সুশান্তের আত্মহত্যা: সালমান খানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বিনোদন
বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে সালমান খান, করণ জোহর, একতা কাপুর, পরিচালক সঞ্জয়লীলা বনসালিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভারতীয় এক আইনজীবী।
বুধবার (১৭ জুন) বিহারের মুজ্জাফরপুরের আদালতে এই মামলা দায়ের করেন আইনজীবী সুধীর কুমার ওঝা, বলে খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে আইনজীবী সুধীর কুমার ওঝা জানিয়েছেন, সালমান খান, করণ জোহর, একতা কাপুর, সঞ্জয়লীলা বনসালিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আমি মামলা দায়ের করেছি। ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩০৬, ১০৯, ৫০৪ এবং ৫০৬ ধারায় এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইচ্ছে করে এমন পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল, যার জেরে আত্মহত্যার মতো চরম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হন সুশান্ত।
I have filed a case against 8 people including Karan Johar, Sanjay Leela Bhansali, Salman Khan & Ekta Kapoor under Sections 306, 109, 504 & 506 of IPC in connection with actor Sushant Singh Rajput's suicide case in a court in Muzaffarpur, Bihar: Advocate Sudhir Kumar Ojha pic.twitter.com/9jNdqvXVKr
সুশান্তের আত্মহত্যার পর অভিযোগ উঠেছে, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে প্রায় ৭টি বড় ব্যানারের সিনেমা হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল সুশান্তের। এছাড়া বেশ কিছু কারণে সালমান খানের প্রযোজনা সংস্থাসহ বলিউডের প্রভাবশালী প্রায় সব প্রযোজনা সংস্থা ‘নিষিদ্ধ’ করেছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুতকে। এইসব কারণেই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন এই তরুণ অভিনেতা।
রোববার (১৪ জুন) মুম্বাইয়ের বান্দ্রার নিজের ফ্ল্যাটে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে ‘আত্মহত্যা’ করেন বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। তবে কখন, কোন সময় আর কি কারণে সুশান্ত আত্মহত্যা করেছে সেই তথ্য এখনো মেলেনি।
নাটক ও ওটিটির মেধাবী অভিনেত্রী তানজিকা আমিন আজ বিয়ে করেছেন। মা ইসমত আরা মিনার বিয়ে হয়েছিলো আজ থেকে ৪০ বছর আগে। মা যত্নে রেখে দিয়েছিলেন তার বিয়ের শাড়িটি। আর সেই শাড়ি পরেই বিয়ে করেছেন তানজিকা।
আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকার বেইলি রোডে তানজিকাদের বাসায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এতে দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনেরা উপস্থিত ছিলেন। বার্তা২৪.কমকে বিয়ের খবর নিশ্চিত করেছেন তানজিকা নিজেই।
এই অভিনয়শিল্পীর বর অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী। তার নাম সাইফ বাসুনিয়া। ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি সিডনিতে থাকেন।
