‘স্মরণের জানালায় দাঁড়িয়ে তুমি আমায় ডেকো’



ড. মাহফুজ পারভেজ
প্রয়াত কণ্ঠশিল্পী লাকী আখন্দ / ছবি: সংগৃহীত

প্রয়াত কণ্ঠশিল্পী লাকী আখন্দ / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্মৃতির দরজায় মায়াবী আঙুলে কড়া নাড়ছেন তিনি, যে আঙুল একদা রোমান্টিক দ্যোতনা জাগিয়েছিল গিটারের তারে। স্বপ্নের মতো সুরেলা কণ্ঠে গেয়েছেন, ‘স্মরণের জানালায় দাঁড়িয়ে থেকে তুমি আমায় ডেকো!’

২১ এপ্রিলের স্মৃতি-সরণি বেয়ে তাকে আবার ভালোবেসে ডাক দিচ্ছে বাংলাদেশের সংগীতপ্রেমী মানুষ। ২০১৭ সালে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান অনন্য সংগীতশিল্পী লাকী আখন্দ।

সংগীতশিল্পী, সুরকার ও সংগীত রচয়িতা হিসেবে লাকী আখন্দের (৭ জুন ১৯৫৬- ২১ এপ্রিল ২০১৭) প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, তার সুরেলা গানগুলো খুবই বাণী নির্ভর। গানের কথাগুলো সুরের ইন্দ্রজালে ভেসে মানুষের গভীর-গহীন মর্মে প্রবেশ করে।

তিনি গেয়েছিলেন, ‘আমায় ডেকো না’, কিন্তু মানুষ তাকে বার বার কাছে ডাকছে। ‘হ্যাপি টার্চ’- এর হয়ে গানের কথা ও সুর সৃজন করেছিলেন তিনি অনুপম নিজস্বতায়, যে স্বকীয়তার কারণেই অনেকের মধ্যে তিনি হারিয়ে যাননি, স্বতন্ত্র পরিচিতিতে দীপ্ত হয়েছেন।

মৃত্যুর পরেও তার গানগুলো মায়াবী দোলা দিয়ে যায় বাংলাদেশের সংগীতের দিগন্তে।

আশির দশকের মাদকতাময় গানের নায়ক লাকী আখন্দের মৃত্যুতে সমকালীন বাংলাদেশের আধুনিক সংগীত জগতের একটি বিশেষ ঘরানার অবসান হয়েছিল। ‘এই নীল মণিহার’, ‘আবার এসেছে সন্ধ্যা’ ইত্যাদি হৃদয়স্পর্শী ও জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা দীর্ঘদিন রোগের সঙ্গে লড়াই করে যখন মারা যান, তখন তার বয়স ষাট হলেও তিনি ছিলেন লেলিহান তারুণ্যের সঙ্গীতময় আইকন।

তার মৃত্যু হয়েছিল শুক্রবার সন্ধ্যায়। রাজধানী ঢাকার প্রাচীনতম অঞ্চলে, যে ঢাকা ছিল তার জীবন ও কর্মের সর্বসময়ের পাদপীঠ। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা-সুরকার। সঙ্গীতযোদ্ধা লাকী আখন্দের দোসর ছিলেন অকাল প্রয়াত শিল্পী ও ভাই হ্যাপি আখন্দ। হ্যাপির মৃত্যুতে একাই গিটার হাতে বছরের পর বছর সুর তুলেছেন তিনি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ব্যান্ড মিউজিকের প্রাথমিক উত্থানের সময় একটি আলাদা সংগীত প্রবাহ আনেন এই শিল্পী। উচ্চনাদ ও যন্ত্রের ব্যবহারের যুগে কণ্ঠের মাধুর্য, মিউজিক্যাল মেলোডি ও স্পর্শকাতর গায়কী দিয়ে তিনি তার সঙ্গীতের লালিত্যময় বৈশিষ্ট্যকে অটুট রাখেন।

