প্রতি বছর ঈদকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয় প্রায় ৫০০ এর বেশি নাটক। তবে এবারের ঈদটা একটু ভিন্ন। দেশের করোনা পরিস্থিতিতে ২২ মার্চ থেকে বন্ধ আছে টিভি নাটকের শুটিং। সেকারণে ঈদ উপলক্ষ্যে সেভাবে নির্মিত হয়নি কোন নাটক।
তবে এমন পরিস্থিতির মধ্যেও ঈদুল ফিতরে ছোট পর্দার জনপ্রিয় নির্মাতা মাবরুর রশিদ বান্নাহ হাজির হচ্ছেন ভিন্ন গল্পের ৫ নাটক নিয়ে। যদিও এসব নাটকের শুটিং শেষ হয়েছে মার্চের মাঝামাঝি সময়ের আগেই।
বিজ্ঞাপন
এবারের ঈদের নাটক প্রসঙ্গে বান্নাহ বার্তা২৪.কমকে জানিয়েছেন, আমার কাছ থেকে বেশিরভাগ ভিউয়ার্স যে ধরনের কন্টেন্ট এক্সপেক্ট করেন তেমনি কন্টেন্ট এবারের ঈদের সবগুলো নাটক। সবাই বাসায় বসে কাজগুলো দেখবেন, আশা করি ভালো লাগবে।
ভিউ বাবা নাটকের শুটিং সেটে শিল্পীরা, ছবি: সংগৃহীত এছাড়া দেশের করোনা পরিস্থিতিতে মানুষকে সচেতন করতে ঘরে বসে ‘ভাই ব্রাদার্স’ শিরোনামের একটি শর্টফিল্ম সিরিজ নির্মাণ করেছেন এই নির্মাতা। যেখানে বান্নাহর সঙ্গে দেখা যাচ্ছে সায়েদ জামান শাওন, রাশেদ তানজিম অনিক সিয়াম নাসির এবং ফারহান অনেকেই। যা লুমিনো পিকচার্স ইউটিউব চ্যানেলে অবমুক্ত করা হচ্ছে।
ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা রাজীব, কালা আজিজ, মুকুল তালুকদার, মতিসহ অনেকেই মারা গেছেন নভেম্বর মাসে। তাদের স্মরণে আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এই মিলাদে অংশ নেন সমিতির শতাধিক শিল্পী। আজ বাদ আসর শিল্পী সমিতির প্রাঙ্গণে এফডিসির মসজিদের ইমাম এই মিলাদ পড়ান।
এ সময় শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর প্রয়াত শিল্পীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া চেয়েছেন। সভাপতি ছাড়াও এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দফতর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর এবং কোষাধ্যক্ষ কমল, কার্যনির্বাহী সদস্য সুব্রত, চুন্নু, রিয়ানা পারভিন পলি, সনি রহমান এবং চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি প্রমুখ।
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা বেশ লম্বা সময় পর্দায় নেই। এখনকার ব্যস্ততা, নতুন কাজের পরিকল্পনা, সংসার ভাঙার গুঞ্জন- সব নিয়ে অকপটে কথা বলেছেন বার্তা২৪.কমের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ
মাসিদ রণ: দীর্ঘদিন পর্দায় নেই আপনি। কারণ কী?
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা: বিশেষ কোনো কারণ নেই। দেশ একটা বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেলো। সঙ্গত কারণে সব সেক্টরের কাজের গতিই স্লো হয়ে গিয়েছিলো। এখন আস্তে আস্তে সব স্বাভাবিক হচ্ছে। আমার কাছেও কিছু কাজের প্রস্তাব এসেছে। শুনেছি গত বছরে আমার করা ওয়েব সিরিজ ‘মাইসেলফ অ্যালেন স্বপন’-এর নতুন সিজন নির্মাণ হবে। তবে কোনটাই এ বছর আর করা হবে না। কারণ ডিসেম্বর জুড়েই আমি চাকরীসূত্রে ব্রাকের কাজে দেশের বাইরে থাকবো।
মাসিদ রণ: নতুন বছর নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী?
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা: সত্যি বলতে নতুন বছর নিয়ে অনেক প্রত্যাশা আমার। নতুন বছরে বেশকিছু কাজ হবে। সবকিছুতেই নতুন নতুন পরিকল্পনা যোগ হবে। দেখা যাক কী হয়।
মাসিদ রণ: কলকাতাতেও নতুন কোন কাজের খবর আছে?
