উপনিবেশিক শাসনামলে বাংলা ভাষায় ইতিহাসচর্চা

  • ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

 

ইতিহাসচর্চার ঐতিহ্য হাজার বছরের পুরনো হলেও বাংলা ভাষায় ইতিহাসচর্চার সূত্রপাত খুব বেশী দিনের নয়। উপনিবেশিক শাসনামলেই বাংলা ইতিহাসচর্চার ধারা শুরু হয়েছিল। অষ্টাদশ শতকে কোলকাতায় এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠার পর ¬¬¬¬¬গবেষকদের হাতে যখন ভারত বিদ্যার জ্ঞান বিস্ফুরিত হচ্ছিল, তখন থেকেই ইতিহাস চর্চার ধারা শুরু হয়। কোম্পানির স্বার্থে লিখিত এসকল বুদ্ধিজীবীর লেখনীর সূত্র ধরে বাঙালি মনীষিরাও এগিয়ে আসেন। প্রথম যিনি  ইতিহাস রচনায় বা বাংলা ভাষায় ইতিহাস নিবন্ধ রচনা করেছিলেন তিনি ইতিহাসের ছাত্র নন। কোম্পানীর কর্মচারীদের ফার্সী ভাষা শেখানোর দায়িত্বে নিয়োজিত রামরাম বসু বাংলা ভাষায় ইতিহাস লেখা শুরু করেন । ১৮০১ সালে শ্রীরামপুর মিশন প্রেস থেকে তাঁর লেখা প্রতাপাদিত্য চরিত বইটি প্রকাশিত হয়। এরপর স্থানীয় ব্যাক্তদের চরিত্র বা জীবনী নিয়ে লেখা আরো দু একটি বই দেখা যায়। সাহিত্যিকদের হাত ধরে বাংলা ভাষায় ইতিহাসচর্চার ধারা শুরু হয়েছিল ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের হাতে। ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুরের প্রেস থেকে জন মার্শম্যানের বাংলায় লেখা ভারতবর্ষের ইতিহাস বইটি প্রকাশিত হয়েছিল। বইটির শিরোনামে লেখা হয়েছিল ‘ ভারতবর্ষের ইতিহাস অর্থ্যাৎ কোম্পানি বাহাদুরের সংস্থাপনাবধি মার্কুইশ হেস্টিংসের রাজশাসনের শেষ বৎসর পর্যন্ত  ভারতবর্ষে ইঙ্গলন্ডীয়েরদের কৃততারদ্বিবরণ। শ্রীযুত জানমার্স মান সাহেব কর্তৃক বাঙ্গালা ভাষায় সংগৃহীত ’।

বিজ্ঞাপন

১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে জন ক্লার্ক ম্যার্শম্যানের আউটলাইন অব দ্য হিস্ট্রি অব বেঙগল অবলম্ব ঈশ্বরচন্দ্র্র বিদ্যাসাগর ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে রচনা করেন বাংলার ইতিহাস দ্বিতীয় ভাগ। জীবন চরিত বা বায়োগ্রাফি ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি চেম্বার্সের বায়োগ্রাফিজ অবলম্বনে জীবন চরিত লেখেন। ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়েছিল শ্রী কেদারনাথ বন্দোপাধ্যায়ের ‘ভারতবর্ষের সঙ্ক্ষিপ্ত ইতিহাস’। চারি আনা মূল্যের এই ইতিহাস বইটি গিরিশ চন্দ্র শর্মা কর্তৃক কোলকাতা থেকে বিদ্যারত্ন যন্ত্রে মুদ্রিত হয়েছিল। স্কুলের ছাত্রদের উপযোগী এই ইতিহাস বই কেন তিনি রচনা করেছিলেন, তার একটা সুন্দর ব্যাখ্যা গ্রন্থকার দিয়েছেন। তাঁর মতে, ‘ কোন বিস্তীর্ণ বিষয় অবগত হইতে হইলে অগ্রে তাহার সার ভাগ জ্ঞাত হইয়া স্থুল তাৎপর্য্ পরিগ্রহ করা কত্তর্ব্য। তাহা হইলে যথন বিস্তারিত বিবরণ জানিতে আরম্ভ করা যায় তৎকালে সেই প্রাথমিক স্থুল পরিজ্ঞানের সাহায্যে অনায়াসে সমস্ত বিস্তারিত বিষয়ে ব্যুৎপত্তি জন্মিতে পারে।… আমিও সেই উৎকৃষ্ট  উদ্দেশের অনুবর্ত্তী হইয়া, এই প্রকান্ড ভারতভূমির বিস্তারিত বিবরণের সার সংগ্রহ করিয়া ‘ভারতবর্ষের সঙ্ক্ষিপ্ত ইতিহাস’ নামক এই ক্ষুদ্র গ্রন্থখানি প্রচারিত করিলাম।’