লাকী আখন্দের সমকালে বিভিন্ন ব্যান্ড নিয়ে ফিরোজ সাঁই, ফকির আলমগীর, ফেরদৌস ওয়াহিদরা সুরের উন্মাতাল ইন্দ্রজাল তৈরি করছিলেন আর লাকী আখন্দ ছিলেন সবার চেয়ে আলাদা, অন্য রকম, তথাপি জনপ্রিয়। আরও পরে ব্যান্ড সঙ্গীতের এই ঘরানায় তপন চৌধুরী, শাফিন, হাসান, আইয়ুব বাচ্চু, মকসুদ, জেমস প্রমুখ শিল্পীর আবির্ভাব ঘটে। কিন্তু সবার চেয়ে আলাদা থেকে মোহময় সুরের বিস্তার ঘটান লাকী আকন্দ।

একটা নস্টালজিক, হারানো সময় ও স্মৃতি তাঁর গানে প্রাধান্য পায়। সুরের বিষণ্ন ঝরনাধারার মতো তাঁর গানের কথায় বেদনার টুপটাপ বৃষ্টির শব্দ শোনা যায়।
খুবই আত্মমুখী, নিভৃত ও একান্ত উচ্চারণ লাকী আখন্দের গানগুলোকে উচ্চকণ্ঠী সংগীত-ধারা থেকে বিশিষ্ট করে রাখে। অকালে নেশার নীল আঘাতে হারিয়ে যাওয়া ভাই হ্যাপি আখন্দের একটি ছায়া সব সময়ই তাঁর সঙ্গীত প্রচেষ্টায় প্রভাব বিস্তার করে রাখে।

তারুণ্যের বেদনাময় আর্তিকে তিনি আধুনিক আঙ্গিকে হৃদয়জ উচ্চারণে স্পষ্ট করতে থাকেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম। বৈশাখের এক সন্ধ্যায় নিজের গানে খোঁজা ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’র মতোই তিনি হারিয়ে যান। হারিয়ে গিয়েও তিনি তার গানের মধ্যে বর্ণিত একটি স্বর্ণালী রাতের নীল মণিহার হয়ে বেঁচে আছেন বাংলা সংগীতের সংখ্যাহীন শ্রোতার স্মৃতি ও সত্ত্বায়।

স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের প্রজন্মগুলোর সংগীত-তৃষ্ণা জাগাতে ও সংগীত-বোধ নির্মাণ করতে যারা ছিলেন অগ্রণী, লাকী আখন্দ তাদের অন্যতম। সদ্য-স্বাধীন বাংলাদেশের সংগীত জগতকে ধীরে ধীরে আরও অনেকের সঙ্গে তৈরি করেছিলেন তিনি। নাগরিক-সমাবেশ ও রেডিও-বিটিভি কেন্দ্রীক স্বল্পতম মিডিয়া কাঠামোতে আধুনিক গান, সুর ও মর্ডান মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্টের ছোঁয়া দিয়েছিলেন লাকী আখন্দ। বাংলাদেশের লোকজ ও চিরায়ত গানের সম্ভারে যুক্ত করেছিলেন বৈশ্বিক আধুনিকতার যোজনা।

লাকী আখন্দের গানগুলো আধুনিক ব্যক্তিজীবনের অস্তিত্বের বেদনাকে মূর্ত করেছিল। ব্যক্তি-মানুষ ও তার চেতনা ছিল তার গানের মূল ফোকাস। মানুষের আর্তি ও প্রত্যাশার সেতুবন্ধ হয়ে তিনি আবেদন জাগিয়ে ছিলেন সব সময়ের তারুণ্যের অন্তর্গত হৃদয়ে। যে কারণে মৃত্যুর পরেও তার গান প্রাসঙ্গিক। অসংখ্য শ্রোতা হৃদয়তাড়িত কণ্ঠে ‘স্মরণের জানালায় দাঁড়িয়ে’ তাকে আবার ডাকে। আধুনিক বাংলা গানের শ্রোতারা তাকে শুধু মৃত্যু বা জন্ম দিবসেই নয়, বার বার ডাকবে।

ড. মাহফুজ পারভেজ: কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম

   

