ফেঁসে গেলেন মিঠুন পুত্র, অভিযোগ ধর্ষণের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

বিয়ের মাত্র পাঁচদিন আগেই ধর্ষণের অভিযোগে ফেঁসে গেলেন মিঠুন চক্রবর্তীর বড় ছেলে মহাক্ষয় মিমো চক্রবর্তী।

/uploads/files/aJ5JpBNMkUQ6FtKrtMficBZgL12vdH5DveV8DmUq.jpeg


মিমোর পাত্রী মাদালসা, বিখ্যাত দক্ষিণী অভিনেত্রী শীলা শর্মার মেয়ে। দুজন চুটিয়ে প্রেমও করছেন দীর্ঘদিন। সেই প্রেম পরিণয়ে পৌঁছানোর কথা এ মাসের ৭ তারিখ। এরই মধ্যে কী থেকে যে কী হয়ে গেলো! বিতর্কে আপাতত মিঠুন চক্রবর্তীর পরিবার। অস্বস্তি নেমে এসেছে সংসারে খুব স্বাভাবিকভাবেই।


আরও পড়ুন: মোশাররফ কি জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন?

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, প্রতারণা ও গর্ভপাতের অভিযোগ আনা হয়েছে মিমোর বিরুদ্ধে, দিল্লির রোহিনি আদালতে। অভিযোগ আমলে নিয়েছে আদালত। সোমবার, ২ জুলাই, চার্জ গঠনের নির্দেশ এসেছে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট একতা গৌবার কাছ থেকে।

কেন এই অভিযোগ?

হিন্দি ও ভোজপুরী সিনেমার এক তরুণী অভিনেত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিলো মিঠুন পুত্রের। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন মিমো। এই অবাধ মেলামেশার ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলো এই অভিনেত্রী। ঘটনা এখানেই শেষ নয়, পরবর্তীতে ঔষধ খাইয়ে তাকে গর্ভপাত ঘটানো হয়েছে কৌশলে। এই প্রতারণার ঘটনার সঙ্গে মিমোর মা, অর্থাৎ মিঠুন চক্রবর্তীর স্ত্রী অভিনেত্রী যোগিতা বালীও জড়িত ছিলেন। ছেলেকে মদদ দিয়েছেন মর্মে অভিযোগে উঠে এসেছে তার নামও।

শুধুমাত্র ‘কুণ্ডলী’ জানতে চেয়ে সেটি না মেলায় সেই অভিনেত্রীর সঙ্গে সাতপাঁকে বাঁধা হতে স্বীকার করেননি মিমো। অথচ প্রেম করেছেন ২০১৫ থেকে। বিয়ের প্রতিশ্রুতিও তখনই দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: সংসার বাঁচাতে মরিয়া শ্রাবন্তী

যদিও এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত মিঠুন চক্রবর্তী পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো কথা পাওয়া যায়নি। কথা বলেননি তারা কোনো সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে।


প্রসঙ্গত, এর আগে আমেরিকায় এক পর্ন অভিনেত্রীর সঙ্গে পার্টি করা অবস্থায় মিমোর কিছু ছবি ভাইরাল হয়। বিতর্কও হয় খুব এটা নিয়ে। এখন আবার নতুন বিতর্কে নিজেকে জড়িয়ে বেশ খারাপ অবস্থার মধ্যেই পড়েছেন তিনি।


/uploads/files/O2aFINs3HfUT01OlNWa4dhxNMjNK4Cbead1IaqIv.jpeg


কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন মিমো চক্রবর্তী। এরমধ্যে লুট, জিম্মি ইত্যাদি উল্লেখ করার মতো। বক্স অফিসে খুব একটা সাড়া ফেলতে না পারায় মিমো বাদ দিয়ে মহাক্ষয় নামটি ব্যবহার শুরু করেন তিনি। কিছু দর্শক তাকে অভিনেতা হিসেবেও চেনে তাই।


আরও পড়ুন: ফাঁকা, শূন্য সিনেমা হলগুলো..

