ফিরে দেখা

নৃশংস খুনী এরশাদ শিকদারের শুরু ও শেষ



তানিম কায়সার, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট
এরশাদ শিকদার

এরশাদ শিকদার

  • Font increase
  • Font Decrease

কিছু মানুষ আছেন যাদের পরিচয় করিয়ে দিতে তাদের কাজের বিবরণ দিতে হয় না। নামই হয়ে ওঠে তাদের কাজের বিবরণ, শুনলেই লোকে বুঝে ফেলে তিনি কে এবং তার কাজ কী। এমনই একজন কুখ্যাত খুনী এরশাদ শিকদার—যার নাম শুনলে লোকে ভয়ে, ঘৃণায় আঁতকে ওঠে এখনো।

একজন মানুষের পক্ষে করা সম্ভব এমন কোনো অপরাধ নেই যা সে করেনি। খুন, গুম, হত্যা, ধর্ষণসহ নির্যাতনের সকল শাখায় ছিল তার অবাধ বিচরণ। মানুষহত্যার ক্ষেত্রে এরশাদ শিকদার মাঝেমাঝে এমন সব উপায় অবলম্বন করত যা শুনলে যে কোনো মানুষ ভয়ে কেঁপে উঠবে। কিন্তু এরশাদ শিকদার তা করত হাসিমুখে। কাউকে হত্যা করার জন্য নির্মমভাবে আঘাত করার পর মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত বুকের পাঁজরের ওপর উঠে নাচতে থাকা ছিল যার প্রিয় শখ, রক্তের পিপাসা মিটিয়ে দুধ দিয়ে গোসল করে নেওয়া ছিল যার প্রিয় অভ্যাস, সেই এরশাদ শিকদারের কথাই বলছি। শুধু তাই নয়, এরপর নিজেকে বিনোদিত করার জন্য আয়োজন করত জলসার। নাচ গানে ভরপুর সেই জলসায় আবার শরিক হতো ক্ষমতাসীন ব্যক্তিবর্গ, যাদের ছত্রছায়াতেই একজন ছিঁচকে চোর থেকে বিশ্বের সেরা দশজন ‘সিরিয়াল কিলারের’ একজন হিসেবে আত্মপ্রকাশের সুযোগ পায় এরশাদ শিকদার। জলসায় সবচেয়ে বড় চমক হিসেবে থাকত এরশাদের নিজের কণ্ঠে গাওয়া গান—‘আমি তো মরে যাব চলে যাব রেখে যাব সবই…’

এরশাদ শিকদারের উত্থান যে কোনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। এজন্যেই হয়তো নিজে একবার হলেও একটি ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করতে চেয়েছিল এরশাদ। শোনা যায় একজন পরিচালককে তিনি প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়েছিলেন তাকে সিনেমায় ভিলেন হিসেবে নেওয়ার জন্য। কিন্তু বাস্তবে যে এত বড় ভিলেন তার আসলে সিনেমার সাহায্যের দরকার পড়ে না। প্রকৃতিও তাকে তাই সেই সুযোগ দেয়নি।

মুনীর-খুকু এবং রীমা হত্যা ট্র্যাজেডি

এরশাদ শিকদারের জন্ম ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার মাদারঘোনা গ্রামে। তার পিতার নাম বন্দে আলী। জন্মের পর থেকেই দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করে করে বেড়ে ওঠা তার। অল্প বয়সেই পিতৃবিয়োগ। এরপর সংসারের হাল ধরেন তার মা। অন্যের বাসায় কাজ করে কোনোমতে দিনাতিপাত করতেন তিনি। অন্যদিকে এরশাদ ছোটবেলা থেকেই ছিল ডানপিটে। ছোট ছোট চুরি, মারামারি এসবের বিচার প্রায়ই আসত তার মায়ের কাছে। তবুও সে থামত না। সারাদিন টইটই করে ঘুরে বেড়াত সারা গ্রামে। একদিন বাসায় এসে এরশাদ এমন একটি দৃশ্য দেখতে পায় যা কোনো ছেলের পক্ষেই মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। এলাকার একজন প্রভাবশালী লোককে মায়ের সাথে খুবই অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলে এরশাদ। তখন সে কিছুই করতে পারেনি। কে জানে এই ঘটনার প্রভাবেই কিনা পরবর্তী জীবনে অসংখ্য নারীকে বানিয়েছে ভোগের পণ্য। এমনকি তার নিজের ঔরসজাত কন্যা সন্তানও তার লালসার শিকার হয়