অভিনেত্রী বলেন, ‘আজ আমাদের আকদ হয়েছে। জুমার আগে, একেবারে পারিবারিকভাবে। আত্মীয়স্বজনেরা ছিলেন। সাইফকে (তার স্বামী) আমি ২০১৮ সাল থেকে চিনলেও কখনো তাকে বিয়ে করব, এমনটা ভাবিনি। তবে আমাদের বন্ধুত্ব ছিল। সেটা যে প্রেম বা বিয়েতে গড়াবে, তা ভাবিনি। অবশেষে তা হয়ে গেল।’
কবে থেকে ভাবলেন, এই বন্ধুকে বিয়ে করা যায়? এমন প্রশ্নের জবাবে তানজিকা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দুই মাস আগে ভাবলাম তার সঙ্গে বিয়ে নিয়ে ভাবা যায়। তবে বিষয়টা পুরোপুরি পরিবারের মধ্যে ছিল। সাইফকে আমার মায়ের খুব ভালো লাগত। ভীষণ পছন্দ করতেন, আগে থেকে চিনতেনও। পারিবারিকভাবে বিয়ে নিয়ে আমার ওপর চাপও ছিল। একটা সময় এসে পারিবারিক চাপ মেনে নিতে হয়েছে। এটাও ঠিক যে আমারও তাকে ভালো লাগত। আমি জানতাম, সে খুব ভালো একজন মানুষ। মানবিক মানুষ। মনে হয়েছে, সে–ই আমার জন্য সবচেয়ে সঠিক মানুষ, যাকে জীবনসঙ্গী করা যায়।’
তানজিকা আরও বলেন, ‘এটা বুঝেছি, যখন থেকে মনে হলো জীবনসঙ্গী করা যায়, তখন থেকে। বন্ধু হিসেবেও যখন দেখছিলাম, তখনো বুঝেছি সে অসম্ভব ভালো একটা মানুষ। সে আমাকে বোঝেও; যেটা সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি।’
কথায় কথায় তানজিকা বলেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি যে জীবনে সিঙ্গেল থাকব। সব সময় মনে হয়েছে, বিয়ের জন্য এটা সঠিক সময় নয়। এবার মনে হয়েছে, সঠিক সময় এবং সঠিক মানুষের দেখাও পেয়েছি। তাই বিয়ের সিদ্ধান্ত না নিয়ে পারিনি।’
হুট করে বিয়ের কাজ সেরে ফেললেও এ মাসের মধ্যেই বিবাহপরবর্তী বাকি সব আনুষ্ঠানিকতা করার ইচ্ছা রয়েছে তানজিকার।
বিয়েতে মায়ের বিয়ের শাড়ি পরা নিয়ে তানজিকা বলেন, ‘‘বেশ কয়েক বছর আগে আমার মায়ের বিয়ের শাড়ি দিয়ে ওড়না বানানোর ইচ্ছা ছিল। বিয়ের ওড়না। যে আমার বিয়ের কস্টিউম করেছে, সে বলল, ‘আপু আন্টির শাড়িটা এত সুন্দর! এটা কেটে ওড়না কেন বানাবে? এটা কেন তুমি বিয়েতে পরছ না?’ তারপর ভাবলাম, আসলেই কেন নয়! এরপর সেটার সঙ্গে মানিয়ে যায় সে রকম ওড়না, ব্লাউজ ও অন্য সবকিছু সে বানিয়ে দিয়েছে। আমি যে গয়না পরেছি, সেটাও ৫০ বছর আগের নকশা করা।’’
বিয়ের পর কি দেশে থাকবেন নাকি অস্ট্রেলিয়ায় চলে যাবেন? এমন প্রশ্নে তানজিকা বলেন, ‘অভিনয় তো আমার প্রাণের জায়গা। ঢাকা আমার প্রাণের শহর। তবে কিছু কারণে আমাকে তো যাওয়া–আসার মধ্যে থাকতে হবে।’
চলতি শতকের সেরা ২৫ পপশিল্পীর তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিখ্যাত ম্যাগাজিন ‘বিলবোর্ড’। তবে সবার শীর্ষে কে আছেন এই তালিকায়? তা জানতে সবার আগ্রহ সবচেয়ে বেশি।
যিনি রয়েছেন এক নম্বর পজিশনে তিনি বিয়ন্সে। তবে তাকে ঠিক পুরস্কার আর টপ চার্টের অবস্থান দিয়ে বোঝানো যায় না। এই সময়ের বিচারে হয়তো সবচেয়ে জনপ্রিয় পপ তারকার জরিপ করলে টেইলর সুইফট এগিয়ে থাকবেন, কিন্তু হিসাবটা যখন এই শতকের; বিয়ন্সে সেখানে অনায়াসে সবাইকে টেক্কা দেবেন। গত দুই যুগে কৃষ্ণাঙ্গ গায়িকা হিসেবে বিয়ন্সে যে উচ্চতায় পৌঁছেছেন, পপ কালচারে তার যে প্রভাব, সেটা বোঝাতে কোনো পরিসংখ্যানই যথেষ্ট নয়। অনুমিতভাবেই বিলবোর্ডের একুশ শতকের সেরা পপ তারকার তালিকায় শীর্ষে জায়গা পেয়েছেন ৪৩ বছর বয়সী গায়িকা।