তবে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সূত্র ধরে এসময়ে বেশ কয়েকজন বাঙালি মনীষী বাংলার ইতিহাস চর্চায় এগিয়ে আসেন।যাদের মধ্যে রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, রজনীকান্ত গুপ্ত, কালী প্রসন্ন বন্দোপাধ্যায় উল্লেখযোগ্য। উনিশ শতকে প্রকাশিত এই বইগুলো থেকে ইতিহাসের মূল্যবান তথ্য সংগ্রহ করা যায়। পান্ডিত্য, বিচক্ষণ বিশ্লেষণশক্তি ও নিপুন প্রকাশভঙ্গি ছিল তাঁদের ইতিহাস রচনার বিষয়।১৩১৭ বঙ্গাব্দে কোলকাতার ৭৬ নং বলরাম স্ট্রীটের মেটকাফ প্রেস থেকে রঙ্গপুর সাহিত্য পরিষৎ কর্তৃক গৌড়ের ইতিহাস বইটি প্রকাশিত হয়। লেখক রজনীকান্ত চক্রবর্ত্তী  বইটি কৃষ্ণলাল চৌধুরীকে উৎসর্গ করেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রজনীকান্ত চক্রবর্ত্তী লেখেন, “ আমি যখন এই গ্রন্থ রচনা করিয়া কিরূপে ইহার মুদ্রণব্যয় সংগ্রহ করিব, ভাবিতেছিলাম, তখন মালদহের জমিদার শ্রীযুক্ত কৃষ্ণলাল চৌধুরী ও স্বর্গীয় হরিশ্চন্দ্র চৌধুরী মহাশয় ইহার মুদ্রণের সম্পূর্ণ ব্যয়ভার বহনে স্বীকৃত হইয়াছিলেন। তাঁহারা অর্থ সাহায্য না করিলে ইহা কোনকালে মুদ্রিত হইত না। শ্রীযুক্ত কৃষ্ণলাল বাবু ও হরিশবাবুর সৌজন্য বিদ্যোৎসাহিতার বিষয় এদেশে বিশেষরূপে প্রসিদ্ধ।” গ্রন্থ খানি প্রকাশের বিষয়ে শ্রীরজনীকান্ত চক্রবর্ত্তী  তদানীন্তন রংপুরের সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক জমিদার সুরেশ চন্দ্র রায় চৌধুরী এর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছিলেন। গৌড়ের ইতিহাস বইটি বাংলা ১৩১৭ সনের ১লা বৈশাখ প্রকাশিত হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

পেশাদারিত্ব নিয়ে ইতিহাসচর্চা শুরু করেন রাখালদাস বন্দোপাধ্যায় । ১৯১৫ ও ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি দুই খন্ডে রচনা করেন বাঙ্গালার ইতিহাস। বলা যেতে পারে বাংলা ভাষায় বাংলার ইতিহাস নিয়ে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে লেখা প্রথম দিকের কাজগুলোর একটি। এজন্য তাঁকে ভারতীয় প্রত্নতত্ত্বের অগ্রপথিক হিসেবে গণ্য করা হয়।

