ড্রিম প্রজেক্টের গল্প লেখার কাজ শেষ রাফির
সিনেমার পরিচালক রায়হান রাফি করোনার সময়ে ঘরে বসে নির্মাণ করেছেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘কানেকশন’। তাহসান খান ও বিদ্যা সিনহা মিম অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাচ্ছে ২৯ মে। এছাড়া মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘পরাণ’ সিনেমা ছাড়াও রাফির হাতে আছে বেশ কয়েকটি সিনেমার কাজ। এসব বিষয় নিয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন রাফি। তাকে ফোনে ধরেছেন গোলাম মোর্শেদ সীমান্ত।
বার্তা২৪.কম: ‘কানেকশন’ ভিন্ন কি দেখতে চলেছেন দর্শক?
রায়হান রাফি: আসলে দর্শক কাজে এতটা ভিন্নতা দেখবে বলে আমার মনে হয় না। বাসায় বসে থেকে আমরা সকলে সকলের জায়গা থেকে কাজটা করেছি। কানেকশন শর্ট ফিল্মটা বলা যায় একটা পরীক্ষামূলক কাজ আমাদের। ঘরে বসে ভিন্ন ভাবে কিছু করা সম্ভব কিনা তাই আমরা চেষ্টা করলাম। এতটুকু বলতে পারি লকডাউন মধ্যে যতগুলো শর্ট ফিল্ম হয়েছে সেগুলো থেকে অন্যরকম কিছু একটা পাবে দর্শক এটা আশা করি। লকডাউনের মধ্যেও দুইটা মানুষের ভালোবাসা ও তা পাওয়ার গল্প ‘কানেকশন'। ৩-৪ দিন লেগেছে পুরো শুটিং শেষ করতে। সবমিলিয়ে ১৫-২০ মিনিট দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে শর্ট ফিল্মটার।
বার্তা২৪.কম: কিভাবে শুরু হলো ‘কানেকশন’র কাজ?
রায়হান রাফি: আমরা আসলে সকলেই কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকি, করোনার কারণে দীর্ঘসময় আমরা কাজের বাইরে। প্রথমে মিম বললো আমাকে একটা শর্ট ফিল্ম বানিয়ে দাও আমার চ্যানেলের জন্য। তারপর তাহসান ভাই একটা গল্প চিন্তা করলো। এভাবেই পরিকল্পনা থেকে ঘরে বসে শুটিং। বাসার লোকজন যারা সিনেমার ফ্রেমের কিছু সম্পর্কেই ধারণা নেই তাদের হাতে দায়িত্ব আসলো চিত্রগ্রহণের। যেমন মিমের মা ছিলেন তার চিত্রগ্রাহক। কাজটা আসলে কোন বাণিজ্যিকীকরণ করার উদ্দেশ্য করা নয় ঘর বন্দী অবস্থায় দর্শকদের ঈদে উপহার দেওয়ার জন্যই করা মূলত। যারাই কাজটা করেছে সকলেই বিনা পারিশ্রমিকে কাজটা করেছে।
বার্তা২৪.কম: ঘরে বসে অ্যাকশন কাট বলার অভিজ্ঞতা কেমন?
রায়হান রাফি: শুটিং এর কথা চিন্তা করলেই আমার মাথায় প্রথমে আসে থ্রি, টু, ওয়ান অ্যাকশন। সে জায়গায় আমরা ঘরে বসে শুটিং করেছি সেহেতু অভিজ্ঞতাটা নতুন। আমার যে শট টা বুঝাতে এক মিনিট লাগতো তা আমাকে বুঝাতে দশ মিনিট লেগেছে, এটাই আসলে ভিন্ন অভিজ্ঞতা। ইন্টারনেটের কল্যাণে ভিডিও কলে এসে ডিরেকশান দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যতক্ষণ তারা অভিনয় করেছে আমি ততক্ষণ ভিডিও কলে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করেছি যাতে সবকিছু পারফেক্ট হয়।
বার্তা২৪.কম: আপনার হাতে থাকা সিনেমাগুলোর কি অবস্থা?
রায়হান রাফি: ‘পরাণ’ মুক্তি জন্য তৈরি; সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে হয়তো এতদিনে মুক্তি পেয়ে যেতো। এছাড়া ‘স্বপ্নবাজি’ ও ‘ইত্তেফাক’ সিনেমা কাজ মাঝপথেই আটকে গিয়েছে লকডাউনের কারণে। ‘ইত্তেফাক’ কাজ প্রায় শেষের পথে ছিলো। এছাড়া ‘স্বপ্নবাজি’ সিনেমা কাজ অর্ধেক হয়েছে লকডাউনের আগে। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ‘পরাণ’ মুক্তি পাবে এবং বাকি সিনেমার কাজ শুরু করবো।
বার্তা২৪.কম: করোনা শেষে দেশের চলচ্চিত্র কিভাবে ঘুরে দাঁড়াবে?
রায়হান রাফি: আসলে শুধু চলচ্চিত্র অঙ্গনে নয় সকল ক্ষেত্রে বিরাট প্রভাব পড়বে করোনার পরবর্তী সময়ে। করোনার শেষ হওয়ার পর হলে দর্শক পাওয়া বড় মুশকিল হয়ে যাবে; কেননা সচেতন মানুষ করোনার শেষ হওয়ার পরেও বেশ কয়েকদিন জনবহুল স্থানে আসবে না। আমাদের তখন ভিন্ন পরিকল্পনা সাজাতে হবে। করোনার পরবর্তী সময়ে আমরা নানান চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবো আমাদের উচিত সকলে একত্রিত হয়ে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করা। আমি পজিটিভ চিন্তার মানুষ আমি বিশ্বাস করি আমরা এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবো।
বার্তা২৪: ঘরে কিভাবে সময় কাটছে আপনার?
রায়হান রাফি: আমার ব্যস্ত সময়ই যাচ্ছে। আমার একটা ড্রিম প্রজেক্ট আছে সেই কাজটার জন্য গল্প লেখা সম্পূর্ণ করেছি কিছুদিন আগেই। এছাড়া নতুন কিছু সিনেমার গল্প নিয়ে চিন্তা করছি। বলা যায় গল্প চিন্তা করা এবং লেখালেখি করেই আমার ঘর বন্দী সময় অতিবাহিত হচ্ছে।