বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ঋষি কাপুরের মৃত্যুর পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। সেখানেই বলা হয়েছে- ‘অশ্রু নয়, হাসিতে মনে রাখবেন ঋষিকে।’
ঋষি কাপুরকে শুধু হাসিমুখে স্মরণ নয়, বলিউডের এই অভিনেতা তার জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত চিকিৎসক ও হাসপাতালের অন্যান্য স্টাফদের আনন্দ দিয়ে গিয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ঋষি কাপুরের একটি ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে- হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রয়েছেন তিনি। তার পাশে দাঁড়িয়ে গান গেয়ে শোনাচ্ছেন একজন চিকিৎসক।
গান গাওয়া শেষে ওই চিকিৎসককে আশীর্বাদ করে ঋষি বলেছিলেন- “আরে বাহ খুব ভালো। আমার আশীর্বাদ তোমার সঙ্গে রয়েছে। অনেক এগিয়ে যাও তুমি। পরিশ্রম করো। কেননা নাম-যশ এসব কিছুই আসে পরিশ্রম আর একটুখানি ভাগ্যের কারণে।”
বিজ্ঞাপন
গত দুই বছর ধরে মরণব্যাধি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন ঋষি কাপুর। চিকিৎসার জন্য দীর্ঘদিন নিউইয়র্কে ছিলেন সদ্য প্রয়াত এই অভিনেতা। পরে সেখান থেকে গত বছর দেশে ফিরেছিলেন তিনি। পরে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে আবার অসুস্থ হয়ে খবরের শিরোনামে এসেছিলো তার নাম।
কিন্তু আশঙ্কাজনক অবস্থায় বুধবার (২৯ এপ্রিল) মুম্বাইয়ের এইচএন রিলায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। সেখানে আইসিইউতেই রাখা হয়েছিল প্রবীণ এই অভিনেতাকে। পরে বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৭ বছর।
আমেরিকার নিউইয়র্কে দীর্ঘ প্রবাস জীবন অবশেষে ঢাকা আসছেন ‘ব্লাক ডায়মন্ড’খ্যাত সংগীত তারকা এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বেবী নাজনীন।
জানা গেছে, ১০ নভেম্বর রোববার সকাল ১০টায় কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হজরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তিনি।
বিগত ১৬ বছরের আওয়ামী শাসনামলে নিজের পেশাগত কাজকর্মে বারবার বিভিন্নভাবে বাধগ্রস্থ হয় বেবী নাজীনের সঙ্গীতজীবন। বাংলাদেশ বেতার-টিভি-মঞ্চ কোন মাধ্যমেই বেবী নাজনীন সাচ্ছন্দে কাজ করতে পারেননি। এক পর্যায়ে দেশ ছাড়তেই বাধ্য হন বেবী নাজনীন।
তবে আন্তর্জাতিকভাবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে বেবী নাজনীন সবসময়ই সমাদৃত। ফলে বিদেশের মাটিতে তার কাজকর্মে কোন বাধা আসেনি। বরং এই সময়ে আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ব্লাক ডায়মন্ড বেবী নাজনীন।
সাড়ে চার দশকের ক্যারিয়ারে আধুনিক সংগীতের অর্ধশতাধিক একক অডিও অ্যালবামসহ অসংখ্য দ্বৈত অডিও অ্যালবামে গান গেয়েছেন তিনি। ভারতের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আশা ভোসলে, বাপ্পি ল্যাহেরী, কুমার শানু, কবিতা কৃষ্ণমূতির সঙ্গেও একাধিক অডিও অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে তাঁর। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিশেষ শ্রণির তালিকাভূক্ত সঙ্গীত শিল্পী বেবী নাজনীন চলচ্চিত্র, অডিও মাধ্যমে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন।
মানুষ নিষ্পাপ পৃথিবীতে আসে, আমার একটা মানুষ আছে, ওই রংধনু থেকে, পত্রমিতা, এলোমলো বাতাসে উড়িয়েছি শাড়ির আঁচল, কাল সারা রাত ছিল স্বপনেরও রাত, দু'চোখে ঘুম আসে না তোমাকে দেখার পর, আমার ঘুম ভাঙাইয়া গেলোরে মরার কোকিলে, লোকে বলে আমার ঘরে নাকি চাঁদ উঠেছে, আজ পাশা খেলবো রে শাম, প্রিয়তমা, সারা বাংলায় খুঁজি তোমারে, ও বন্ধু তুমি কই কই রে.. এ প্রাণো বুঝি যায় রে...এমন অসংখ্য গানের মাধ্যমে বাংলা গানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করেছেন এই সংগীত তারকা।
মেধাবী অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ছোটপর্দার ‘কুইন’ তকমা পেয়েছিলেন অপূর্ব, আফরান নিশোসহ জনপ্রিয় অভিনেতাদের সঙ্গে রোমান্টিক গল্পে অভিনয় করে। তবে সর্বশেষ কয়েক বছর মেহজাবীন রোমান্টিক গল্প এড়িয়ে চলেছেন। তাকে চ্যালেঞ্জিং সব চরিত্রে ভিন্ন ধরনের গল্পে দেখা গেছে। সেসব কাজও দর্শক পছন্দ করেছে। তবে তারা সবসময় চেয়েছে মেহজাবীন যেন আবারও রোমান্টিক নাটকে ফিরে আসেন।