দেখতে শুনতে এরশাদ ছিল সুদর্শন। এজন্যেই যখন সে নিজ গ্রাম ছেড়ে জীবিকার জন্য ছুটে যায় খুলনার ঘাট এলাকায় আর কুলির কাজের পাশাপাশি শুরু করে ছোটখাট চুরি বাটপারি, তখন সবাই তাকে ‘রাঙ্গা চোর’ নামে ডাককে শুরু করে। আঞ্জু সরদার নামে এক কুলির সর্দার তাকে সমকামিতায় বাধ্য করে। পরবর্তীতে এই আঞ্জু সরকারকে ব্যবহার করেই ট্রলার থেকে মাছ আর গম চুরি এবং জাহাজ থেকে তেল চুরির মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে হাত পাকায় এরশাদ। আর এভাবেই এককালের ‘রাঙ্গা চোর’ একদিন ভয়ঙ্কর খুনী হয়ে ওঠে।

এরশাদ শিকদারের জীবন কাহিনী কোনোভাবেই সিনেমার চেয়ে কম নয়। বরং তার বর্বরতা এবং নৃশংসতা কখনো সিনেমার নির্মম কাহিনীকেও হার মানায়। তার রাঙ্গা চোর থেকে এরশাদ শিকদার হয়ে ওঠা গল্পটাও যেন কোনো সুদক্ষ স্ক্রিপ্ট রাইটারের হাতেই লেখা।

মাছ, গম কিংবা তেল চুরি করে তার পোষাচ্ছিল না। ১৯৭৬-৭৭ সালের দিকে এরশাদের নতুন সঙ্গী হলো একটা রামদা। এটা নিয়ে সে শুরু করল ছিনতাই। বেশ কয়েকজন সঙ্গীও জুটে গেল। অপরাধের একটা সার্কেল তৈরি হলো। বার্জ-কার্গো থেকে পণ্য চুরি করে নদীতে লাফিয়ে পড়া, রেললাইনের স্লিপার চুরি, কাঠ চুরি, রেলের ওয়াগন ভাঙা, ট্রলারে চাঁদাবাজি ইত্যাদি শুরু হয়ে গেল পুরোদমে। যে-ই প্রতিবাদ করছিল তার কপালেই জুটছিল রামদার কোপ। ধীরে ধীরে পুরো ঘাটে ছড়িয়ে পড়ল একটি নাম—এরশাদ শিকদার।

এরশাদ শিকদারের গল্প বলতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথকে টেনে আনা বাতুলতা। তবুও রবীন্দ্রনাথ বাঙালির জীবনের সাথে যেভাবে মিশে আছেন তাতে তাকে ছাড়া চলাও মুশকিল। রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন “পেয়ে পাওয়া ফুরায় না, বরং চাওয়া বেড়েই ওঠে।” এরশাদের হয়েছিল এই অবস্থা। সময়টা ১৯৮২। এক এরশাদ ঘাটের রাজা, কাকতালীয়ভাবে আরেক এরশাদ তখন দেশের রাজা। বিচক্ষণ এরশাদ শিকদার নিজের ক্ষমতার পরিধি বৃদ্ধির জন্য রাজনীতিতে যোগ দেয়। ১৯৮৮ সালে এক ভোটারবিহীন নির্বাচনে সে হয়ে যায় তৎকালীন ২১ নাম্বার, বর্তমানে ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের কমিশনার। ব্যাস, তাকে আর কে আটকায়। চলতে থাকে একে একে জায়গা দখল। রেলের জায়গা, ব্যাংকের জায়গা, বিমানের জায়গা দখল করে গড়ে তোলে প্রায় ৬০ হাজার লোকের জন্য একটি বস্তি। যে লোকগুলো হয়ে ওঠে এরশাদের নিত্যদিনের নানান অপরাধের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সঙ্গী