হিন্দি ও ভোজপুরী সিনেমার এই অভিনেত্রীর অভিযোগের বিষয়ে চার্জ গঠন করবে পুলিশ, খুব দ্রুতই। আদালতের রায় তো আর অমান্য করার মতো নয়। জিজ্ঞাসাবাদ করার সম্ভাবনাও রয়েছে মিঠুন পুত্র মহাক্ষয় ও স্ত্রী যোগিতাবালীকে।

/uploads/files/xLcvPXa9YJELEa7aedyBAHUDs7ERtE3KZ2mS4jTF.jpeg

   

ডিপজল-নিপুণের কাড়াকাড়ি, সানী-বর্ষার অনাগ্রহ!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ওমর সানি, বর্ষা, ডিপজল ও নিপুণ

ওমর সানি, বর্ষা, ডিপজল ও নিপুণ

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নিয়ে নাটকীয়কার কোন শেষ নেই যেন! এখন চলছে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে ডিপজল আর নিপুণের মধ্যে আইনি লড়াই। নির্বাচনের প্রায় এক মাস পর কারচুপির অভিযোগ এনে আদালনের দারস্থ হন নিপুণ। তার অভিযোগ আমলে নিয়ে ডিপজলকে আপাতত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। খতিয়ে দেখা হবে এই নির্বাচনে আদৌ কোন কারচুপি হয়েছে কিনা।

এমন পরিস্থিতিতে চেম্বার আদালদের স্মরণাপন্ন হয়েছেন খলনায়ক ডিপজল। নিজের হারানো পদ ফিরে পেতে তার এই তোড়জোড়।

এই যখন অবস্থা তখন (গত শুক্রবার) নিজের ফেসবুক পেজে শিল্পী সমিতিকে নিয়ে প্রশ্ন ছুড়েছেন চিত্রনায়িকা বর্ষা। তিনি লেখেন, ‘শিল্পী সমিতি শিল্পীদের জন্য কী কাজে লাগে তা আমি আজ পর্যন্ত বুঝতে পারলাম না। যা জানি তা আর বললাম না। পাবলিকের এখন সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার দরকার নাই। মানুষের এত ধৈর্য!’

একদিন পরই এবার সংগঠনটি ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে দিলেন ওমর সানী। এর আগেও অবশ্য সানী এসব বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। চলচ্চিত্রের এক সময়ের পর্দা কাপানো এই নায়ক আর শিল্পী সমিতির সদস্যই থাকতে চান না! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়ে জানিয়েছেন তিনি নিজেই। শিগগিরই সমিতির সভাপতির কাছে চিঠি পাঠাবেন বলেও জানান এই অভিনেতা।

গত ২৫ মে এক ফেসবুক পোস্টে সানী লেখেন, ‘আমি আর শিল্পী সমিতিতে সদস্য হিসেবে থাকতে চাচ্ছি না, আমি কয়েকদিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট সাহেবের কাছে চিঠি পাঠাব। আমার সমস্ত শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা রইল।’

তবে কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি ওমর সানী। 

;

পর্দা নামলো ৭৭তম কানের, বিজয়ের হাসি হাসলেন যারা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
এবারের স্বর্ণ পাম হাতে নির্মাতা শন বেকার, মেরিল স্ট্রিপকে সম্মানসূচক স্বর্ণ পাম তুলে দেন এভা গ্রীণ

এবারের স্বর্ণ পাম হাতে নির্মাতা শন বেকার, মেরিল স্ট্রিপকে সম্মানসূচক স্বর্ণ পাম তুলে দেন এভা গ্রীণ

  • Font increase
  • Font Decrease

গত রাতেই শেষ হলো বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রাচীন এবং সম্মানজনক আয়োজন কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৭ তম আসরের কর্মযজ্ঞ। আর রীতি অনুযায়ী শেষ দিনেই জানা গেলো কানের প্রধান প্রধান পুরস্কারজয়ীর তালিকা। তবে এবারের আয়োজন শুরুর দিনেও ছিল চমক। হলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপের হাতে তুলে দেওয়া হয় কানের সম্মানসূচক স্বর্ণ পাম পুরস্কার।