বিশেষ করে সর্বশেষ কয়েকদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তরা রীতিমতো এক দফা এক দাবি জানায় যে তাদের প্রিয় তারকা রোমান্টিক না করলে তারা মেহজাবীনের ফ্যানপেজ ত্যাগ করবে।
অবশেষে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে চলেছেন মেহজাবীন। তিনি অচিরেই হাজির হবেন একটি রোমান্টিক নাটকে।
প্রবীর রায় চৌধুরীর নির্দেশনায় মেহজাবীন-জোভান জুটির নাটক ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। ২০১৮ সালের জোভান-মেহজাবীনকে জুটি করে প্রবীর বানিয়েছিলেন নাটকটি। এরপর আরও দুটি নাটক বানান একই নামে। যেন প্রবীর গড়ে তোলেন নাটকের একটি সফল ট্রায়ো! তবে মাঝে লম্বা সময় এই নাম নিয়ে সামনে আসতে দেখা যায়নি তাদের। এরমধ্যে মেহজাবীন চৌধুরীও সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত হলেন।
আশার কথা, লম্বা বিরতির পর ফের এক হলো এই সফল ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ ট্রায়ো। ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভি ঘোষণা দিয়েছে এই ত্রয়ীকে এক করার। নিশ্চিত করেছেন প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পুও। ফের এক হতে পেরে বেশ খুশি প্রবীর-মেহজাবীন-জোভান।
জোভান বলেন, ‘অনেক দিন পর এই ট্রায়ো কাজ করবে। ঘোষণার পর থেকে প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। আমাদের কাছে দর্শকদের প্রত্যাশা আরও বেড়ে গেছে।’
এদিকে মেহজাবীন তাদের এই ট্রায়ো প্রজেক্ট প্রসঙ্গে অনেকটাই বিস্তারিত ও স্মৃতিকাতর। তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হয় ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ ২০১৮ সালে শুট করা হয়েছিল। এবং এটি ছিল পরিচালক প্রবীর রায় চৌধুরীর সাথে আমার প্রথম কাজ। এই নাটকটি অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, বিশেষ করে ‘অভিযোগ’ গানের জন্য। পরে এটি ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ সিরিজে পরিণত হয়েছিল। তাই এটি দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছিল।’’
এরপর মাঝে লম্বা সময়। এরমধ্যে নাটক থেকেও অনেকটা দূরে সরেছেন মেহজাবীন। তাহলে ফের এক হলো কেমন করে এই ট্রায়ো? জবাবে মেহজাবীন বলেন, ‘অনেক দিন ধরে প্রবীর রায় চৌধুরী বলছিলেন যে, আমাদের সেই ত্রয়ী মিলে আবার কিছু করা উচিত। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ২০২৫ সালের ভালোবাসা দিবসে আবারও একসঙ্গে কাজ করার। আমি আশা করি ২০১৮ এবং পরবর্তী সিরিজের সময় যে ভালোবাসা আমরা পেয়েছিলাম, এবারও সমান ভালোবাসা পাবো।’
নির্মাতা প্রবীর রায় চৌধুরী জানান, এবারের গল্পটি আর ১, ২ বা ৩ নম্বর পরিচয়ে থাকছে না। এবারের গল্পটির নাম ‘বেস্ট ফ্রেন্ড ২.০’।
প্রবীর বলেন, ‘‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ সিরিজের শেষ গল্প নির্মাণের প্রায় ৪ বছর পর আবারও আমরা এক হচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য ২০২৫ সালের ভ্যালেন্টাইন ডে (১৪ ফেব্রুয়ারি)। এবার একেবারে নতুন একটা গল্প। মূলত এই গল্পের অভাবেই মাঝে আমাদের লম্বা সময় গ্যাপ। অবশেষে, এই গল্পটি নিয়ে আমরা সবাই সম্মত হয়েছি। আশা করি, এই কাজটি করে দর্শকদের যে উন্মাদনা রয়েছে ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ ফ্র্যাঞ্জাইজির প্রতি, তা পূরণ করবে।’’
নির্মাতা জানান, নাটকটির শুটিং হবে মূলত দুই ভাগে। প্রথম অংশ ডিসেম্বরে, পরের অংশ জানুয়ারি। এদিকে আগাম অনুমান করা যাচ্ছে, আসন্ন ভ্যালেন্টাইন ডে’র সবচেয়ে বড় বাজেটের প্রজেক্ট হতে যাচ্ছে ‘বেস্ট ফ্রেন্ড ২.০’।
১৫ নভেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে বহু আলোচিত ছবি ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’। আর ২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। নির্বাচনের মুখে এই ছবি মুক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় নির্মাতা একতা কাপুরকে। অনেকের অভিযোগ, এটি একটি প্রোপাগান্ডা ছবি। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন একতা কাপুর।