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা: না, কলকাতায় নতুন কাজে আর যুক্ত হইনি। সর্বশেষ গত ঈদে কলকাতায় গিয়েছিলাম। সেখানে না গিয়ে কাজ ফাইনাল করা ঠিক না। তবে সেখানে আমার একটি ছবি এখনো মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
মাসিদ রণ: অনেকদিন কলকাতা যাচ্ছেন না। সবচেয়ে কী মিস করেন সেখানে?
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা: কলকাতায় আমি সবচেয়ে বেশি সময় থেকেছি লকডাউনে। সে সময় তো খুব একটা বাইরে বের হওয়া কিংবা কাজ করার উপায় ছিলো না। তাই ঘরের মধ্যেই নিজেকে ব্যস্ত রাখার জন্য ছাদে ছোট্ট করে বাগান করা শুরু করি। আস্তে আস্তে সেই বাগানটিই বিশাল হয়ে যায়। কলকাতার কী মিস করি বলতে গেলে সবচেয়ে আগে নিজের হাতে গড়া সেই বাগানের কথাই আসবে।
মাসিদ রণ: সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে সংসারজীবন ভালো যাচ্ছে না, সম্প্রতি এমন খবর এসেছে গণমাধ্যমে। বিষয়টি আপনি পরিষ্কার করলে তো আর দর্শক মনে এ নিয়ে কোন দ্বিধা থাকে না...
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা: না, সেটা চাই না। শোবিজের মানুষদের প্রতি দর্শকের আগ্রহ থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। সেই আগ্রহ আরও বেড়ে যায় যখন কোন কৌতুহল তৈরি হয়। তাই আমি সব কৌতুহল মেটাতে চাই না। সব যদি বলেই দিই তাহলে আর দর্শকের আগ্রহ থাকবে কিভাবে! তারা যেভাবে খুশি ভাবতে থাকুক, সময়ই সব বলে দেবে। তাছাড়া আমার জীবনের কোন কথা সবাইকে বলব আর কোনটি বলব না- তার অধিকার তো আমি রাখি, তাই না? সবটা বলতে হবে কেন?
মাসিদ রণ: দর্শকের আগ্রহের কথা বলছিলেন। সেটা আপনার ওপর প্রবল, তা অন্তত সোশ্যাল মিডিয়া দেখলে বোঝা যায়। এর ফলে অনেক সময় অহেতুক কটাক্ষের শিকারও হতে হয় আপনাকে। বিষয়টি কিভাবে দেখেন?
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা: এই বিষয়ে আগেও কথা বলেছি নানা জায়গায়। আসলে শুরুতে একটু খারাপ লাগতো। কিন্তু এখন আর এগুলো আমাকে স্পর্শ করে না। কারণ, আমি বুঝতে শিখে গেছি যে, যারা আমাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের নেতিবাচক কথা বলে বেড়ায় তারা তো কেউ আমাকে বাস্তব জীবনে চেনে না। তারা হয়তো পত্র-পত্রিকা পড়ে কিংবা কারও মুখে শুনে আমার সম্পর্কে একটা ধারণা পোষণ করে।
কিন্তু আমি আসলেই কেমন তার খবর তারা না পাওয়াই স্বাভাবিক। আর যারা আমার সম্পর্কে সত্যি কিছু জানে না বা যারা আমার জীবনের সঙ্গে কোনভাবেই জড়িত নয় তারা কী বলল তাতে অহেতুক নিজেকে কষ্ট দিয়ে তো লাভ নেই। ফলে আমি এখন বলি, আপনাদের যার যা খুশি আমাকে নিয়ে বলুন, ভাবুন- আমার তাতে কিছু আসে যায় না। আমি জানি আমি কী করছি বা আমি কেমন মানুষ।
মাসিদ রণ: তারপরও শোবিজ তারকারাও তো রক্তে-মাংসে গড়া মানুষ। তাদেরও তো কোন কোন সময় হতাশা কাজ করে। আপনার ক্ষেত্রে বিষয়টি কেমন? কিভাবেই বা তা থেকে বের হয়ে আসেন?