আর গতকাল কান চলচ্চিত্র উৎসবের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘স্বর্ণ পাম’ জিতেছে হলিউডের সিনেমা ‘আনোরা’। সিনেমাটি সেভাবে আলোচিত ছিল না। কিন্তু ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা, আলী আব্বাসি, জ্যাক অদিয়াঁর, ক্রোনেনবার্গ, কানাডা, জিয়া জ্যাং-কির মতো নির্মাতাদের টপকে শেষ পর্যন্ত স্বর্ণপাম জিতল মার্কিন নির্মাতা শন বেকারের সিনেমাটি। কমেডি-ড্রামা ঘরানার এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন মাইকি ম্যাডিসন। এক যৌনকর্মীর জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি। পুরস্কার জয়ের পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় শন বেকার বলেন, ‘আজ রাতে কী হচ্ছে আমি ঠিক বুঝতে পারছি না।’

উৎসবের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার গ্রাঁ প্রিঁ জিতেছে ভারতীয় নির্মাতা পায়েল কাপাডিয়ার ‘অল উই ইমাজিন অ্যাস লাইট’

এবারের কান উৎসবে একের পর এক চমক দেখিয়েছে ভারত। উৎসবের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার গ্রাঁ প্রিঁ জিতেছে ভারতীয় নির্মাতা পায়েল কাপাডিয়ার ‘অল উই ইমাজিন অ্যাস লাইট’। কানে প্রদর্শনীর পর ৮ মিনিটের স্ট্যান্ডিং ওভেশন পেয়েছিল এই ছবি। ৩০ বছর পর ভারতীয় কোন সিনেমা যা কান চলচ্চিত্র উৎসবের প্রধান প্রতিযোগিতা বিভাগে জায়গা পায়। আর তাই পুরস্কার জিতে তৈরি করেছে ইতিহাস। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন কানি কুশ্রুতি, দিব্যা প্রভা, ছায়া কদম, ঋধু হারুন।

সেরা নির্মাতার পুরস্কার পেয়েছেন পর্তুগালের মিগুয়েল গোমেজ। পিরিয়ড-ড্রামাধর্মী সিনেমা ‘গ্রান্ড ট্যুর’-এর জন্য এ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

‘কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন অভিনেতা জেসি প্লেমনস। সেরা চিত্রনাট্যের পুরস্কার পেয়েছেন কোরালি ফারজাঁ।

‘এমিলিয়া পেরেজ’ ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন সেলেনা গোমেজ, যোয়ি সালডানা, অ্যাড্রিয়ানা পাজ ও ক্লারা সোফিয়া

সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন এবারের উৎসবের আলোচিত সিনেমা ‘এমিলিয়া পেরেজ’-এর চার অভিনেত্রী সেলেনা গোমেজ, যোয়ি সালডানা, অ্যাড্রিয়ানা পাজ ও ক্লারা সোফিয়া গ্যাসকন। সিনেমাটির নির্মাতা সাবেক স্বর্ণ পামজয়ী ফরাসি পরিচালক জ্যাক অডিয়াঁর।

আলোচিত ইরানি নির্মাতা মোহাম্মদ রাসুলফ তার ‘দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ’ সিনেমার জন্য বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে চলতি মাসেই তাকে আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ড মাথায় নিয়েই ইরান থেকে পালিয়ে কানে উৎসবে হাজির হয়েছেন তিনি।

আঁ সার্তে রিগা বিভাগে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে চিনের ছবি ‘ব্ল্যাক ডগ’

আঁ সার্তে রিগা বিভাগে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে চিনের ছবি ‘ব্ল্যাক ডগ’।  গুয়ান হু পরিচালিত সিনেমাটির গল্প এক ব্যক্তি ও কুকুরের সম্পর্ক নিয়ে। দুজনেই একা। এই একাকিত্ব তাদের নতুন এক যাত্রার দিকে নিয়ে যায়।

এ ছাড়া আঁ সার্তে রিগায় জুরি পুরস্কার পেয়েছে ফ্রান্সের সিনেমা ‘দ্য স্টোরি অব সুলেমান’। সিনেমাটির নির্মাতা বরিস লোজকাইন। ‘দ্য স্টোরি অব সুলেমান’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য এই বিভাগে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন আবু সনগারে। ‘দ্য ড্যামড’ সিনেমার জন্য ইতালির রবার্তো মিনারভিনি হয়েছেন সেরা নির্মাতা।

