প্রাযুক্তিক ত্রুটি কাটিয়ে অবশেষে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিল ভারতের দ্বিতীয় উচ্চশক্তি সম্পন্ন কৃত্রিম উপগ্রহ চন্দ্রযান-২।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২২ জুলাই) দুপুর ২টা ৪৩ মিনিটে চেন্নাই থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সতীশ ধাওয়ান অন্তরীক্ষ কেন্দ্রের দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড শ্রীহরিকোটা থেকে চন্দ্রযান-২ চাঁদের পথে উড়াল দেয়।
চমকপ্রদ তথ্য হলো- ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অরগানাইজেশনের (ইসরো) বিশেষ এই রকেটটির নামকরণ করা হয়েছে ভারতের জনপ্রিয় ছবি ‘বাহুবলী’র নামে। বিরল এই সম্মননা পাওয়ায় ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অরগানাইজেশনের (ইসরো) প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ‘বাহুবলী’ ছবি দুটির প্রধান অভিনেতা প্রভাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, “আজ ইসরোর চন্দ্রযান-২ এর সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে। ভারতীয় হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের কাছেই এটি গর্বের। সেই সঙ্গে ‘বাহুবলী’র সম্পূর্ণ টিমের জন্যও এটি গর্বের। এই রকেট কয়েশ টন ওজন বহন করতে পারবে, আর এমন শক্তিশালী চন্দ্রযানের নাম দেওয়া হল ‘বাহুবলী।”
নাট্য সংগঠন বটতলা এবং যাত্রিক-এর নন্দিত যৌথ প্রযোজনা ‘মার্ক্স ইন সোহো’ আবার মঞ্চে আসছে টানা পাঁচটি শো নিয়ে।
প্রখ্যাত আমেরিকান ইতিহাসবিদ ও তাত্ত্বিক হাওয়ার্ড জিন রচিত, জাভেদ হুসেন অনুদিত এবং নায়লা আজাদ নির্দেশিত এই নাটকটি প্রথম মঞ্চে আসে ২০২১ সালের অক্টোবরে।
মৃত্যুর প্রায় ১০০ বছর পরে কার্ল মার্ক্স কি সত্যি সোহোতে বা পৃথিবীতে ফিরেছেন? ফেরার প্রয়োজনীয়তাও কি আছে? এই যে পৃথিবীতে বাস করছি আমরা যেখানে নানা বৈষম্য বিদ্যমান, শ্রমিক তার ন্যায্য মজুরী থেকে বঞ্চিত, তার জীবন যেখানে মূল্যহীন, যেখানে মানুষের মধ্যে অসহিষ্ণুতা এবং ভেতরে ভেতরে চিৎকার- রাষ্ট্রযন্ত্র দ্বারা হঠাৎ হঠাৎ বাইরে বেরিয়ে আসা দু-একটি চিৎকারেরও টুটি চেপে ধরা- এমন অস্থির সময়ে মানুষের মুক্তি কোথায়? গোটা বিশ্ব যেখানে পুঁজিবাদের দাস, সেখানে কার্ল মার্ক্স কি ফিরছেন এসব থেকে উত্তরণের পথ দেখাতে নাকি তাঁর নামে চালু বদনামগুলো পরিস্কার করতে? এসবই জানা যাবে নাটকের নানা স্তরে, বোঝা যাবে শুধু একজন দার্শনিক নন, এক ব্যক্তি কার্ল মার্ক্সকেও।
দুনিয়ার অন্যতম জরুরি দার্শনিক কার্ল মার্ক্স, যিনি উনবিংশ শতাব্দী থেকে আজও মানুষের সমাজের ইতিহাস ও রাজনীতিকে নানাভাবে প্রভাবিত করে চলেছেন তাকে নিয়ে নাটক মার্ক্স ইন সোহো বা সোহোতে মার্ক্স! হাওয়ার্ড জিন তাঁর সোহোতে মার্ক্স নাটকে দুনিয়া কাঁপানো চিন্তক মানুষটির দৈনন্দিন প্রেম বা খেদের ভেতর দিয়ে সত্যিকারের একজন মানবিক স্বাপ্নিক দ্রষ্টার ছবি এঁকেছেন। এর পেছনে জিনের মূল উদ্দেশ্য কিন্তু মার্ক্স নন, বরং মার্ক্সের চিন্তা বা বিশ্লেষণ। দেড়শো বছর পেরিয়ে এসেও কী অসামান্য প্রাসঙ্গিক এবং জরুরি সেসব চিন্তা সেটা দেখানোই জিনের উদ্দেশ্য। নাটকটি নির্মাণ প্রক্রিয়ায় বটতলার সাথে যুক্ত হয় যাত্রিক। বাংলা ভাষায় নাটকটি মঞ্চায়নের জন্য Howard Zinn Revocable Trust বটতলা এবং যাত্রিক-কে আনুষ্ঠানিভাবে অনুমতি প্রদান করেছে। বটতলা এবং যাত্রিক -এর এই যৌথতা জিনের দেখা মানবিক মার্ক্সকে এবং তাঁর অসামান্য বিস্ফোরক বিপ্লবী চিন্তাকে আরও বেশি দর্শকের কাছে নিয়ে যাবে এটুকুই প্রত্যাশা।
এই পাঁচটি প্রদর্শনীর টিকেট পাওয়া যাচ্ছে https://bottala.com/ticket/ এ। পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট শ্রেণীর টিকেটে থাকছে ৫০% ছাড়!