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা: হ্যাঁ, সেটা ঠিক বলেছেন। আশেপাশের মানুষের জন্য কিংবা নিজের কিছু একান্ত কারণেও মাঝেমধ্যে লো ফিল হয়। একটি উদাহরণ দিতে পারি, আমি লকডাউনে কলকাতায় ছিলাম পুরোটা সময়। এর আগে সেখানে হয়তো দু-চার দিনের জন্য যাওয়া হলেও আমার কোন বন্ধু কিংবা তেমন পরিচিত কেউ ছিলো না। বৈবাহিকসূত্রে গিয়েছিলাম, এরপর আস্তে আস্তে নিজের একটা জগৎ সেখানেও তৈরি করে নিয়েছিলাম। তবে ওই সময় সত্যিই আমার খুব হতাশ লাগতো। লকডাউনে কলকাতার দিনগুলো হতাশার ছিলো- এটা বলতেই পারি। আমি তখন নিজেকে ঘরের মধ্যেই নানা কাজে ব্যস্ত রাখতাম। ওই সময়ই বাগান করার সিদ্ধান্ত নিই।
মাসিদ রণ: আবারও কাজের প্রসঙ্গে আসি। টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপনচিত্র দিয়েই আপনি তারকাখ্যাতি পান। সেখানে আপনার ইমেজ ছিলো পাশের বাড়ির মেয়ে। এখন কি সেই ইমেজ ভাঙার সংগ্রাম চলছে?
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা: আপনি নিশ্চয়ই আমার শেষ কিছু কাজ দেখে এ কথা বলছেন। যেমন ‘মাইসেলফ অ্যালেন স্বপন’-এর শায়লা, ‘মন্টু পাইলট’-এর বারবণিতা, ‘মায়া’র মায়াজাল সৃষ্টিকারী মায়া কিংবা ‘কাজলরেখা’র কঙ্কন দাসি। এই প্রতিটি চরিত্রই ভীষণ আলাদা, প্রত্যেকটি চরিত্রের মনস্তাত্বিক দ্বন্দ্ব ফুটে ওঠে পর্দায়।
আসলে ইমেজ ভাঙা কি না বলতে পারবো না, কিন্তু এটা সত্যি যে সব শিল্পীর মতো আমিও চাই নানা ধরণের চরিত্রে নিজেকে উপস্থাপন করতে। এমন চরিত্র করতে চাই যা আমাকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে নতুন কিছু করতে। যেমন কঙ্কন দাসি চরিত্রের মতো একটি নেতিবাচক চরিত্র যে আমি করতে পারব সেটা আমি তো ভাবিইনি, ছবির নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিমও পুরোটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বলে মনে হয় না। কিন্তু চরিত্রটি করার পর তো সাধারণ দর্শক থেকে শুরু করে সমালোচক, এমনকি আমাদের ইন্ডাস্ট্রির লেজেন্ডারি তারকাদের কাছ থেকেও প্রশংসা পেয়েছি।
মাসিদ রণ: টিভি নাটকে আর ফিরবেন না?
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা: সর্বশেষ চার বছর আগে টিভি নাটকে কাজ করেছি। এরপর অনেক নাটকের প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু যে ধরনের চরিত্র কিংবা গল্প পাই তাতে দেখা যায়, ওগুলো আমি আগেই করে ফেলেছি। নিজের কাছেই এক্সাইটিং লাগে না। তাহলে সেটি করলে দর্শক কতোটা পছন্দ করবে সে বিষয়ে তো সন্দেহ থেকেই যায়। তবে এমন না যে আমি টিভি নাটকই আর করতে চাই না। ভালো মানের কাজ আসলে অবশ্যই করব। কারণ, আমার ভক্তরা কমেন্ট বক্সে আমার কাছে সবচেয়ে যে আবদারটি করে সেটি হলো, তারা আমাকে বেশি বেশি পর্দায় দেখতে চায়। কারণ আমি তো কাজই করি বছরে দু-চারটি!
মাসিদ রণ: অভিষ্যতে ক্যারিয়ার প্ল্যান কী?