এভাবে এরশাদ হয়ে উঠতে লাগল ওই অঞ্চলের অপরাধ জগতের একচ্ছত্র অধিপতি। বাড়তে লাগল শত্রু, বাড়তে লাগল রক্ত পিপাসা। যে বা যারা বিরোধিতা করতে চাইল, তাকেই হত্যা করা হলো নির্মমভাবে। এই যেমন ইনসাফ, কামাল ও খালেক নামের তিন নৈশপ্রহরী একবার এরশাদের চোরাচালানের কিছু মালামাল ধরিয়ে দিয়েছিল পুলিশের হাতে। কী সাহস! ক্ষিপ্ত এরশাদ বাঘের মতো হামলে পড়ল তাদের ওপর। একেকজনকে মাটিতে ফেলে বুকের ওপর লাফাতে লাগল এরশাদ। অবিরাম আঘাতে পাঁজর ভেঙে দেওয়া হলো তাদের। তারপর গলায় নাইলনের দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হলো। একজন এই ঘটনা দেখে ফেলেছিল বলে তাকেও বরণ করতে হলো একই পরিণতি! কী নৃশংস!

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/24/1563963002032.jpg
◤ এখানেই গুলি করে মারা হতো ◢

 

এরশাদের প্রিয় নদী কোনটা এ ব্যাপারে ইতিহাসে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে অনুমান করে হয়তো নেওয়া যায় সেটা ভৈরব নদীই হবে। কেননা এখানেই খুন করে ফেলে দিয়েছে কত মায়ের সন্তানকে তার কোনো সঠিক হিসেব এরশাদ শিকদারের কাছেও ছিল না।

অপরাধ চালিয়ে যেতে হলে রাজনীতির বিকল্প নেই, একথা বুঝতে এরশাদের দেরি হয়নি। তাই তো ৯০-এর পর রাষ্ট্রপতি এরশাদকে হটিয়ে যখন বিএনপি ক্ষমতায়, তখন এরশাদও বিএনপিতে নাম লেখায়। এরপরে ৯৬ সালে নতুন সরকার পরিবর্তন হলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেও যোগ দিতে সক্ষম হয় এরশাদ। পাশাপাশি চলতে থাকে তার হত্যাযজ্ঞ। কী বন্ধু, কী শত্রু, কাউকেই রেহায় দেয়নি এরশাদ। শুধুমাত্র সন্দেহের জেরেও সে খুন করে ফেলে মাস্টার জাহাঙ্গীর কিংবা ফটিকের মতো পারিবারিক বন্ধুকে। যারা নিয়মিত বাসায় আসা যাওয়া করত বলে এরশাদের ধারণা হয়েছিল সম্ভবত তার স্ত্রীর সাথে এদের কোনো গোপন সম্পর্ক আছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে হতভাগা লোকটির নাম সম্ভবত আকিমুল। ঝিনাইদহের টেলিফোন অপারেটর ছিল আকিমুল। একরাতে টেলিফোনের ডায়াল ঘোরাতে ঘোরাতে, দৈবক্রমে সে ফোন করে ফেলে এরশাদের বাসায়। আর কই যায়! এরশাদের স্ত্রী খাদিজার সাথে ফোনালাপ এবং ফোনে প্রেম করার অপরাধে আকিমুলেরও স্থান হলো ভৈরব নদীতে

মানুষ মারার জন্য এরশাদ আলাদা জায়গা বানিয়েছিল। আফ্রিকান মাগুরের একটি পুকুর ছিল তার। জ্যান্ত মানুষ সেখানে ছেড়ে দিলে মিনিট পাঁচেক সময় লাগত উধাও হয়ে যেতে। বরফকল ছিল মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে তার আরকটি কুখ্যাত জায়গা। এখানে যে একবার গেছে, তার আর সহজে ফিরে আসা হয়নি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/24/1563965056550.jpg
◤ এখানেই আফ্রিকান মাগুরের খাবার হতো লাশগুলো ◢

 