২০০০ সালের ১৮ মার্চ। এই শতকে প্রথমবার বিলবোর্ড হট ১০০ তালিকার শীর্ষে উঠে আসেন বিয়ন্সে। গায়িকা তখন ছিলেন নারীদের ব্যান্ড ডেস্টিনিস চাইন্ডের সদস্য। ‘সে মাই নেম’ নামে গানটি প্রকাশের পরই ঝড় তুলেছিল। বিলবোর্ড, রোলিং স্টোনসহ সব গণমাধ্যমের বিচারেই সর্বকালের সেরা গানের তালিকায় জায়গা পেয়েছে এটি। এবার আসা যাক চলতি বছরের মার্চে। ২ মার্চ বিয়েন্সের গান ‘টেক্সাস হোল্ড ’এম’ বিলবোর্ড হট ১০০-এর শীর্ষে উঠেছিল, যা ছিল এই শতকে বিলবোর্ডের হট ১০০ তালিকার শীর্ষে জায়গা পাওয়া বিয়ন্সের ১২তম গান। এ ছাড়া বিলবোর্ডের অ্যালবাম চার্টে ছিল বিয়ন্সের ১০টি অ্যালবাম।
গানের কথা তো গেল, এবার আসা যাক পুরস্কার প্রসঙ্গে। গত মাসেই গ্র্যামি মনোনয়নে রেকর্ড গড়েছেন বিয়ন্সে। ৬৭তম গ্র্যামির মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়। যেখানে সর্বোচ্চ ১১ মনোনয়ন পেয়েছেন বিয়ন্সে। সব মিলিয়ে গায়িকার গ্র্যামি মনোনয়নের সংখ্যা হলো ৯৯। এত মনোনয়ন নেই আর অন্য কোনো শিল্পীর। এখন পর্যন্ত ৩২টি গ্র্যামি জিতেছেন বিয়ন্সে, ৩০টি এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস এবং বিলবোর্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস আছে ২৭টি।
১৯৮১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে জন্ম বিয়ন্সের। চলতি বছরের ২৯ মার্চ মুক্তি পাওয়া নিজের সর্বশেষ অ্যালবাম ‘কাউবয় কার্টার’ দিয়ে গায়িকা যেন ফিরে গেছেন নিজের শৈশবে। অ্যালবামটিতে গানে গানে মূলত কৃষ্ণাঙ্গ কাউবয়দের সংস্কৃতি তুলে ধরেছেন বিয়ন্সে। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে লোকসংগীত, রক অ্যান্ড রোল, জ্যাজ, পপসহ নানা ধরনের গান শুনে বড় হয়েছেন বিয়ন্সে। অ্যালবামটিতে শৈশব আর কৈশোরে শোনা সেসব গানের মূল ভাব ছড়িয়ে দিয়েছেন এই প্রজন্মের শ্রোতাদের কাছে। কণ্ঠে মাদকতা, মঞ্চে বুনো পারফরম্যান্স, গানের কথায় শিকড়ের গন্ধ, নারী স্বাধীনতা মিলিয়ে এমন গায়িকা বিশ্বসংগীত আর কবে পাবে, কে জানে।
সেরা পাঁচে আরও আছেন
তালিকার দুইয়ে আছেন টেইলর সুইফট। মাত্র ১৭ বছর বয়সে সংগীতে তার যাত্রা শুরু হয়েছিল। এরপর দুর্দান্ত সব গান, একের পর এক পুরস্কার, রেকর্ড কোম্পানির সঙ্গে লড়াই মিলিয়ে সুইফট হয়ে উঠেছেন বিশ্বসংগীতের অন্যতম শীর্ষ তারকা। তিনি তৈরি করেছেন অবিশ্বাস্য এক ভক্ত-অনুরাগীর দল, যারা পরিচিতি পেয়েছে ‘সুইফটিজ’ নামে। তাঁর চলমান ‘দ্য ইরাস ট্যুর’ কনসার্ট নানা বিচারেই হয়ে উঠেছে এই শতকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কনসার্ট ট্যুর।
বিলবোর্ড-এর তালিকার তিনে রয়েছেন ক্যারিবিয়ান গায়িকা রিয়ানা। ইদানীং তিনি গান নয়; বরং ব্যবসা নিয়েই বেশি ব্যস্ত। তবে পুরো এক শতাব্দীর বিচারে তাকে টেক্কা দিতে পারেনি নতুন প্রজন্ম। তাছাড়া গান, নানা দাতব্য কার্যক্রম দিয়ে তার যা সামাজিক অবদান, তাতে রিয়ানাকে ভোলা কঠিন। গায়িকাদের মধ্যে প্রথম বিলিয়নিয়ার তিনি। টপ চার্টে শীর্ষ স্থান, পুরস্কারের বিচারে কাগজে–কলমে তার চেয়ে অনেক শিল্পী আছেন, কিন্তু একেবারে ভিন্নধর্মী গায়কি আর মাদকতা মিলিয়ে রিয়ানার বিকল্প আসলে কেউই নেই। তাই অনেক দিন গানে সেভাবে সক্রিয় না থেকেও ঠিকই তালিকার তিনে আছেন ৩৬ বছর বয়সী তারকা।