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা: আমি তো একজন পেশাগত উন্নয়নকর্মী। বাচ্চাদের ডেভেলপমেন্ট নিয়ে ব্র্যাকে কাজ করি দীর্ঘসময় ধরে। সেই কাজটি বরাবরই নিষ্ঠার সঙ্গে করি, ভবিষ্যতেও তাই করতে চাই। পিএইচডি টা যতো দ্রুত সম্ভব শেষ করতে চাই। আর অভিনয়ের ক্ষেত্রে ওই একটা কথাই বলার, নতুন কিছু করতে চাই। নয়তো সেখানে সময় দেবার ইচ্ছে নেই। তার চেয়ে অন্য অনেক কিছু করে ভালো সময় কেটে যাবে আমার।
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূজা চেরি। ইতোমধ্যেই ডজনখানেক ছবি উপহার দিয়ে দর্শকের মন জয় করেছেন নায়িকা। তবে বর্তমানে সিনেমা বা শ্যুটিং এর ব্যস্ততা না থাকলেও নানাবিধ মেকওভারে শ্যুট বা মডেলিংয়ে সময় দিচ্ছেন পূজা চেরি। কখনো বিভিন্ন রঙের শাড়িতে আবার কখনো গাউনের মতো পোশাকে ভিন্ন সাজে নিজেকে ধরা দিচ্ছেন।
নায়িকা পূজা চেরির সাম্প্রতিক ব্যস্ততা ছিল একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। বলা যায়, ঢালিউড মেগাস্টার শাকিবের ডাকে একজন শুভেচ্ছাদূত হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। কিন্তু সেখানে উপস্থিত হওয়ার সময় এক দুর্ঘটনার মধ্যে পড়তে যচ্ছিলেন নায়িকা!
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেখা যায়, ওই অনুষ্ঠানে বেগুনী রঙের একটি অফসোল্ডার গাউন পরে উপস্থিত হয়েছেন নায়িকা। তখন চলন্ত সিঁড়ি নেমে আসছিলেন নায়িকা। এসময় তার গাউনের পাইর সেই চলন্ত সিঁড়ির ফাঁকে আটকে যায়! এরপর তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন সেটা ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে সেটা বের করতে সফল হন তারা।
তবে এমন অবস্থায় পূজার মুখে কোনো শঙ্কার ছাপ না দেখা গেলেও তার অনুরাগীরা বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। যেন সাক্ষাৎ বড় কোনো দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন নায়িকা!
ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিওতে এক নেটিজেনের মন্তব্য ছিল, ‘ভাগ্যিস, খারাপ কিছু হয়নি। তবে এমন ড্রেস পরার সময় সাবধানতা জরুরি।’ আরেকজন আবার খানিকটা কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘যে পোশাক সামলাতে পারে না, সে পোশাক পরতে যায় কেন!’
সম্প্রতিই ঢাকাই চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের ডাকে তারকাদের হাঁট বসেছিল রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে। উপলক্ষ্যে ছিল হাইজিনিক টয়লেট ক্লিনিং ব্র্যান্ড টাইলক্সের ‘টাইলক্স হাইজিনিক আবাস’ নামের একটি ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন। সেখানকার আয়োজনের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে তারকাদের মিলনমেলার মুহূর্ত উঠে আসে।
শাকিব খান ও পূজা চেরি ছাড়াও সেদিন অনুষ্ঠানে ছিলেন সিয়াম আহমেদ, পরীমণি, বিদ্যা সিনহা মিম, দীঘিসহ অনেকে। বলা যায়, প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে নানান অংশীদারিত্ব রয়েছে এ সকল তারকাদের সঙ্গে।
লেখালেখি, সঙ্গীত পরিচালনা, উপস্থাপনার পর এবার অভিনয়ে নাম লেখালেন তানভীর তারেক। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া অনন্য মামুন পরিচালিত ‘দরদ’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। সমসাময়িক বিষয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ
এখন থেকে কী অভিনয়ে নিয়মিত হবেন?
তা কখনওই না। অভিনয় আমাকে দিয়ে হবে না। ‘দরদ’-এর ব্যাপারটা ভিন্ন, কারণ এখানে আমি ‘তানভীর তারেক’ হিসেবেই হাজির হয়েছি। অনন্য মামুন আমাকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন অনেক আগে। এরপর একদিন হুট করেই বলেন, আমাকে একটি চরিত্রে কাজ করতে হবে। প্রথমে রাজী হইনি। পরে মামুন বললেন যে- ছবিতে আমি আমার চরিত্রেই থাকবো। ভাবলাম নিজের ক্যাম্পেইন হোক, ক্ষতি কী! আর শাকিব খানের ছবির একটা বাড়তি ক্রেজ করে। এরপর শুটিং করলাম।
শাকিব খানের মুভিতে নিজেকে বড় পর্দায় দেখে কেমন লাগলো?