এরশাদ শিকদারের অপরাধ জীবনের সবচেয়ে আলোচিত খুনের ঘটনা ছিল যুবলীগ নেতা খালিদ হত্যা। এই হত্যার ঘটনায় করা মামলাতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল এই নরপিশাচকে। ১৯৯৯ সালের একরাতে ফোন করে তার বরফকলে যাওয়ার জন্য কয়েকজনকে ডাকে এরশাদ। তার ডাকে সাড়া না দিয়ে উপায় নেই। খুলনা জেলা ছাত্রলীগ নেতা অসিত বরণ বিশ্বাস, আবু হানিফ, আলী আকবর। সাথে ব্যবসায়ী সৈয়দ মনির মীর ও তার ছোট ভাই চয়ন মীর আর যুবলীগ নেতা খালিদ হোসেন তাই রওয়ানা হন মৃত্যুকূপ বরফকলের দিকে। তারা গিয়ে পৌঁছুনোর পর কথাবার্তার একপর্যায়ে এরশাদ অট্টহাসি শুরু করে। এ যেন ঝড়ের আগে প্রকৃতির কঠিন পূর্বাভাস। ভয়ে কলিজার পানি শুকিয়ে যায় সবার। এরশাদ খালিদকে টেনে হিঁচড়ে আঘাতের পর আঘাত করতে থাকে। রক্ত পিপাসা তখন চরমে। বুকের ওপর লাফ দিয়ে উঠে যায় এরশাদ। লাফাতে লাফাতে বুকের পাঁজর ছিন্নভিন্ন করে ফেলে সে। খালেদ ঢলে পড়ে মৃত্যুর কোলে।

এ যাত্রা আর রক্ষা হয় না এরশাদের। মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। ভারত থেকে বিশেষ নকশা করিয়ে আনা এরশাদের আবাসস্থল স্বর্ণকমলে অবস্থান করছিল এরশাদ। এমন সময় খবর আসে পুলিশ তাকে ধরতে আসবে। এরশাদ পালাতে গিয়েও সিদ্ধান্ত বদলায়। সে সবাইকে তার ক্ষমতার জোর দেখিয়ে দিতে চাইল। সকলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিজেই চড়ে বসল ভ্যানে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/24/1563965154859.jpg
◤ স্বর্ণকমল ◢

 

২০০০ সালের ৩০ এপ্রিল খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারক এম হাসান ইমাম এরশাদ শিকদারের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করলেন। ২০০৪ সালের ১০ মে রাত ১২টা ১ মিনিটে ফাঁসি কার্যকর হলো দেশের ইতিহাসে কুখ্যাত এই ঘাতকের। এরশাদ ধীরে ধীরে এগিয়ে গেল মৃত্যুর দিকে। পেছনে পড়ে রইল তার সকল কুকর্ম, পুলিশ এলেই লুকিয়ে থাকার জন্য খেলনা কবর, পড়ে রইল তার শত্রদের ফাঁসি দেওয়ার সেই ঘর। পড়ে রইল তার নিজের গাওয়া গান, “আমি তো মরে যাবো...”

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/24/1563965215783.jpg
◤ এরশাদের খেলনা কবর ◢

 

সত্য মিথ্যার, ন্যায় অন্যায়ের লড়াইটা আজকের নতুন না। এই লড়াই চলে আসছে পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে। যতদিন মানুষ থাকবে, পৃথিবী থাকবে, এই লড়াইও থাকবে। মিথ্যা, অন্যায় হয়তো সাময়িকভাবে বিজয়ের মালা পরতে পারে, কিন্তু সবশেষে সত্য এবং ন্যায়েরই জয় হয়। এরশাদ শিকদারের উত্থান ও পতন এই কথারই প্রমাণ দিয়ে গেল আরেকবার।

 

Image Courtesy: ‘সবাক’, সুমন সওদাগরের ব্লগ (২০১০)

   

সম্মানসূচক ডি. লিট উপাধি পেল 'বিড়াল'!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে 'ম্যাক্স' নামের একটি বিড়ালকে সম্মানসূচক ‘ডক্টরেট অব লিটারেচার’ বা ডি. লিট উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। দেশটির ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের স্নাতক অনুষ্ঠানে বিড়ালটিকে এই সম্মানসূচক ডিগ্রি দেওয়া হয়। তবে সেই অনুষ্ঠানে বিড়ালকে আমন্ত্রণ জানানোর নিয়ম না থাকায় উপস্থিত ছিল না ম্যাক্স। 

বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ বলছে, অনুষ্ঠানে বিড়ালটি উপস্থিত ছিল না। তাই বিড়ালের মালিক অ্যাশলে ডোর কাছে খুব শিঘ্রই এই ডিগ্রি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।   

বন্ধুসুলভ এই বিড়ালটিকে তার ইঁদুর শিকারের দক্ষতা বা অতিরিক্ত ঘুমানোর জন্য নয় বরং তার সহচার্যের জন্যই স্বীকৃতি দিয়েছে।   বিড়ালটিকে এই ডিগ্রিতে ভূষিত করা হয়। ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্যাসেলটন ক্যাম্পাস।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সম্মানসূচক ডি. লিট উপাধি পেল 'বিড়াল'!

বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি ফেসবুক পোস্টের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যাক্স দ্য ক্যাট, অনেক বছর ধরেই ক্যাসেলটন পরিবারের একজন আদুরে সদস্য। ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের প্রবেশদ্বারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রাস্তায় পাশেই বসবাস করে এক পরিবার। বিড়ালটি সেই পরিবারেরই পোষা।

বিড়ালের মালিক অ্যাশলে ডো বলেন, ‘বিড়ালটি ঠিক করেছে সে ক্যাম্পাসে যাবে। এরপর থেকেই সে কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আড্ডা দিতে শুরু করে। আর শিক্ষার্থীরাও তাকে আদর করতে শুরু করে।’

বিড়ালটি প্রায় চার বছর ধরে ক্যাম্পাসে আসা যাওয়া করছে। বিড়ালটিকে পথের ধারে শুয়ে থাকতে দেখলেই সবাই তার সঙ্গে সেলফি নেয়।

এমনকি সাবেক ছাত্ররাও যখনই ক্যাম্পাসে আসেন তারা তখনই বিড়ালটির খোঁজ নিতে তার মালিক ডো-এর কাছে যান। ডো তাদের কাছে বিড়ালটির মা হিসেবেই বেশি পরিচিত।

;

৯৩ বছর বয়সে বৃদ্ধের অবিশ্বাস্য কর্মকাণ্ড



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বৃদ্ধ জন স্টারব্রুক

বৃদ্ধ জন স্টারব্রুক

  • Font increase
  • Font Decrease

শৈশবে খেলা, কৈশরে পড়ালেখা, যৌবনে চাকরি, মধ্যবয়সে সংসার, বৃদ্ধবয়সে একটা মাথা গোজার ঠাঁই খুঁজে অবসরে সময় কাটিয়ে দেওয়া। কপাল খারাপ থাকলে বিছানাতেই শোয়া বা আধশোয়া থেকে মৃত্যুর দিন গোণা। সাধারণত এভাবেই মানুষের জীবন কেটে যায়। অনেকে আবার মধ্যবয়সের পরেই নানারকম রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। অথবা শরীরকে বিভিন্ন রোগের আবাসস্থল বানিয়ে দুর্বল হয়েই বেঁচে থাকেন। তবে খড়ের গাদায় সূচের মতো দু-একজন থাকে যারা একেবারেই ব্যতিক্রম। তেমনভাবেই আলোচনায় এসেছেন ৯৩ বছরের এক বৃদ্ধ।  তার ব্যতিক্রমী জীবনযাপনের ধারাই আলোড়ন সৃষ্টি করেছে যুসমাজে।     

যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা জন স্টারব্রুক। তিনি একজন ওয়াটার পোলো খেলোয়াড়। এটি মূলত পানির মধ্যে বাস্কেটবলের মতো একধরনের খেলা। এইখেলার সাথে কুস্তি খেলারও কিছুটা সাদৃশ্য রয়েছে। জনের বর্তমান বয়স ৯৩ বছর। এই বয়সেও যথেষ্ট সুস্থ এবং সবল তিনি। সমবয়েসীদের যেখানে সোজা হয়ে দাঁড়াতেও ২ জনের সহায়তা লাগে, সেখানে এখনো ম্যারাথনে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি বেশ দক্ষ সাঁতারুও বটে! ৮০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সাঁতার কাটা অব্যাহত রেখেছেন তিনি।

প্রায় শতাব্দি ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধের এমন কারিশমা দেখে চোখ ছানাবড়া হবার উপক্রম। জন মূলত একজন সাঁতারু। পেশাগতভাবে না হলেও অনেক ছোটবেলা থেকেই তিনি সাঁতার কাটেন তিনি। দেশের সম্মানজনক অনেপ্রতিযোগীতায় একাধিক বার চ্যাম্পিয়নের খেতাবও জেতেন। চাকরি করেছেন ‘ব্রিটিশ আর্মি মেডিক্যাল কর্পস’-। সেখানেও সাঁতারের দক্ষতার কারণে তার বেশ সুনাম ছিল।   