গতকাল মুম্বাইয়ের এক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ ছবির ট্রেলার। একতা কাপুর প্রযোজিত এই ছবির মূল চরিত্রে আছেন ‘টুয়েলভথ ফেল’ দিয়ে তুমুল প্রশংসা কুড়ানো অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি। ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ ছবির মাধ্যমে ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সবরমতী এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার কথা তুলে ধরা হয়েছে। গোধরা স্টেশনের কাছে ভোরবেলায় সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডে ৫৯ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন। তবে এটা নিছকই কোনো দুর্ঘটনা নয়, এর পেছনে ছিল এক গভীর চক্রান্ত। একতা জানান, ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ ছবির মাধ্যমে সেই সত্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন তিনি।
নির্বাচনের মুখে এই ছবি মুক্তি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। অনেকের মতে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ছবিটি নির্বাচনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চলেছে। তবে এ আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন একতা।
তিনি বলেন, ‘এ ছবির মুক্তির দিন অনেক আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। অনেক পরে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়েছে। আমরা নিশ্চয় গণনা করে জানতে পারিনি নির্বাচন কবে হবে। তাই নির্বাচনের সঙ্গে এ ছবির কোনো লেনদেন নেই। এ ছবিকে ঘিরে ভুল তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে।’
একতা কাপুর আরও বলেন, তিনি সব ধর্মকে সম্মান করেন। সিনেমার মাধ্যমে কোনো ধর্মের মানুষকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে চাননি। প্রকৃত দোষীদের মুখোশ খুলে দিতে চেয়েছেন।
একতার সুরেই কথা বলেছেন ছবির নায়ক বিক্রান্ত ম্যাসি। তাঁর ভাষ্যে, ‘আপনারা নির্বাচনের সঙ্গে ছবিকে মেলাবেন না। আমাদের দেশে (ভারতে) নির্বাচন আসে–যায়।’ তবে অভিনেতা স্বীকার করেন, এ ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি একের পর এক হুমকি পাচ্ছেন।
‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ ছবিটি নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে একতা বলেন, ‘না। আমরা এ ছবির জন্য মোদি বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা চাইনি।’ তবে নরেন্দ্র মোদিকে এ সিনেমা দেখাতে চান বলেও জানান বলিউডের এই প্রভাবশালী প্রযোজক।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রামচন্দ্রপুর খালের ওপর প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার প্রতিষ্ঠান ‘সুরের ধারা’র জমির লিজ বাতিল করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ভূমি মন্ত্রণালয়ের খাস জমি-১ অধিশাখার উপসচিব মো. আমিনুর রহমানের সই করা এক চিঠিতে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘সুরের ধারার চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে দীর্ঘমেয়াদি বন্দবস্ত দেওয়া ঢাকার মোহাম্মদপুর থানাধীন রামচন্দ্রপুর মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত সিএস ও এসএ-৬৯২, আরএস-১৮৯৫ এবং সিটি-১১৬৬৭ নম্বর দাগের ০.১৭০০ একর ও ১১৪১২ নম্বর দাগের ০.৩৪২০ একর মোট ০.৫১২০ (শূন্য দশমিক পাঁচ এক দুই শূন্য) একর জমি সিএস হতে আরএস রেকর্ডে ‘খাল’ শ্রেণি থাকায় উক্ত বন্দোবস্ত বাতিল করা হলো।’
মন্ত্রণালয় জানায়, এ বিষয়ে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য ঢাকার জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালে ‘সুরের ধারা’ গড়ে তোলেন প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। বিগত সরকারের আমলে ‘সুরের ধারা’র স্কুল পরিচালনার জন্য মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন একটি জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়।