আমার তো ভালই লেগেছে। বিশেষ করে আমি বলতে চাই, বড় পর্দায় আমার ছেলে আমাকে দেখে খুব অবাক আর খুশী হয়েছে। হলে সে চিৎকার দিয়ে উঠেছে। যেহেতু দেশের বাইরে। এই দৃশ্যটা আমি মিস করেছি। ছেলে আমাকে ফোন দিয়েছে সিনেমা হলে বসেই। ছেলের ঐ উচ্ছ্বাসটুকুর জন্য হলেও এই কাজটি আমার স্বার্থক। অনন্য মামুনের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
এর আগে তো আফজাল হোসেন এর নির্মানে একটি ছবিতেও অভিনয় করেছেন?
হুম, সেখানেও আমি আমার চরিত্রেই। একজন সঙ্গীতপরিচালক হিসেবে কাজ করেছি। ওটা অনেকটা আফজাল হোসেনের আদেশে মান্য করার জন্য করা। সরকারী অনুদানের শিশুতোষ সেই চলচ্চিত্রটি এখনও মুক্তি পায়নি।
বেশ দীর্ঘ সময় ধরে আপনি যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। সেখানে একটি শো করেছেন। দেশে কী সহসা ফিরবেন না?
ফিরবো তো বটেই। এখানে এটিভি ইউএসএ চ্যানেলে ‘সমকালীন বাংলাদেশ’ নামের একটি অনুষ্ঠান করছি। অনুষ্ঠানটি সমকালীন রাজনীতি নিয়ে। সমাজের বিশিষ্ট মানুষদের নিয়ে শো’টা আমি উপস্থাপনা করছি। এরইমধ্যে ১২টি পর্ব প্রচার হয়েছে। বর্তমান সময় ও বাংলাদেশের পলিটিক্যাল কালচার নিয়ে আলোচনা হয়। চ্যানেলটির জন্য নাটক লিখছি ও ডিজিটাল প্লাটফর্মে কাজ করছি। একই সাথে অনলাইনে কোলাহলও দেখাশোনা করছি। খুব শিগগিরই দেশে ফিরবো।
মোটেই না। তবে এবার একটি কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে খুব ভালো লাগছে, তা হলো আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর পর প্রথম কোনো আনরিলিজ গান নিয়ে একটি কাজ করেছি আমি। গানটা প্রখ্যাত গীতিকবি নিয়াজ আহমেদ অংশু’র লেখা। গানটির নাম ‘ইনবক্স’। গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছি আমি।
অভিনয়, কন্টেন্ট ক্রিয়েশন ও মিউজক ভিডিও নির্মাণ- তার মানে পুরোদস্তুর ভিজ্যুয়াল মিডিয়াতেই ব্যস্ত আপনি?
না, গানটাও চলছে। দুটি চলচ্চিত্রের গানের কাজ করলাম। এখানে একটি পোর্টেবল রেকর্ডিং স্টুডিও রয়েছে আমার। এর সাথে কাইনেটিকের তানভীর শাহিনের ‘থ্রি এম স্টুডিওতে’ কাজ করলাম। সে গানগুলোও রিলিজ পাবে।
এখনকার কন্টেন্ট ও মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যৎ কী বলে মনে করেন?
ভবিষ্যত ভালো, তবে খুব প্রতিযোগিতাপূর্ণ ও ঝুঁকিপুর্ণ। আগামীতে কাউকে তারকাখ্যাতি পেতে অনেক বেগ পেতে হবে। প্রচুর ভিউ হয়ত সে পাবে, কিন্তু তারকা হতে পারবে না। ভক্তদের মোহের মানুষ আগামীতে কমে যাবে। আজ আপনি গ্রামে যান, সেখানেও দেখবেন পপুলার টিকটকার রয়েছে। সেই টিকটকার ঐ এলাকায় শাহরুখ খানের সমাদর পাচ্ছে। তাই এখন সারাদেশের মোড়ে মোড়ে শাহরুখ খান। সুতরাং প্রত্যেকের ভেতরে এই যে কন্টেন্ট-এর নেশা ও এ থেকেই অর্থ আয়ের যে বিষয়, এটা আমাদের অস্থির করে তুলেছে। অনেকটা ঝড়ে আম পড়ার মতো অবস্থা! গ্লোবাল কন্টেন্ট ইন্ডাষ্ট্রিতেও এখন একই চিত্র। তাই চোরও যেমন আম কুড়াতে আসছে, ভদ্রলোকও আসছে। আম পাবার সুযোগটা সেও ছেড়ে দিতে চাইছে না! কাউকেই আপনি দোষ দিতে পারবেন না। এটা নিয়তি বা প্রযুক্তির প্রবণতা। আপনি এ থেকে বেরোতে পারবেন না।