এবার নোবেলের বিরুদ্ধে গান চুরির অভিযোগ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মাঈনুল আহসান নোবেল

মাঈনুল আহসান নোবেল

সংগীত জীবনের শুরু থেকে আলোচনার চেয়ে সমালোচনায় বেশি আছেন মাঈনুল আহসান নোবেল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথিত প্রেমিকা কর্তৃক নিজের আপত্তিকর ছবি প্রকাশের পর থেকে আলোচনায় না থাকলেও সম্প্রতি গান চুরির অভিযোগে আবারও নতুন করে আলোচনায় সংগীত বিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’ দিয়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া নোবেল।

গেল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবে ‘দেশ’ শিরোনামের একটি গান প্রকাশ করেন নোবেল। যেখানে গানটির কথা ও সুর নিজের বলে দাবি করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন
নোবেলের বিরুদ্ধে গান চুরির অভিযোগ

এরপরই নোবেলের এই গানটির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তোলেন ব্যান্ডদল ‘অ্যাবাউট ডার্ক’। ফেসবুকে ব্যান্ডদলটির গিটারিস্ট ও গানটির লেখক নাসির উল্লাহর এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরদিনই ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব থেকে গানটি সরিয়ে ফেলেন নোবেল।

নোবেলের বিরুদ্ধে গান চুরির অভিযোগ প্রসঙ্গে ‘অ্যাবাউট ডার্ক’ ব্যান্ডদলের গিটারিস্ট ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এরফান আহমেদ পূর্ণ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘২০১৬ সালে ‘অ্যাবাউট ডার্ক’ প্রতিষ্ঠিত হয়। গান প্রকাশের শেষ সময়ে নোবেল আমাদের ব্যান্ডে যোগ দেয়। তবে ব্যান্ডের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আত্মসাৎ এর অভিযোগে তাকে ব্যান্ড থেকে কিছুদিন পরই বের করে দেওয়া হয়। সম্প্রতি নোবেল যে গানটি নিজের বলে প্রকাশ করেছিলো গানটি ২০০৫ সালে নাসির উল্লাহ ভাইয়ের লেখা। ২০১৬ সালে গানটিতে দুইটি লাইন সংযোজন করে নোবেল। তবে তাকে দল থেকে বের করে দেওয়ার পর আমরা নোবেলের ওই দুই লাইন বাদ দিয়ে গানটি নতুন করে ‘তুমি’ শিরোনামে চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রকাশ করেছি। এক বছর আগেও নোবেল এই গানটি নিজের দাবি করে প্রকাশ করেছিল। তবে আলোচনার মুখে সে সময়ও গানটি সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় সে। আর এবার যে গানটি নোবেল প্রকাশ করেছে সেটা আমাদের গান প্রকাশের আগে প্রাকটিস করা গানের রেকর্ড ভার্সনটা।’

বিজ্ঞাপন
ব্যান্ডদল ‘অ্যাবাউট ডার্ক’

এই প্রসঙ্গে নোবেলের সঙ্গে সম্প্রতি কথা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে এরফান আহমেদ পূর্ণ বলেন, ‘আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। কিন্তু সে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চায় না। এমনকি আমরা চুরির অভিযোগ তোলার পর নাসির উল্লাহ ভাইয়ের ফেসবুক আইডি সংগঠিত একটি দল দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে সে।’

এমন অভিযোগের প্রসঙ্গে কথা বলতে নোবেলের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার ও তার ব্যান্ড দলের নাম্বারে যোগাযোগ করে হলে নাম্বার দুইটি বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগ পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নোবেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।