হীরামান্ডির ‘আলমজেব’-এর পাশে দাঁড়ালেন রিচা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হীরামন্ডি সিরিজে রিচা চাড্ডা ও শারমিন সেহগাল

হীরামন্ডি সিরিজে রিচা চাড্ডা ও শারমিন সেহগাল

  • Font increase
  • Font Decrease

বড়পর্দার রূপালী মায়া কাটিয়ে ওটিটি জগতে এলেন খ্যাতিমান নির্মাতা সঞ্জয়লীলা বানসালি। তার প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘হীরামান্ডি : দ্য ডায়মন্ড বাজার’ মুক্তির পর থেকেই আলোচনায়। বিশাল আয়োজনে নির্মিত এই সিরিজ দর্শকের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাচ্ছে। তবে নেটফ্লিক্সে এটি বিপুল সাড়া পাচ্ছে।

‘হীরামান্ডি’র যে দিকটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা-নিন্দা হচ্ছে, তা হলো আলমজেব চরিত্র। এই চরিত্রে শারমিন সেহগালের অভিনয় দর্শকের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়েছে। শারমিনের অভিনয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল সমালোচনা হচ্ছে। এমনকি তাকে কাস্ট করার কারণে বানসালির বিরুদ্ধে ‘স্বজনপোষণ’র অভিযোগও তুলছে নেটিজেনরা। কারণ তিনি শারমিনের মামা।

মামা-ভাগ্নি সঞ্জয়লীলা বানসালি ও শারমিন সেহগাল

এবার নিন্দায় বিপর্যস্ত শারমিনের পাশে দাঁড়ালেন এই সিরিজেরই সহ-অভিনেত্রী রিচা চাড্ডা। ‘হীরামান্ডি’তে রিচার অভিনয় দারুণ প্রশংসা কুড়াচ্ছে। এমন সময় সাধারনত তারকারা এদিক সেদিক তাকান না। নিজের সফলতা উপভোগ করেন। বিপাকে জড়িয়ে নিজের দিকে সমালোচনার তীর আসুক সেটা তারা একেবারেই চান না। তবে রিচা বরাবরই আলাদা। তিনি স্পষ্ট ভাষায় কথা বলতে পছন্দ করেন। নিজের অনুভূতি কোন কিছুর চাপে দমিয়ে রাখার পাত্রী তিনি নন। এর আগেও রিচা তার ‘সর্বজিৎ’ সিনেমার কো আর্টিস্ট ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সমালোচনার মোক্ষম জবাব দিয়েছিলেন। তার সেই জবাব রীতিমতো ভাইরাল হয়।

 হীরামন্ডি সিরিজে লাজ্জো চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় ও নাচ পরিবেশন করেছেন রিচা

এবার হীরামন্ডি সিরিজের ‘আলমজেব’ চরিত্রের শারমিককে নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে রিচা বলেন, ‘সত্যি বলতে, এটা (সমালোচনা করা) দর্শকের অধিকার। তারা সিরিজটি পছন্দ করতে পারে, অপছন্দও করতে পারে। কারও অভিনয় ভালো লাগবে, আবার কারও কাজ ভালো লাগবে না। কিন্তু এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে মানুষ যেভাবে ট্রল করে, মিম বানায়, নিন্দা করে; আমার মতে এটা সবার জন্যই ক্ষতিকর। কারও প্রতি নির্দয় হওয়া উচিত নয়, কারণ আগামীকাল এমন কিছু আপনার সঙ্গেও ঘটতে পারে। এবং হ্যাঁ, প্রত্যেকেই মানুষ।’

মা হতে যাচ্ছেন রিচা। তার স্বামী বলিউড অভিনেতা আলী ফজল

‘হীরামান্ডি’ নির্মিত হয়েছে ১৯৪০-এর দশকের প্রেক্ষাপটে। তখন লাহোরে হীরামান্ডি নামের এলাকায় বাইজিপাড়া ছিল। সেখানকার ছয় বাইজিকে ঘিরেই এগিয়েছে সিরিজের গল্প। এর মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে ভারতের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ। সিরিজটিতে আরও আছেন মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহা, অদিতি রাও হায়দারি, সানজিদা শেখ, ফারদিন খান, শেখর সুমন, ফরিদা জালার প্রমুখ।

