট্যকারদের কথা। তাঁরা প্রতিটি পর্বেই দর্শকদের জন্য টুইস্ট রাখতে পেরেছেন। ফলে পরের পর্ব দেখার জন্য দর্শক আগ্রহ নিয়ে থাকেন।
আগের ও এখনকার ধারাবাহিক নাটকে কোন পার্থক্য চোখে পড়ে?
এটা বলতে গেলে সালাহউদ্দিন লাভলু ভাইয়ের ধারাবাহিকগুলোর প্রসঙ্গ টানতে হয়। তখনকার ধারাবাহিক মানেই আউটডোরের একটা ব্যাপার ছিল। ‘সাকিন সারিসুরি’ নাটকটির শুটিং করেছিলাম পুবাইলের একদম নতুন একটা স্পটে। সেখানে পৌঁছাতে হতো কিছুটা পায়ে হেঁটে আবার কিছুটা নৌকায় করে। আমরা বড় একটা লট একবারে শুটিং করতাম। বাজেটও থাকত অনেক। তখন লাভলু ভাই প্রধান প্রধাণ চরিত্রগুলোর জন্য আলাদা করে ইন্টারভিউ নিতেন। এমনও হয়েছে, চরিত্রের সঙ্গে মানানসই হয়নি বলে বড় বড় অভিনেতারাও বাদ পড়তেন। তখন দুপুরে লাঞ্চের পরে লাভলু ভাই এক ঘণ্টা করে বিশ্রামের সুযোগ দিতেন। এখন কি এসব কল্পনা করা যায়? এখন তো বাজেটই থাকে না। তার ওপর আগের যেমন মাটি ও মানুষের গল্প নিয়ে নাটক হতো এখন তো সেটাও হয় না। এখনকার গল্প অনেক ফার্স্ট। বলতে পারেন প্রাণ নেই। এখনকার নির্মাতাদের শুটিং করার আগেই মাথায় থাকে, নির্দিষ্ট টাকার মধ্যে সব কাজ শেষ করতে হবে। টাকার চিন্তা মাথায় থাকলে ক্রিয়েটিভিটি আসবে কোথা থেকে, বলেন? এই সময়ে লাভলু ভাইও কিন্তু নির্মাণ করছেন। সত্যি বলতে, তিনিও কিন্তু আগের সেই ধারায় নির্মাণ করতে পারছেন না। দুপুরের খাবারের পর বিশ্রাম, ইন্টারভিউ নিয়ে চরিত্র নির্বাচন—কিছুই তিনি করতে পারছেন না আগের মতো। কারণ একমাত্র বাজেট।
আপনার যমজ কন্যা টাপুর-টুপুরও অভিনয়ের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে...
ওরা কিন্তু নিয়মিত অভিনয় করে না। ভারতের দার্জিলিংয়ে পড়াশোনা করছে দুজন। যখন ছুটিতে দেশে আসে শুধু তখনই দু-একটা কাজ করে। সৌভাগ্যবশত ওদের প্রতিটি কাজই ক্লিক করেছে। দর্শক পছন্দ করেছে। আসলে আমি আর ওদের বাবা সতীর্থ রহমান ওদের স্ক্রিপ্টগুলো নির্বাচন করি। ওরা দার্জিলিং থাকা অবস্থায় অনেকগুলো স্ক্রিপ্ট জমা পড়ে আমাদের কাছে। সেখান থেকে বাছাই করে ওদের ছুটি অনুযায়ী শিডিউল তৈরি করি। ওরা দেশে এসে আগে আমাদের সঙ্গে স্ক্রিপ্টগুলো নিয়ে আলোচনা করে। তারপর শুটিং করে। মা হিসেবে বলব না, দর্শক হিসেবে আমি ওদের অভিনয়ের ভক্ত। পর্দায় ওদের পারফরম দেখে খুব তৃপ্তি পাই।
দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে নানা ধরনের ছবিতে নানা রকমের চরিত্রে অভিনয় করেছেন দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার সুপারস্টার আল্লু অর্জুন। তবে জাতীয় পুরস্কার উঠেছে ২০২২-এ ‘পুষ্পা’ ছবির জন্য।
অন্যদিকে, এই ছবির নায়িকা রাশমিকা মান্দানাও ক্যারিয়ারে সোনালি সময় পার করছেন। একের পর এক ধামাকা দিয়ে যাচ্ছেন। এর আগে ‘পুষ্পা’ দিয়ে প্যান ইন্ডিয়ান তারকার খেতাব জুটিয়ে নেন। এরপর গত বছর ‘অ্যানিমেল’ দিয়ে বলিউডেও নিজের আসন পাকাপোক্ত করেন।
এবার ‘পুষ্পা ২’ ঘিরে রয়েছেন ব্যাপক আলোচনায়। এমনকী সিনেমাটির জন্য জাতীয় পুরষ্কারও প্রত্যাশা করছেন অভিনেত্রী! গত ২৮ নভেম্বর ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভাল অব ইন্ডিয়ার সমাপনী আসরে উপস্থিত হন এ অভিনেত্রী। সেখানেই তার কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। সংবাদকর্মী তার কাছে জানতে চান, ‘পুষ্পা ২’ দিয়ে অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা আছে? রাশমিকার উত্তর, ‘আশা করছি।’
এদিকে, অভিনেত্রীকে ঘিরে আরও একটি আলোচনা চাউর হয়েছে শোবিজ অঙ্গনে। সেটি হচ্ছে, পারিশ্রমিক বাড়ছে রাশ্মিকার। ‘পুষ্পা ২’ মুক্তির পর নাকি তিনি হতে চলেছেন ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী! বেশ কিছুদিন ধরেই এই গুঞ্জন চলছে। তবে সে গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন রাশ্মিকা। অনুষ্ঠানে এ প্রসঙ্গে রাশ্মিকা বলেন, ‘বিষয়টির সঙ্গে আমি একমত নই। কারণ এটা সত্য নয়।’
৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে ‘পুষ্পা ২’। এবারও সিনেমাটিতে প্রধান ভূমিকায় রয়েছেন আল্লু অর্জুন। সঙ্গে রয়েছেন ফাহাদ ফাসিল ও রাশ্মিকা মান্দানা। এরই মধ্যে সিনেমাটি দর্শকের আগ্রহ তুঙ্গে। ট্রেলার থেকে গান, প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে হচ্ছে তুমুল চর্চা। এমনকি ট্রেলার প্রকাশের অনুষ্ঠানে লাখো দর্শকের ঢল দেখে অনেকেই ভাবছেন, বক্স অফিসে ফের চুরমার করতে আসছে ‘পুষ্পা’।
সুকুমার পরিচালিত ‘পুষ্পা ২ : দ্য রুল’ নির্মিত হয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি রুপিতে। তবে মুক্তির অনেক আগেই বিভিন্ন স্বত্ব বিক্রি করে সিনেমাটির আয় ছাড়িয়ে গেছে এক হাজার কোটি রুপি! বক্স অফিস বিশ্লেষকদের ধারণা, বড়সড় চমক দেখাতে চলেছে সিনেমাটি।