‘দ্য শেমলেস’ সিনেমার জন্য আঁ সার্তে রিগা বিভাগে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন কলকাতার অভিনেত্রী অনসূয়া সেনগুপ্ত

আমাদের প্রতিবেশি দেশটি দু-দুটি ইতিহাস লিখেছে কানের পাতায়। গ্রাঁ প্রিঁ ছাড়াও আঁ সার্তে রিগা বিভাগে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন কলকাতার অভিনেত্রী অনসূয়া সেনগুপ্ত। কনস্ট্যানটিন বোঁজ্যনভের ‘দ্য শেমলেস’ সিনেমার জন্য এ পুরস্কার পান তিনি। অনুসূয়াই প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি কানে সেরার পুরস্কার জয় করলেন। এটি নিঃসন্দেহে ভারতীয় সিনেমার জন্য একটি ইতিহাস।
১৪ মে শুরু হয়েছিল কান চলচ্চিত্র উৎসবের এবারের আসর। মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে স্বর্ণ পামের জন্য লড়েছে ২২টি চলচ্চিত্র।

‘ক্রিটিকস উইক’-এর সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘গ্রাঁ প্রিঁ’ জিতেছে আর্জেন্টাইন চলচ্চিত্র ‘সায়মন অব দ্য মাউন্টেন’

সমাপনী অনুষ্ঠানের আগেই ঘোষণা করা হয় কানের সমান্তরাল বিভাগের পুরস্কার বিজয়ীদের নাম। এবারের কান চলচ্চিত্র উৎসবের সমান্তরাল বিভাগ ‘ক্রিটিকস উইক’-এর সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘গ্রাঁ প্রিঁ’ জিতেছে আর্জেন্টাইন পরিচালক ফেদেরিকো লুইসের প্রথম চলচ্চিত্র ‘সায়মন অব দ্য মাউন্টেন’।

উঠতি বয়সের এক কিশোরের মানসিক ব্যাধির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাকে কেন্দ্র করে ছবিটির গল্প। এতে অভিনয় করেছেন আর্জেন্টাইন অভিনেতা, গায়ক ও গীতিকবি লরেঞ্জো ফেরো। এর যৌথ প্রযোজক আর্জেন্টিনা, চিলি ও উরুগুয়ের তিনটি পৃথক প্রতিষ্ঠান।

তথ্যসূত্র : ভ্যারাইটি

;

কানে দুটি ইতিহাস লিখলো ভারত



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
কানে গ্রাঁ প্রিঁ জয়ী টিম ও সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারজয়ী অনুসূয়া

কানে গ্রাঁ প্রিঁ জয়ী টিম ও সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারজয়ী অনুসূয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফিল্ম মেকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আজ তার সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখেছেন, ‘কী দারুণ একটি বছর ভারতীয় সিনেমার জন্য। কান চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগীতা বিভাগে গ্রাঁ প্রিঁ এবং আঁ সার্তে রিগা বিভাগে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতে নিয়েছে ভারত। ব্রাভো।’

হ্যাঁ, এতোক্ষণে সিনেমাপ্রেমী অনেকেই জেনে গেছেন যে কান চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা নেমেছে আজ। আর সমাপনী নিয়েই ভারতের পতাকা গৌরবের সঙ্গে তুলে ধরলেন ক’জন নারী। তারমধ্যে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পাওয়া অনুসূয়া সেনগুপ্ত একজন বাঙালি অভিনেত্রী!

ভারতীয় ছবি ‘অল উই ইমাজিন এজ লাইট’ গ্রাঁ পিঁ জেতায় নির্মাতা ও শিল্পীদের উচ্ছ্বাস

কান চলচ্চিত্র উৎসবে স্বর্ণপামের পরেই গ্রাঁ পিঁ পুরস্কারকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে ধরে নেয়া হয়। এবারের আসরে পুরস্কারটি জিতে নিয়েছে ভারতীয় ছবি ‘অল উই ইমাজিন এজ লাইট’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন পায়েল কাপাডিয়া।

তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন আমেরিকান অভিনেত্রী ভায়োলা ডেভিস। তখন মঞ্চে পায়েলের পাশে ছিলেন ছবিটির তিন অভিনেত্রী কানি কুসরুতি, দিব্যা প্রভা ও ছায়া কদম। এই ছবিটির মাধ্যমে ৩০ বছর পর কানের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে জায়গা পেয়েছিল ভারত। এবার পুরস্কার জিতে গড়েছে ইতিহাস।

ভারতীয় ছবি ‘অল উই ইমাজিন এজ লাইট’ ছবির পোস্টার

শনিবার (২৫ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে শুরু হওয়া উৎসবের সমাপনী আয়োজনে জুরি প্রাইজ জয়ী ছবির নাম ঘোষণা করেন জাপানি পরিচালক কোরি এদা-হিরোকাজু। পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে চলছে এই আয়োজন।

অন্যদিকে, ভারতীয় সিনেমা ‘দ্য শেমলেস’-এ এক্সট্রা অর্ডিনারি পারফরমেন্সের জন্য আঁ সার্তে রিগা বিভাগে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন কলকাতার অভিনেত্রী অনসূয়া সেনগুপ্ত। তিনিই প্রথম ভারতীয়, যিনি কানে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতলেন।

‘দ্যা শেমলেস’ ছবির পোস্টার ও কানের রেড কার্পেটে অনসূয়া সেনগুপ্ত

কানে অফিশিয়াল মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই আলোচনায় ছিল কনস্টানটিন বোজানভ পরিচালিত ভারতীয় সিনেমা ‘দ্য শেমলেস’। সেখানে ছবিটি প্রিমিয়ারের পর থেকেই প্রশংসায় ভাসছিল সিনেমাটি। এবার এতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতলেন অনসূয়া সেনগুপ্ত। ছবিতে ‘রেনুকা’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

‘দ্য শেমলেস’ সিনেমাটির গল্প একজন যৌনকর্মীকে নিয়ে। যিনি দিল্লির একটি যৌনপল্লিতে এক পুলিশকে হত্যা করে ফেরার হন।

কানে ‘দ্যা শেমলেস’ ছবির সহশিল্পী ও নির্মাতার সঙ্গে অনুসূয়া (বাঁমে)

এই যৌনকর্মীর চরিত্রেই অভিনয় করেছেন অনসূয়া। অভিনেত্রী তাঁর এই পুরস্কার উৎসর্গ করেছেন বিশ্বের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে, যাদের যে লড়াই করার কথা হয়তো ছিল না কিন্তু করতে হচ্ছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা জানিয়েছে, কলকাতাতেই বড় হয়েছেন অনসূয়া। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন তিনি। ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি।

;

রুনা খানের শাড়িটি তৈরি হয়েছে দেড় হাজার ঘণ্টায়



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
রুনা খান /  ছবি : সজিব মিয়া

রুনা খান / ছবি : সজিব মিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

অভিনেত্রী রুনা খানের ফ্যাশন সেন্স সাম্প্রতিক সময়ে বেশ চর্চিত। তিনি সাধারণত শাড়ি পরে থাকেন, তবে তার প্রেজেন্টেশনে থাকে বৈচিত্র্য।

রুনা খান /  ছবি : সজিব মিয়া

গতকাল মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার প্রদাণ অনুষ্ঠানেও শাড়ি পরে হাজির হন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী।

রুনা খান /  ছবি : সজিব মিয়া

মেরিল প্রথম আলোর অনুষ্ঠান হয়ে থাকে তারকাময়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এতো তারকার ভিড়েও রুনা স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে ছিলেন সমুজ্জল।

রুনা খান /  ছবি : সজিব মিয়া

দেশি পোশাক, দেশি কারুশিল্প তার ভীষণ পছন্দ। তারমধ্যে ঐতিহ্যবাহী ঢাকাইয়া জামদানির প্রতি তার দুর্বলতা চোখে পড়ার মতো। যে কোন বড় ইভেন্টে তিনি জামদানি পরেই হাজির হন।

