দৃষ্টিনন্দন আল-কুদরা হৃদে বিপিসি'র বনভোজন
পৃথিবীর বুকে বিলাসবহুল আর আকাশচুম্বি অট্টালিকার শহর হিসেবে পরিচিত দুবাই। ব্যবসায়িক দিক দিয়ে শীর্ষে থাকার পাশাপাশি ভ্রমণ প্রেমিক মানুষের পছন্দের তালিকায় প্রথমস্থানে নাম রয়েছে এই শহরের। দুবাইয়ে এমন এমন জায়গা রয়েছে যা বিশ্ব পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। টুরিস্ট আর সম্ভাবনাময় ব্যবসাকেন্দ্র হওয়ায় দুবাই এখন বহুজাতিক সংস্কৃতির মিলনমেলার কেন্দ্র হয়ে গেছে।
দুবাইয়ে দর্শনীয় স্থানের অভাব নেই। প্রতি বছর বিশ্ববাসীকে অবাক করে দিয়ে তৈরি হয় দর্শনীয় বিভিন্ন স্পট। বিশ্বের দীর্ঘতম টাওয়ার এবং শপিং মল ছাড়াও সেখানে আছে প্রাকৃতিক বিভিন্ন আকর্ষণ। তেমনই একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান হলো আল কুদরা’র দৃষ্টিনন্দন হৃদ বা লেক। দিন দিন ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে জনপ্রিয় ও অন্যতম পছন্দের জায়গায় পরিণত হয়েছে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের অপরুপ লীলাভুমি দুবাইয়ের আল-কুদরা লেক পাড়ে প্রতি বছরের মতো এবছরও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত পেশাজীবি সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব (বিপিসি) এর বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) বনভোজনের উদ্ভোধন করেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই'র সভাপতি ও সময় টেলিভিশনের প্রতিনিধি শিবলী আল সাদিক, সাধারণ সম্পাদক ও এখন টেলিভিশনের প্রতিনিধি কামরুল হাসান জনি। নানা আয়োজনে দিনব্যাপী বনভোজন উপভোগ করেন প্রেসক্লাবের সদস্যরা। ফলে বনভোজনটি সহকর্মীদের ঐক্যের মিলনে পরিণত হয়।
আয়োজনের মধ্যে ছিল, শুভেচ্ছা বিনিময়, মধ্যাহ্নভোজ, আলোচনা সভা, ফুটবল খেলা ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। উপভোগ করার মতো ছিল গানের তালে তালে মনোমুগ্ধকর নাচ। ছিল ফটোসেশান পর্বও। সন্ধ্যার পর শুরু হয় বল নিক্ষেপ খেলা। এতে ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুনুর রশীদ, সহ-সভাপতি মুহাম্মদ মোরশেদ আলম, যুগ্ম সম্পাদক মোদাচ্ছের শাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল শাহীন, অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ ইসমাইল, দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ ইসমাইল, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ, সদস্য শামসুল হক, খোরশেদুল আলম জাসেদ, এসএম শাফায়েত, ইয়াছির আরাফাত, মেহেদী, ন ম জিয়াউল হক চৌধুরী, সৈয়দ খোরশেদ আলম, ওসমান চৌধুরী, আরিফ সিকদার বাপ্পি, তোফায়েল আহমেদ ও কে এম জাহেদ প্রমুখ।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুম নিজের ইন্সট্রাগ্রাম একাউন্টে আল কুদরা’র দৃষ্টিনন্দন লেক এর ছবি আপলোড দেন। এরপর থেকেই ৫ লাখ ৫০ হাজার বর্গমিটারের বিশাল লেকটি পর্যটকদের পছন্দের জায়গায় স্থান করে নিয়েছে। দালানকোঠার শহরের বাইরে গিয়ে দুবাই থেকে বেশ কিছুটা দূরে আল কুদরার মরুভূমি পর্যটকদের এক নতুন ঠিকানা। যেখানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে মন কাড়া সৌন্দর্যের পসরা। তবে মরুভূমি নয়, এটি সবুজ শ্যামল মনোরম এক প্রাকৃতিক ঠিকানা।