সেরা পাঁচে থাকা একমাত্র পুরুষ সংগীতশিল্পী ড্রেক। এই কানাডীয় র্যাপার আছেন ৪ নম্বরে। শুরুতে অভিনয় করতেন, তবে ২০১০, ২০১১ ও ২০১৩ সালে তিন অ্যালবাম দিয়ে বলা যায় রাতারাতি বিশ্বসংগীতে নিজের অস্তিত্ব জানান দেন তিনি। গত ১৫ বছরে হয়ে উঠেছেন তরুণদের অন্যতম প্রিয় শিল্পী।
তালিকার পাঁচে আছেন লেডি গাগা। অদ্ভুত পোশাক দিয়ে বারবার চমকে দেন তিনি। হালে অভিনয় দিয়েই বেশি আলোচিত। শৈশবটা কেটেছে নানা যন্ত্রণায়। গানে গানে সেসব ঘটনার অনেক কিছুই তুলে এনেছেন লেডি গাগা। তাঁকে বলা হয় পপ গানের রানি, ‘বিতর্কের রানি’ বললেও ভুল হয় না। তবে প্রতিভাবান এই খ্যাপাটে তারকা নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে সব ভুলিয়ে দিয়েছেন বারবার।
ক্যারিয়ার কার্যত শেষ। অনেক দিন সেভাবে গানে নেই। ব্যক্তিজীবন নানা বিতর্কে ভরা। তবু চলতি শতকের পপসংগীতের ইতিহাস লিখতে হলে ব্রিটনি স্পিয়ার্সের নাম আপনাকে শুরুর দিকেই রাখতে হবে। বিলবোর্ডের এই তালিকায় তিনি রয়েছেন ৬-এ।
তালিকার ৭-এ রয়েছেন বিতর্কিত মার্কিন র্যাপার কনইয়ে ওয়েস্ট। তার বিরুদ্ধে অনেক গুরুতর অভিযোগ আছে, নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। তবে গানের কারণে তার বিশ্বব্যাপী আলাদা শ্রোতা আছে।
শারীরিক অসুস্থতা ও পারিবারিক কারণে অনেক দিন সেভাবে গান বা কনসার্টে নেই জাস্টিন বিবার। তবে এই কানাডীয় তারকা চলতি শতকের অন্যতম শীর্ষ পপশিল্পী, তাতে সন্দেহ নেই। বিলবোর্ডের তালিকায় তিনি আছেন ৮ নম্বরে।
গত মাসেই তার অভিনীত সিনেমা ‘উইকেড’ মুক্তি পেয়েছে। তবে অভিনয় নয়, বরং গান দিয়েই আলোচিত আরিয়ানা গ্রান্দে। এই গায়িকা রয়েছেন তালিকার ৯ নম্বরে।
তালিকার ১০-এ রয়েছেন ব্রিটিশ গায়িকা অ্যাডেল। ২০০৬ সালে ক্যারিয়ার শুরুর পর বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। ৩৬ বছর বয়সী এই তারকার সর্বশেষ প্রকাশিত অ্যালবাম ‘৩০’।
তরুণ পরিচালক রানা বর্তমান নির্মান করলেন নতুন টেলিছবি ‘এতদিন কোথায় ছিলে’। মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন এ সময়ের অন্যতম তরুণ মেধাবী অভিনেতা সোহেল মণ্ডল ও ‘ব্যাচেলর পয়েন্টৎ ধারাবাহিকে জনপ্রিয়তা পাওয়া লামিয়া লাম। টানা তিনদিন শুটিং-এর পর টেলিফিল্মটি এখন সম্পাদনার টেবিলে। চলতি মাসেই দেশের প্রথমসারির একটি টিভি চ্যানেল ও ডিজিটাল ফ্ল্যাটফর্মে টেলিফিল্মটি প্রকাশিত হবে।
ত্যাগ বিশ্বাস আর ধৈর্য্য একটি সম্পর্ককে কতোটা মধুর করে, কতোটা আপন করে তা নিয়ে ‘এত দিন কোথায় ছিলে’র গল্প। টেলিফিকশনটি প্রযোজনা করেছেন দেশের আলোচিত প্রতিষ্ঠান গ্রীন ওয়েব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান শাহেদ চৌধুরী। টেলিফিল্মটি রচনা করেছেন ‘পোড়ামন ২’, ‘লিডার আমি বাংলাদেশ’সহ বেশকিছু জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের লেখক দেলোয়ার হোসেন দিল। চিত্রগ্রহণ করেছেন এ সময়ের ব্যাস্ত ক্যামেরা আর্টিস্ট আমির হামজা। আলোকসজ্জায় ছিলেন কাশেম।