ম্যারাথনে দৌড়াচ্ছেন ৯৩ বছরের জন

তবে সাঁতারের পাশাপাশি এখন ম্যারাথেনেও অংশগ্রহণ করেছেন জন। ৫২ টির বেশি ম্যারাথনের দৌড় শেষ করেছেন তিনি। জানালেন এই বয়সেও তার এমন চ্যালেঞ্জিং সব কাজের অভিজ্ঞতা। সুস্থতা ধরে রাখার রহস্যও ফাঁস করলেন সকলের কাছে। ব্রিটিশ নাগরিক জন বন্ধুদের কাছে ‘দ্য লিজেন্ডনামেই পরিচিত। একই নামে তাকে আখ্যায়িত করছে ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলো

জন স্টারব্রুক জানান, তিনি এখনো সপ্তাহের ৬ দিনই জিমে যাতায়াত করেন। বিশেষ কোনো খাদ্যাভাস নেই তার। খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি রাখতে পছন্দ করেন- এই যা। তাছাড়া প্রতিদিন সকালে পোরিজ খান তিনি। তবে তিনি কখনো ধূমপান করেননি। অ্যালকোহলও খুব সীমিত পরিমাণে সেবন করতেন। মূলত এই বয়সেও এটা সবল থাকার পেছনে বংশ পরম্পরায় পাওয়া নিজের জীন আসল কারণ- বিশ্বাস করেন জন।

কারণ যাই হোক, প্রানবন্ত এই বৃদ্ধ বিশ্ববাসীকে অবাক করেছে। তার মতোই দৃঢ় মানসিকতা ধরে রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন যুবক-যুবতীরা।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

;

প্রশ্ন আর উত্তর যেন পরস্পরের সাংঘর্ষিক!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রশ্ন থাকে এক আর তার উত্তর হয় ভিন্ন। এমন উত্তরপত্রের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই দেখা যায়। এবার এমনই এক উত্তরপত্রের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হয়েছে। যা দেখে রীতিমতো সবাই অবাক! তবে এই ঘটনার জন্ম দেওয়া দেশটি বাংলাদেশ নয়, প্রতিবেশী দেশ ভারতের একটি হিন্দি পরীক্ষায় ঘটেছে এমন কাহিনী।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রকাশিত ভিডিওতে পরীক্ষার্থীর এমন উত্তর দেখে শিক্ষককেও হাসতে দেখা যায়। 

ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা হয়েছে @n2154j অ্যাকাউন্টের একটি আইডি থেকে।

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি প্রশ্ন ছিল এমন, সংযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ (যৌগিক ব্যঞ্জনবর্ণ) কী? এই প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষার্থীটি একটি খাদ্য রূপক দিয়ে উত্তর দিল: "মাটার পনির এবং সব মিশ্র সবজি একত্রিত একটি খাবার।"

আরেকটি প্রশ্ন ছিল "অতীত কাল কাকে বলে?" এর উত্তরে ওই পরীক্ষার্থি লিখেছে, "যখন অতীত আমাদের অতীতের আকারে আসে, তখন তাকে অতীত কাল বলা হয়।"

ভিডিও অনুযায়ী আরও একটি প্রশ্ন ছিল "বহুবচন কাকে বলে?" এর উত্তরে সে লিখেছে "যে পুত্রবধূ তার শ্বশুরবাড়ির কথা শোনে তাকে বহুবচন বলে।"

শিক্ষার্থীটির এমন উত্তর শুনে হাসিতে ফেটে পড়েন শিক্ষক। এমন উত্তরগুলোকে শিক্ষক ভুল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। যদিও এমন উত্তরের জন্য তাকে পুরোপুরি হতাশ করা হয়নি। তাকে ১০ মার্কের মধ্যে ৫ নম্বর দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষক পরে তার উত্তরপত্রে লিখে দিয়েছিলেন, এই ৫ মার্ক তোমার মস্তিষ্কের জন্য, ছেলে।

ভিডিওটি দেখে সবাইকে হাসির ইমোজি দিতে দেখা যায়। সম্পূর্ণ নম্বর না পাওয়ায় অনেকেই যুক্তি দিয়ে লিখেছেন, ছাত্রটি তার কৌতুক প্রতিভার জন্য পূর্ণ নম্বর পাওয়ার যোগ্য।