তথ্যসূত্র : বলিউড হাঙ্গামা

;

জয়িতার টেগর’স টেল-এ বুঁদ সাধারণ থেকে তারকা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
একক সংগীতানুষ্ঠান ‘‘টেগর’স টেল’’-এ গাইছেন জয়িতা

একক সংগীতানুষ্ঠান ‘‘টেগর’স টেল’’-এ গাইছেন জয়িতা

  • Font increase
  • Font Decrease

একজন স্কুল জীবনের বন্ধুর অনুভূতি দিয়ে শুরু করা যাক। মারুফা আজিজ উপমা লিখেছেন, ‘সেই স্কুল জীবন থেকে তোর গান শুনে আসছি, কিন্তু এবারের গান অন্যরকম ভালো লাগার। কারণ এবার তোর একক সংগীত সন্ধ্যায় ছিলাম আমরা। প্রতিটা মুহূর্তে আন্টিকে (প্রখ্যাত রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী শিল্পী মিতা হক) মিস করেছি, মাঝে মাঝে দেখে মনে হচ্ছিল আন্টিই গাইছেন। গর্বিত বাবা-মায়ের গর্বিত সন্তান।’

কথাগুলো যাকে নিয়ে লেখা হয়েছে তিনি ফারহিন খান জয়িতা। তরুণ প্রজন্মের রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী। যাকে এ প্রজন্মের অন্যতম মেধাবী রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী বলে মনে করেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা!

ফারহিন খান জয়িতা

জয়িতার আরেকটি পরিচয় আছে। তিনি একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রয়াত রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী ও শিক্ষক মিতা হক এবং মঞ্চ নাটকের যুবরাজ’খ্যাত খালেদ খানের একমাত্র কন্যা।

গত ১৭ মে ছুটির দিনে রাত ৮টা থেকে বনানীর যাত্রা বিরতির নতুন ঠিকানায় জয়িতার একক সংগীত সন্ধ্যা ‘টেগর’স টেলস’। সেই অনুষ্ঠান দেখতে টিকেট কেটে হাজির হন অনেকেই। তারমধ্যে শোবিজ তারকারাও ছিলেন।

এক ঘন্টা ৪৫ মিনিট জয়িতা একে একে গেয়ে গেলেন বাল্মীকি প্রতিভা, মায়ার খেলা, প্রেম পর্যায়ের গানগুলো।

অনুষ্ঠানে এক ফ্রেমে জয়িতা, তার স্বামী শাহিদ মুস্তাফিজ, অভিনেত্রী নাজনিন হাসান চুমকী, নাদিয়া আহমেদ ও তার মা

গান শুনতে গিয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী নাজনিন হাসান চুমকী। নিজের অনুভূতির কথা সোশ্যাল লিখেছেন এভাবে, ‘গত সন্ধ্যায় জয়িতার কণ্ঠে রবীন্দ্র সংগীতে বুঁদ হয়ে ছিলাম। জয়িতা সোনা, তোমার কণ্ঠে মধু আছে। আর উচ্চারণ, তোমার কাছ থেকে অনেক শেখার আছে। তুমি অতুলনীয়। তোমার জন্য শুভকামনা সকল সময়।’

জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী নাদিয়া আহমেদ অনুষ্ঠান শেষে ছোট ছোট কিছু ভিডিও ক্লিপিং শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘আমাদের জয়িতা। মিতা আপার সুযোগ্য কন্যা জয়িতা। ওকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার কিংবা ওকে নিয়ে বলবার কিছু নেই। শুধু বলবো, আজকে গান থেকে শুরু করে কয়েক লাইন আবৃত্তি এক অসাধারন মুগ্ধতার সন্ধ্যা কাটলো। যারা রবীন্দ্রপ্রেমী তাদের জন্য একটু শেয়ার করলাম। জয়িতা তুই একটা ভালবাসা।’