তারিখ ও সময়-
২৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় ১টি প্রদর্শনী।
২৯ ও ৩০ নভেম্বর বিকাল ৪টা ৩০টা ও সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে পরপর দুটি করে প্রদর্শনী।
স্থান- নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তন, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি, নাটক সরণি (বেইলি রোড), ঢাকা।
গেল কয়েক মাস ধরে অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার দাম্পত্য কলহের গুঞ্জন নিয়ে সরগরম বলিপাড়া। নিত্যদিনই কোন না কোন ঘটনা সামনে আসছে। যদিও এত গুঞ্জন রটলেও অভিষেক বা ঐশ্বরিয়া একবারও মুখ খোলেননি। তবে এবার সেই গুঞ্জনে পারদ দিল এক ভিডিও। যা দেখে কেউ কেউ বলছে অভিষেক ও ঐশ্বরিয়ার ডিভোর্স টা হয়েই যাচ্ছে!
সম্প্রতি গ্লোবাল উইমেনস ফোরামের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুবাইতে গিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই। যেই অনুষ্ঠানের একাধিক ঝলক ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। দুবাই উইমেন ইস্টাবলিশমেন্টের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে অভিনেত্রীর দর্শকদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যের একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানের সময় অভিনেত্রীর পিছনে স্ক্রিনে ফুটে ওঠে শুধুমাত্র ‘ঐশ্বরিয়া রাই’ নামটি।
বরাবরই অফিসিয়ালি তিনি বিয়ের পর থেকেই বচ্চন উপাধি ব্যবহার করে থাকেন। তবে হঠাৎ সেটাকে না দেখে, আবার উঠছে অভিষেকের সঙ্গে ডিভোর্সের প্রসঙ্গ।
এক ভক্ত মন্তব্য করেন, ‘গর্জিয়াস। যারা কিছুদিন আগে ঐশ্বরিয়াকে তার লুক নিয়ে ট্রোল করেছিল, তারা আজ কোণায় বসে কাঁদছে’। অন্যজন লেখেন, ‘সুন্দরী, স্মার্ট, ঐশ্বরিয়ার তুলনা ঐশ্বরিয়া নিজেই।’
এক নেটিজেনের লেখেন, ‘কেউ কি দেখেছে, নামের থেকে বচ্চন মিসিং।’ আরেক ভক্তের মন্তব্য, ‘আমি এখনও ভাবতে পারি না, ওর মতো মেয়েরও বিয়েতে সমস্যা হতে পারে’!
উক্ত অনুষ্ঠানে ঐশ্বরিয়া একটি সিলভার কাজ করা নীল গাউনে দেখা গেছে। তার গ্ল্যমারের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল স্মোকি আই। খোলা চুলে সফট কার্লে মোহনীয় লাগছিল এই অভিনেত্রীকে।
এ আর রহমান এবং তার স্ত্রী সায়রা বানু তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের বিচ্ছেদ ঘোষণা দেন। খবরটি ভক্তদের মধ্যে একটি বিশাল ধাক্কা দিয়েছে।
রহমান নিজেও বেশ ব্যথিত হৃদয়ে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘আমরা দাম্পত্য জীবনের ত্রিশে পৌঁছানোর আশা করেছিলাম, কিন্তু সবকিছুই মনে হয় আপনার প্রত্যাশার মতো হয় না। তবুও এই বিচ্ছেদে যেতে হলো। আমরা এই ভঙ্গুর অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে চলার সময় আপনাদের সমর্থন এবং আমাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করার অনুরোধ করছি।’
ডিভোর্সের ঘোষণার পর রহমান প্রথমবার জনসম্মুখে উপস্থিতি হয়েছেন গতকাল গোয়ায় ৫৫ তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। তিনি ‘লতা মঙ্গেশকর মেমোরিয়াল টক: মিউজিক্যাল থিয়েটার ইন ইন্ডিয়া’ বিষয়ক একটি অধিবেশনের জন্য উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন। এই অনুষ্ঠানেও তাকে বেশ বিচলতি দেখাচ্ছিল। এমনকি তিনি পাপারাজ্জি এবং সাংবাদিকদের থেকে কোন রকমে গা বাঁচিয়ে দ্রুত তার গাড়িতে উঠতে চাচ্ছিলেন। সে সময় কিছু ভক্তরা ছবি তোলার জন্য তাকে ঘিরে ধরে।