তবে এমন ঘটনা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন, ছাত্র এবং শিক্ষকের হাতের লেখা সন্দেহজনকভাবে একই রকম।

অন্য এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, "প্রশ্ন এবং উত্তর একই হাতের লেখা"। 

;

ফেনী শহরে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া



মোস্তাফিজ মুরাদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

'কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জুরি কর্ণে-আমি ভুবন ভুলাতে আসি গন্ধে ও বর্ণে' জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই মনোমুগ্ধকর গানে ফুটে উঠেছে কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য। কৃষ্ণচূড়া যেন প্রকৃতিকে দান করেছে লাল আভার অপরূপ সৌন্দর্যের মহিমা। সাথে গ্রীষ্মের উত্তাপে শহরে সৌরভ ছড়াচ্ছে নানা জাতের ফুল। তীব্র তাপদাহের পর কালবৈশাখী, এরপর মাঝারি বৃষ্টির মধ্যে ফুলের আগমন। এতে রঙের উল্লাসে মেতে উঠেছে ফেনী শহরবাসী।

ফেনী শহরের কোর্ট বিল্ডিং, এলজিইডি, পুলিশ লাইন, নবীন চন্দ্র সেন কালচারাল সেন্টার, ফেনী সরকারি কলেজ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ফুটে আছে কৃষ্ণচূড়া। এটি একদিকে প্রকৃতিকে যেমন সাজিয়েছে অপরূপ সৌন্দর্যে, অন্যদিকে এর সৌন্দর্য মুগ্ধ করছে তরুণ-তরুণী, নানা শ্রেণি-পেশার মানুষসহ ফুলপ্রিয় পথচারীদের। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে, সরকারি দফতরসহ স্কুল-কলেজে কৃষ্ণচূড়া গাছের লাল ও উজ্জ্বল সবুজ পাতার সংমিশ্রণ দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে চারপাশ।


কৃষ্ণচূড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ফুলের ঘ্রাণে মুখরিত হয়ে আছে পুরো শহর। শহরের মূল সড়কের ডিভাইডারে পৌরসভার উদ্যোগে লাগানো হাসনাহেনা, রজনিগন্ধা, গন্ধরাজসহ নানা জাতের ফুল গাছে ফুল ফুটেছে। এটি একদিকে বাড়িয়েছে সৌন্দর্য অন্যদিকে হেঁটে কিংবা রিকশায় চলাচল করলে পাওয়া যায় এসব ফুলের সুঘ্রাণ।

ফেনী শহরের কৃষ্ণচূড়ার অপরূপ সৌন্দর্য দেখে ফুলপ্রিয় পথিকরা বলছেন, কৃষ্ণচূড়া ফুল প্রকৃতিকে অনন্য সাজে সাজিয়েছে। এই ফুলের সৌন্দর্যের কারণে পথচারীরা একবার হলেও এই ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য এর গাছের উপর নজর দিবে। পাশাপাশি তীব্র গরমে অন্যান্য ফুলের সুঘ্রাণে চারপাশ মুখরিত হওয়াতে ক্লান্তিতা কিছুটা হলেও কমছে।


তারা বলছেন, কৃষ্ণচূড়া ফুলের এই নান্দনিক দৃশ্য দেখতে এর গাছ রোপণ করা জরুরি। রাস্তা প্রশস্তকরণ, ঘর-বাড়ি নির্মাণসহ নানা প্রয়োজনে গাছ কেটে ফেলা হয়। অন্যান্য গাছ রোপণ করার পাশাপাশি কৃষ্ণচূড়া রোপণ করলে একদিকে যেমন সৌন্দর্য বাড়াবে অন্যদিকে পরিবেশ বান্ধব হবে।

সাজিদ হাসান নামের এক পথচারী বলেন, কৃষ্ণচূড়া একদিকে যেমন প্রকৃতিতে অপরুপ সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে, আরেকদিকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমাবে। সারাদেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে, আমার মতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে এই গাছটিও যুক্ত করা উচিত। তীব্র গরমের পর বৃষ্টি হলো, এরপর শহরে নানা রঙের ফুলের দেখা মিলছে, ফুলের ঘ্রাণে চলাচল করতেই ভালো লাগছে।