জয়িতার সঙ্গে সেমন্তী মঞ্জুরী ও তার স্বামী

নিজে রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী হয়ে আরেকজন রবীন্দ্র সংগীতশিল্পীকে নিয়ে সেমন্তী মঞ্জুরী লিখেছেন, ‘অনেকদিন পর দিদির এতগুলো গান শুনলাম! আনন্দঘন সময় কাটলো। গান তো ভালো বলতেই হয়। তবে আবৃত্তি শুনে বার বার মামার (জয়িতার বাবা অভিনেতা খালেন খান) চেহারাটা চোখের সামনে ভেসে উঠছিল। লাভ ইউ জয়িতা দিদি।’

মেধাবী নির্মাতা কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘কি অনবদ্য এক ঘন্টা পয়তাল্লিশ মিনিট কাটালাম! জয়িতা দোস্ত, তুমি সবার হৃদয় হরণ করেছ। তোমার গায়কী এবং গান নির্বাচন ছিলো এক কথায় পারফেক্ট। তুমি তো বটেই, তোমার যন্ত্রশিল্পীরাও অসাধারন পারফরমেন্স করেছেন গত রাতে। গান, নাচ, কবিতা সব মিলিয়ে অদ্ভূত সুন্দর একটা আবহ তৈরী হয়েছিলো। প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি আমি। এ ধরনের পরিবেশনা তোমার আরও বেশি বেশি করা উচিত।’

একক সংগীতানুষ্ঠান ‘‘টেগর’স টেল’’-এ অনবদ্য পরিবেশনা ছিল জয়িতার

শুধু এই তারকারাই নন, জয়িতার ফেসবুক জুড়ে আরও নানা পেশা, নানা বয়সের দর্শকের প্রশংসা বার্তা ছড়িয়ে আছে। টিকেট শেষ হয়ে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে জয়িতা আগের দিনই জানিয়েছেন, শিগগির আবার ফিরবেন এরকম আয়োজন নিয়ে।

;

ডিএ তায়েবকে তীক্ষ্ণ জবাব নিপুণের, নেবেন আইনি ব্যবস্থাও!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নিপুণ ও ডিএ তায়েব

নিপুণ ও ডিএ তায়েব

  • Font increase
  • Font Decrease

এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে এমনটাই মনে করছিলেন সবাই। অল্প কিছু ভোটে জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা নিপুণ হেরে যান খল নায়ক ডিপজলের কাছে। তখন তিনি বলেছিলেন, আমার অনেকগুলো ভোট নষ্ট হয়েছে। নয়ত ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো। তারপরও নিপুণ পরাজয় মেনে নিয়ে মিশ-ডিপজল প্যানেলকে বিজয়ের মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

তবে সেই নির্বাচনে এক মাস যেতে না যেতেই বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতে রিট করেন নিপুণ আক্তার। নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এই ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এরপরই শুরু হয় পক্ষে বিপক্ষে তর্ক-বিতর্ক।

শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি পদে জয়ী হওয়ায় ডিএ তায়েবকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন এক সহকর্মী

এরমধ্যে গেল বৃহস্পতিবার সমিতির কার্যকরী সভা শেষে বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব জানান, নিপুণের সদস্য পদ বাতিল হতে পারে। গণমাধ্যমে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন তিনি। তার সদস্যপদ কেন বাতিল করা হবে না, সেটি জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান কমিটি।

নিপুণ এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তার একমাত্র কন্যার কনভোকেশনে অংশ নিতে দেখা গেছে এই নায়িকাকে। তবে নিজের সদস্য পদ বাতিল হতে পারে এমন খবর ঠিকই তার কানে গেছে। আর তা শুনে মুখও খুললেন নিপুণ। তিনি বলেন, সদস্যপদের সঙ্গে কোর্টের কোনো সম্পর্ক নেই। রিট যেহেতু করেছি, ওনাদের কোর্টে আসতেই হবে। আর তিনি যদি সদস্যপদ খারিজ করতেই চায়, তাহলে সেটার জন্যও কোর্ট রয়েছে। দেশে তো আইন রয়েছে।