টেলিছবিটিতে আরও অভিনয় করেছেন নিয়াজ মোহাম্মদ তারিক, হাসিমুন, আনবি রনি, মিষ্টি আক্তার, অরশি রহমান, রাজন, আব্দুল আজিম। বিশেষ ভূমিকায় দেখা যাবে জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও মোহাম্মদ আলিমুল্লাহ খোকনকে।
নির্মাতা রানা বর্তমান বলেন, ‘ঢাকা ও ঢাকার বাইরে শুটিং করেছি। শুটিং করতে গিয়ে হরেক সমস্যার সম্মুখীন হলেও সকল বাধাকে উপেক্ষা করে কাজটি শেষ করেছি। এর গল্পটি দেহ কিংবা যৌন ক্ষুধার নয়, গল্পটি মনের ক্ষুধা আর অন্ধবিশ্বাসের একটি মিস্ট্রি। গল্পটি প্রেমের, গল্পটি ত্যাগের, গল্পটি বিশ্বাসের। অচিরেই দেখতে পাবেন। আশা করছি দর্শক টেলিছবিটি উপভোগ করবেন।’
গতকাল মুক্তি পেয়েছে সুকুমার পরিচালিত বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘পুষ্পা: দ্য রুল’। মুক্তির পরেই ছবিটি বক্স অফিসে রীতিমতো ঝড় তুলেছে। সাধারণ দর্শক থেকে সমালোচক, মোটাদাগে সবাই পছন্দ করেছেন সিনেমাটি।
পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যম ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর অনলাইন সংস্করণে ‘পুষ্পা ২’ নিয়ে লেখা হয়েছে, ‘ছবির প্রথমার্ধের কিছু জায়গা ধীরগতির। তবে দ্বিতীয় ভাগ টান টান ও অ্যাকশনে ভরপুর। আর সেখানেই রয়েছে “পুষ্পা ৩: দ্য র্যামপেজ”-এর আভাস। ছবির প্রাণভোমরা অবশ্যই আল্লু অর্জুন। অভিনেতাকে দেখতে দেখতে আশির দশকের “দয়াবান” সিনেমার বিনোদ খান্নার কথা মনে পড়েছে।’
সমালোচক ভরদ্বাজ রঙ্গন ইউটিউব চ্যানেল গালাটা প্লাস-এ বলেন, ছবিটিতে আল্লু অর্জুন দুর্দান্ত। আল্লু অর্জুন ও ফাহাদ ফাসিলের দ্বৈরথও দারুণ; কিন্তু পরে নতুন খলনায়কেরা আসার পর ছবি গতি হারায়।
ইউটিউব চ্যানেল ‘অরিত্রস জ্ঞান’-এ অরিত্র সিনেমাটি নিয়ে নিজের ভিডিওতে বলেছেন, ‘ছবির প্রতিটি দৃশ্যই খুব উপভোগ্য। পুরো সিনেমাটাই জমজমাট। কেবল অ্যাকশন নয়, পুরো সিনেমাটি বরং বুদ্ধির খেলা। আল্লু অর্জুন দুর্দান্ত, দেখার পর আপনিও বলবেন এ ছবির জন্যও তাঁর জাতীয় পুরস্কার পাওয়া উচিত।’ ছবিতে রাশমিকা মান্দানার পারফরম্যান্সেরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি।
ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ ১৮ ‘পুষ্পা ২’কে ৫-এ ৫ দিয়েছে। গণমাধ্যমটি লিখেছে, ‘আল্লু অর্জুনের এই পারফরম্যান্স মিস করা উচিত হবে না।’
আরেক গণমাধ্যম ডিএনএ ৫-এ ৪.৫ দিয়ে লিখেছে, ‘ছবিটি বাণিজ্যিক সিনেমায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ভক্তদের প্রত্যাশা বলা যায় কড়ায়গন্ডায় মিটিয়েছে।’
পিঙ্কভিলা ছবিটিতে ৫-এ ৩.৫ দিয়েছে। এই গণমাধ্যম লিখেছে, ‘বাণিজ্যিক উপাদানে পুরোপুরি ভরপুর এই সিনেমা। আল্লু অর্জুনের নায়কোচিত পারফরম্যান্স, দুর্দান্ত অ্যাকশন, মজ সবাই আছে। তবে চিত্রনাট্য আরও ভালো হতে পারত।’
‘পুষ্পা ২’ সিনেমাতেই স্পষ্ট হয়েছে, সামনে ‘পুষ্পা ৩’ আসবে। সেই সিনেমায় ‘পুষ্পা’ হয়তো হাজির হবেন জাপানে। সে গল্প জানতে আরও অপেক্ষা করতে হবে।