ফারজানা ইয়াসমিন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ফুলের সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। অন্যান্য ফুলের পাশাপাশি কৃষ্ণচূড়া ফুল আমার অনেক ভালো লাগে। আমাদের কলেজে বকুল তলা আছে, ক্যান্টিনের পাশে কৃষ্ণচূড়া গাছ আছে। সুযোগ পেলেই ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করি।

অনিক মোহন নামে একজন বলেন, রিকশায় করে যখন বাসায় ফিরি, শহরের রাস্তার মাঝে ভিডাইভারে লাগানো নানা জাতের ফুলের ঘ্রাণ মনকে আনন্দিত করে। রাতের বেলা শহর যখন নিস্তব্ধ হয়ে যায়, তখন এ ফুলের সৌন্দর্য কয়েকশ’ গুণ বেড়ে যায়।

সড়কের পাশে কৃষ্ণচূড়া লাগানো হলে সৌন্দর্য বাড়বে বলে মনে করেন পথচারী মিনহাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, রাস্তা প্রশস্তকরণের জন্য যে গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে, ওই গাছগুলোর জায়গা কৃষ্ণচূড়ার গাছ লাগালে রাস্তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে।

একই কথা বলেন শহরের ব্যবসায়ী নাদিম আহমেদ। তিনি বলেন, সৌন্দর্য ও পরিবেশের কথা বিবেচনা করে এই গাছ রোপণ করা উচিত আমাদের। তাপমাত্রা যেভাবে বাড়ছে অন্যন্যা গাছ রোপণ করার পাশাপাশি কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপণ করার উদ্যোগ নিতে হবে। যেগুলো শহরে আছে তাতেই সৌন্দর্য বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ, আরও যদি লাগানো যায় ফুলে ফুলে ভরে উঠবে আমাদের শহর।

কৃষ্ণচূড়া মাদাগাস্কারের শুষ্ক পত্রঝরা বৃক্ষের জঙ্গলে পাওয়া যায়। যদিও জঙ্গলে এটি বিলুপ্ত প্রায়, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এটি জন্মানো সম্ভব হয়েছে। সৌন্দর্যবর্ধন গুণ ছাড়াও, এই গাছ উষ্ণ আবহাওয়ায় ছায়া দিতে বিশেষভাবে উপযুক্ত। কৃষ্ণচূড়া উদ্ভিদ উচ্চতায় কম (সর্বোচ্চ ১২ মিটার) হলেও শাখা-পল্লবে এটি বেশি অঞ্চল ব্যাপী ছড়ায়।

শুষ্ক অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে কৃষ্ণচূড়ার পাতা ঝরে গেলেও, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এটি চিরসবুজ থাকে। কৃষ্ণচূড়া ফুলের রং উজ্জ্বল লাল। পত্র ঝরা বৃক্ষ, শীতে গাছের সব পাতা ঝরে যায়। বাংলাদেশে বসন্ত কালে এ ফুল ফোটে। ফুলগুলো বড় চারটি পাপড়ি যুক্ত। পাপড়িগুলো প্রায় ৮ সেন্টিমিটারের মত লম্বা হতে পারে। কৃষ্ণচূড়া জটিল পত্র বিশিষ্ট এবং উজ্জ্বল সবুজ। প্রতিটি পাতা ৩০-৫০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ২০-৪০ টি উপপত্র বিশিষ্ট। কৃষ্ণচূড়ার জন্মানোর জন্য উষ্ণ বা প্রায়-উষ্ণ আবহাওয়ার দরকার। এই বৃক্ষ শুষ্ক ও লবণাক্ত অবস্থা সহ্য করতে পারে।

জানা যায়, অপরূপ সৌন্দর্য ছড়ানোর পাশাপাশি কৃষ্ণচূড়া ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর পাতা, মূলের বাকল ও ফুল ভেষজ গুণাগুণ সম্পূর্ণ, যা জ্বর ও খুশকি নিরাময়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। ভেষজটি হেমিপ্লেজিয়া, আর্থরাইটিস এবং কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। কৃষ্ণচূড়া গাছের শিকড়, বাকল এবং ফুল সবই পরজীবী সংক্রমণ নিরাময়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।

;