একমাত্র কন্যার কনভোকেশনে অংশ নিতে নিপুণ এখন যুক্তরাষ্ট্রে

ডিএ তায়েবের মন্তব্যের জবাবে নিপুণ বলেন, ডিএ তায়েবের মতো একদমই ফ্রি লোক না আমি। তিনি কি অভিনেতা? একজন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা? তার কোনো সিনেমা ব্লকবাস্টার? তিনি কি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অঙ্গনে নিজের নাম নক্ষত্রের সঙ্গে লিখেছেন? তার কাছে আমার প্রশ্ন রইল। আর তিনি আমাকে নিয়ে বলেছেন, আমার নাকি মানসিক সমস্যা রয়েছে। সেটার জন্য আমি দেশে আসার পর তার নামে সাইবার ক্রাইমে মামলা করব।

;

কানের রেড কার্পেটে এবার চার নায়িকাকে নিয়ে হাজির ভাবনা!



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা

  • Font increase
  • Font Decrease

অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী আশনা হাবিব ভাবনা জানেন কিভাবে তার প্রথম কান যাত্রা অর্থবহ করা যায়। তাই সিনেমা দেখা, বিশ্বের বিভন্ন দেশের চলচ্চিত্রকার ও তারকাদের সঙ্গে কথা বলাসহ নিজের পোশাকেও রেখেছেন বুদ্ধিদীপ্ততা।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা / ছবি : ফেসবুক

তার প্রতিদিনের পোশাক আলাদা আলাদা কারণে স্পেশ্যাল হয়ে উঠেছে। প্রথম দিন তিনি হাজির হন আন্তর্জাতিক তারকাদের মতো লম্বা টেলওয়ালা গাউনে। এর পরদিন ঢাকার কাক’কে পোশাকে উপস্থাপন করেন। তৃতীয় ঢাকাই জামদানির সঙ্গে রিকশা পেইন্টের মোটিফে তৈরী ব্লাউজ পরে নজর কাড়েন। এর পরদিন তিনি বেছে নেন দেশিয় বেনারসি শাড়ি কেটে তৈরী ভিন্নধর্মী গাউন।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা / ছবি : ফেসবুক

আর আজ প্রকাশ হয়েছে ভাবনার কান উৎসবের পঞ্চম দিনের সাজ। এটিও একটি বিশেষ কারণে নেটিজেনদের আগ্রহ কেড়ে নিয়েছে। ভাবনা এবার কালো অলসোল্ডার গাউনে হাজির হয়েছেন রেড কার্পেটে। পোশাকের কাটিং-প্যাটার্ণে আলাদা স্বকীয়তা না থাকলে নজর কেড়েছে পোশাকের দামান অংশের কাজ।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা / ছবি : ফেসবুক

সেখানে ফুলেল নকশার মাঝে মাঝে স্টোন দিয়ে কিছু লেখা চোখে পড়ছে। একটু ভালো করে খেয়াল করলেই দেখা যাবে তাতে লেখা চারটি নাম- ববিতা, সুর্বণা (সুবর্ণা মুস্তাফা), মেরিল স্ট্রিপ ও অড্রে হেপবার্ন।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা / ছবি : ফেসবুক

এই নাম চারটি নিয়ে আলাদা করে বুঝিয়ে বলার কিছুই নেই। সিনেমাপ্রেমী প্রত্যেকে এই চারটি নামের সঙ্গে বহুকাল ধরে পরিচিতি। এমনকি চারজনই সবার প্রিয় নারী তারকা। দুজন বাংলাদেশের, দুজন হলিউডের।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা / ছবি : ফেসবুক

এই চারজন ভাবনারও খুব প্রিয় অভিনেত্রী। তাই তাদের সম্মান দেখানোর জন্যই কানের মতো প্রসিদ্ধ মঞ্চে ভাবনা তার পোশাকে নামগুলো খোদাই করেছেন। পোশাকটি ডিজাইন করে দিয়েছেন তার ছোট বোন অদিতি।

;