বাংলা ভাষায় ও বাংলায় ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে উপনিবেশিক শাসনামলে এ সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বরেন্দ্র রিসার্চ সোসাইটি (১৯১০-১৯৬৩) বা বরেন্দ্র গবেষণা সমিতি, যা আমাদের কাছে বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর নামে পরিচিত । ১৯১৪ সালে সমিতি হিসেবে নিবন্ধিত এ সোসাইটি বাংলার প্রাচীন স্থানগুলিতে অনুসন্ধান, বাংলার রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস সম্পর্কে গবেষণা, প্রত্ন-নিদর্শনাবলি ও প্রাচীন পান্ডুলিপি সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন গবেষণাকর্ম ও বিরল পান্ডুলিপি প্রকাশনার কাজ হাতে নেয়। বাংলার ইতিহাস রচনায় নতুনরূপে লেখনী ধারন করে এগিয়ে আসেন শরৎ কুমার রায়, অক্ষয় কুমার মৈত্রেয়, রমাপ্রসাদ চন্দ। বাংলার শিল্পকলা ও প্রত্নতত্ত্ব সম্পর্কে অধ্যয়ন ও গবেষণায় তাঁদের অভিন্ন আগ্রহ ছিল। মানুষ ও প্রকৃতির ধ্বংসলীলা এড়িয়ে যেসব সৌধ এখনও টিকে আছে সেগুলির তথ্য উদ্ঘাটন করে অতীত ঐতিহ্য তুলে ধরাই ছিল তাঁদের আজীবন প্রয়াস। বাঙালি বুদ্ধিজীবিদের মধ্যে ইতিহাস চেতনার সঞ্চার নতুনরূপে দেখা দেয়। ইতোমধ্যে এই সমিতির অন্যতম কর্ণধার রমাপ্রসাদ চন্দ ১৯১২ সালে গৌড় মালা প্রকাশ করে বাংলার ইতিহাস চর্চাকে উচ্চস্তরে পৌছে দেয়ার কাজটি করেন। গৌড় রাজমালা (১৯১২) বরেন্দ্র রিসার্চ সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে রমাপ্রসাদ চন্দের পান্ডিত্যের খ্যাতি আরো ছড়িয়ে পড়ে।‘গৌড় রাজমালা’ ও ‘গৌড় লেখমালা’ গ্রন্থ দুটি প্রকাশের পর প্রবাসী পত্রিকায় প্রাচ্য পন্ডিত বিজয় চন্দ্র মজুমদার মন্তব্য করেছিলেন, ‘ইতিহাস সংগ্রহ সংকল্পে যে সকল উদ্যোগ চলিতেছে, তাহা অত্যন্ত প্রশংসার যোগ্য’। বাংলা ভাষায় ঐতিহাসিক গবেষণার  আরেক নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হয় অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় এর হাত ধরে। ১৯১২ সালে প্রকাশিত গৌড়লেখমালায় তিনি কয়েকটি পাল তাম্রশাসন ও লিপিমালার যে বাংলা অনুবাদ করেছিলেন, তা বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে মাইল ফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। এই প্রকাশনাগুলো এতই গুরুত্বপূর্ণ যে অদ্যাবধি  প্রাচীন বাংলার ইতিহাস সম্পর্কে প্রত্নতাত্ত্বিক উৎস থেকে তথ্যাবলি সংগ্রহের একমাত্র প্রামাণিক সূত্র হিসেবে বিবেচিত হয়। উপনিবেশিক আমলের এ সকল মনীষীরা বা যারা ইতিহাস চর্চায় নিজেদের নিয়োজিত রেখেছিলেন তারা শুধু শিক্ষিত ভদ্রলোকই ছিলেন না, পশ্চিমিভাব ধারার সাথে তারা পরিচিত ছিলেন। পশ্চিমি ইতিহাস তত্ত্ব দ্বারা তারা প্রভাবিত ছিলেন। নৈতিকতা, প্রগতিবাদ ও ইতিহাসে বীরপুরুষদের জীবনী বাঙালি ইতিহাসবিদদের উদ্বুদ্ধ করেছিল। প্রত্নতত্ত্ব্ব ধারার বাইরে এসে অক্ষয় কুমার মৈত্র জীবনীমূলক ইতিহাস রচনা শুরু করেন। তাঁর লেখা সিরাজউদ্দৌলা, মীর কাসিম, রানী ভবানী এসব ছিল উল্লেখযোগ্য। পরবর্তী সময়ে আরো বেশ কিছু জীবনীমূলক ইতিহাস অন্যান্যরাও রচনা করেন। ব্রিটিশ অফিসারদের মত বাঙালীরাও ব্যক্তিগত প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে ইতিহাস রচনা করেছেন। সামাজিক ইতিহাস রচনার এই ধারায় ঘটনাবলী ও জনসাধারণের সাথে প্রত্যক্ষভাবে তাঁরা জড়িত ছিলেন। ইতিহাসের উপাদান হিসেবে সাহিত্যের সংমিশ্র্ন ঘটান হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। এ কারণে ইতিহাস রচনায় বাস্তবতার স্পর্শ উপলদ্ধি করা যায়। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ভারতবর্ষের ইতিহাস বইটি ১৯২৮ সালের ১লা জুন কোলকাতার কমলা বুক ডিপো থেকে প্রকাশিত হয়। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তাঁর লেখায় সাহিত্যকে ইতিহাস রচনার উপাদান হিসেবে প্রথম ব্যবহার করেছেন বলে দাবী করেন। তাঁর রচনার সময়কাল সম্পর্কে বলেন:     “ভারতবর্ষের ইতিহাসের আরম্ভটা বুদ্ধদেবের সময় হইতে তুলিয়া পরীক্ষিতের অভিষেক বা কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ পর্যন্ত লওয়া হইয়াছে এবং সেইখান হইতেই ভারতবর্ষের একটা ধারাবাহিক ইতিহাস দিবার চেষ্টা হইয়াছে। এই ধারাবাহিক ইতিহাসের প্রমাণ, কেবলমাত্র পুরাণ। পরিশিষ্টে ভারতবর্ষীয় ব্রাক্ষ্যণ্যধর্ম্মের একটা ধারাবাহিক ইতিহাস অতি সংক্ষেপে দিবার চেষ্টা হইয়াছে।সে ইতিহাস বেদ হইতে আরম্ভ করিয়া রামকৃষ্ণ পরমহংস রামমোহন ও সাহিত্য হইতে সংগ্রহ করিয়াছি।” সামাজিক ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ এগুলোর অন্যতম। উইকিপিড়িয়ার মতে, গ্রন্থটি  উনিশ শতকের বাঙ্গালীর সমাজ-সংস্কৃতি-রাষ্ট্রনীতির এক উৎকৃষ্ট নির্ভরযোগ্য দলিল রূপে পরিচিত। স্বভাবতই রামতনু লাহিড়ীর জীবনীসূত্রে  উনিশ শতকের যেসব মনীষী নবজাগরণের সাথে প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন তাঁরাও এই গ্রন্থে স্থান পেয়েছেন। জীবনীগ্রন্থ হিসাবে রচিত হলেও বইটির মূল্য যে এর ঐতিহাসিকতায় এ সম্পর্কে তিনি সচেতন ছিলেন।

আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রেও উপনিবেশিক শাসনামলে বাঙালি ইতিহাসবিদরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।  উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, শতীশ চন্দ্র মিত্রের যশোহর-খুলনার ইতিহাস , (১৩২৯  বাংলা)  ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে লেখা কেদারনাথ মজুমদারের ময়মনসিংহের ইতিহাস , যামিনীমোহন রায়ের ঢাকার  ইতিহাস (১৩১৯  বাংলা) ।  ব্রিটিশদের গেজেটিয়ারের আদলে বাঙালিরাই এরকম ভাবে লিখতে থাকেন স্থানীয় ইতিহাস।  যা আজও যে কোন অঞ্চলের ইতিহাসের আলোচনায় অধিকাংশ ঐতিহাসিকগণ আকরগ্রন্থ হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন । ইতিহাস দর্শন ইতিহাসের মতোই পরিবর্তনশীল। নতুন চিন্তার আলোকে ইতিহাস যুগে যুগে নতুন রূপ পরিগ্রহ করে। গোটা উনিশ শতকে পজিটিভিজম ইতিহাসচর্চাকে প্রভাবিত করেছিল। কেম্ব্রিজ বা অক্সফোর্ড হিস্ট্রি চর্চার ঢেউ বাঙালি ইতিহাসবিদদের  আকর্ষণ করেছিল। ব্রিটিশ শাসনামলের শেষের দিকে  বাঙালি ঐতিহাসিকরা ইতিহাস দর্শনের এদিকটায় ঝুঁকে পড়ে। নীহার রঞ্জন রায়, যদুনাথ সরকার, রমেশ চন্দ্র মজুমদার প্রমুখ তাঁদের অন্যতম।  উপনেবেশিক শাসনামলে বাংলাভাষায় ইতিহাস চর্চার যে ধারা শুরু হয়েছিল, তার ফলে আজ বাংলা ভাষায় লেখা ইতিহাস চর্চা অনেক পথ পাড়ি দিয়েছে। পশ্চিম বাংলা এবং বাংলাদেশে বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চার জন্য পেশাদারিত্ব সংগঠন সৃষ্টি হয়েছে। যাদের উদ্দেশ্য  বাংলা ভাষায় ইতিহাস বিষয়ক সম্মেলনের আয়োজন করা, বাংলা ভাষায় ইতিহাসের বই ও সাময়িকী প্র্কাশ করা ইত্যাদি । যাতে করে ইতিহাসকে সাম্প্রদায়িকতার বেড়াজাল থেকে মুক্ত করা যায়।

 (প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ইতিহাস বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।)