রুনা খান /  ছবি : সজিব মিয়া

এবারের মেরিল প্রথম আলোর আয়োজনেও তিনি পরেছিলেন অফ হোয়াইট জামদানি। তবে পরার ধরণে ছিল ভিন্নতা। কুচি দিয়ে শাড়ি পরেননি তিনি, বরং এক প্যাচে বাঙালিয়ানা ধাচে শাড়ি পরেছিলেন। এমন একটি গ্ল্যামারাস অনুষ্ঠানে তাকে একেবারেই বেমানান লাগেনি, কিংবা তার গ্ল্যামারে কোন কমতি ছিল না। উল্টো সবাই তার এমন সাবেকি বাঙালিয়ানার ঢং পছন্দ করেছেন।

রুনা খান /  ছবি : সজিব মিয়া

রুনার সাজে কখনোই ভারিক্কি ব্যাপার থাকে না। তিনি একেবারে মিনিমাল মেকাপে হাজির হন। মেকাপ করেছেন ফারহানা চৈতী। গয়না বলতেও তেমন কিছুই ছিল না। কানে গোল্ড প্লেটেড ঝুমকো আর চুলের খোপার কাটা, দ্যাটস ইট! গয়না মল্লিকা নামের একটি পেজ থেকে নেয়া।

রুনা খান /  ছবি : সজিব মিয়া

তবে এদিন রুনার সাজে সবচেয়ে নজরকাড়া বিষয় ছিল তার ব্লাউজ। একপাশে ফুল হাতা আর অন্যপাশে হাতা কাটা। ফুল হাতার নকশা ছিল চোখে লাগার মতো। সাদা আর সোনালী পুতি দিয়ে ফুলেল নকশা আর দামান অংশে ঝালর ছিল হাতায়। সঙ্গে ঝালর দেওয়া হ্যান্ড মেড বেল্ট পরেছিলেন এই তারকা। হাতে ছিল হ্যান্ড মেড বটুয়া। ডিজাইন করেছে পেজ ট্যান।

রুনা খান /  ছবি : সজিব মিয়া

এই স্পেশ্যাল সাজ নিয়ে রুনা খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি দেশি পোশাক কিংবা দেশি যে কোন কিছু প্রমোট করতে পছন্দ করি। তাই দেশি জামদানিই বেছে নিয়েছিলাম। আমার ইচ্ছেই ছিল অফ হোয়াইট জামদানি পরার। শাড়িটি নিয়েছি তাকওয়া নামের একটি পেজ থেকে। তারা আমাকে জানিয়েছে এই শাড়িটি তৈরি হতে চার মাস সময় লেগেছে। দুজন তাতি দেড় হাজার ঘণ্টা কাজ করেছেন শাড়িটির পেছনে।’

রুনা খান /  ছবি : সজিব মিয়া

বৈচিত্র্যময় ব্লাউজটি রুনা বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম ফুল হাতা ব্লাউজ পরব। এ ব্যাপারে সহযোগীতা করেছে ডাস্ট কোট নামের একটি পেজ। এই পেজের ডিজাইনার আনারকলি খান আমাকে বললেন, শাড়িটি যেহেতু অনেক বেশি গর্জিয়াস, তাই দুই পাশেই ফুল হাতা রাখার পর তাতে কাজ করলে জিনিসটি অনেক ভারি হয়ে যাবে। পরে তিনিই এক হাতা ফুল, আর এক হাতা কাটা রাখেন। এরপর আর যা যা কারুকাজ করা হয়েছে সবটাই আনারকলি খানের মাথা থেকে এসেছে। তিনি অনুষ্ঠানের দিন পার্লারে এসে আমাকে স্টাইলিং পর্যন্ত করে দিয়েছেন। তাকে ধন্যবাদ জানাই।’

রুনা খান /  ছবি : সজিব মিয়া

সবশেষে রুনা বলেন, আমি খুব গর্বিত যে আমার সকল সাজ পোশাক দেশি জিনিস দিয়ে করতে পেরেছি। আরও ভালো লেগেছে এটা ভেবে যে, আমার সাজ পোশাকের পেছনে যারা এফোর্ট দিয়েছেন, সেই পাঁচজনই নারী উদ্যোক্তা। একজন নারী হয়ে আরেকজন নারীর কাজকে সমর্থন করতে পেরে আমি আনন্দিত।

রুনা খান /  ছবি : সজিব মিয়া
;