রহমান এবং সায়রার যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিয়ের বহু বছর পর, মিসেস সায়রা এবং তার স্বামী জনাব এ আর রহমান একে অপরের থেকে আলাদা হওয়ার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের সম্পর্কের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মানসিক চাপের পরে এই সিদ্ধান্ত এসেছে। একে অপরের প্রতি গভীর ভালবাসা, দম্পতি তাদের সম্পর্কের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মানসিক চাপের পরেও, এই দম্পতি খুঁজে পেয়েছেন যে তাদের মধ্যে অনেককিছুতেই ব্যবধান তৈরি হয়েছে। মিসেস সায়রা এবং তার স্বামী মিসেস এ আর রহমান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তাদের এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে জনসাধারণ যেন তাদের নেতিবাচক ইমেজ তৈরি না করে সেটাই প্রত্যাশা করেন।’
শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদটা হয়েই গেল দক্ষিণি সিনেমার নন্দিত অভিনেতা ধানুশ ও তার স্ত্রী রজনীকান্ত কন্যা ঐশ্বরিয়ার। আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়ে ফেলেছিলেন ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া। ২৭ নভেম্বর ডিভোর্সের সার্টিফিকেট হাতে পেলেন তারা।
২০২২ সালে ধানুশ টুইটারের মাধ্যেমে প্রথম জানান, ‘১৮ বছর ধরে আমাদের একসঙ্গে পথচলা। এ সময় বন্ধু হিসেবে, মা-বাবা হিসেবে, এ ছাড়া আমরা সব সময় একে অপরের শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে পাশে থেকেছি। আমাদের এই সময়ের বোঝাপড়ার ভ্রমণটা দারুণ ছিল। আজ থেকে আমরা এমন এক পথে যাচ্ছি, যেটা আমরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা বিচ্ছেদে যাচ্ছি। আমরা বোঝাপড়ার জন্যও সময় নিয়েছি। দয়া করে আমাদের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাবেন।’
পরবর্তী সময়ে ঐশ্বরিয়াও একই রকম বার্তা ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন। তিনি সে সময় লেখেন, ‘কোনো ক্যাপশনের প্রয়োজন নেই। একমাত্র আপনাদের বোঝাপড়া ও ভালোবাসার প্রয়োজন অনুভব করছি।’
পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত সপ্তাহে চেন্নাইয়ের পারাপারিক আদালতে হাজিরাও দেন দুজন। আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করার পরও শোনা গিয়েছিল, নিজেদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করছে দুই পরিবার। কারণ, এ বিচ্ছেদ নিয়ে একেবারেই খুশি নন কিংবদন্তি অভিনেতা রজনীকান্ত। মেয়ে-জামাইকে মুখোমুখি বসিয়ে বোঝানোর চেষ্টাও করেছেন তিনি। তিনবার ডিভোর্স মামলার শুনানি এড়িয়েছিলেন ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া; সে সূত্রে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, হয়তো শেষ পর্যন্ত বিয়েটা টিকে যাবে।
কিন্তু গত বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন তারা। সেই মতোই আজ ডিভোর্স ফয়সালা হাতে পেলেন দুজন। ২০০৪ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। তখন ঐশ্বরিয়ার বয়স ছিলো ২৪ আর ধানুসের মাত্র ২১। তাদের দুই ছেলে (ইয়াত্রা ও লিঙ্গা) জন্ম নেয় ২০০৬ ও ২০১০ সালে।
জানা গেছে, ধানুশের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২৩০ কোটি টাকা। পিছিয়ে নেই রজনীকান্তর পরিচালক কন্যাও। ঐশ্বরিয়ারও সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা। সঙ্গে বাবার সুবিশাল সম্পত্তির উত্তরাধিকারী তিনি।
পারস্পরিক সম্মতিতে এ ডিভোর্স হয়েছে, খোরপোশের কোনো তথ্যই এখনো সামনে আসেনি। বিচ্ছেদের ঘোষণার পর পেশাগত জায়গায় মনোনিবেশ করেছেন ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া। পরিচালক হিসেবে ‘লাল সালাম’ সিনেমা দিয়ে কাজে ফিরেছেন ঐশ্বরিয়া। ধানুশকে দেখা গিয়েছিল প্রাইম ভিডিওর ‘ক্যাপ্টেন মিলার’ সিনেমায়। তাঁকে শিগগিরই দেখা যাবে একটি বায়োপিকে।