দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন: চকরিয়া স্টেশনে শুরু পাইলিংয়ের কাজ



তৌফিকুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে রেলপথ নির্মাণের কাজ চলছে।

দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে রেলপথ নির্মাণের কাজ চলছে।

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কাজ চলছে। দোহাজারী-কক্সবাজার অংশে যাত্রী ওঠানামা করার জন্য থাকবে ৯টি স্টেশন। এসব স্টেশনের মধ্যে চকরিয়া স্টেশন নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ শুরু হয়ে গেছে। এর আগে শুরু হয়েছে কক্সবাজার স্টেশন নির্মাণের কাজ। পাইলিং শেষে সেখানে উঠে গেছে অবকাঠামো।

এদিকে বাকি স্টেশনগুলো নির্মাণের জন্য কাজ এগিয়ে চলছে। তবে স্টেশন নির্মাণে কাজের বেশিরভাগ দৃশ্যমান হয়েছে কক্সবাজারে। কক্সবাজারে মূলত একটি আইকনিক স্টেশন হচ্ছে এবং এর সাথে আরও অনেকগুলো ভবন নির্মাণ হবে।

দোহাজারী থেকে কক্সবাজার অংশে নয়টি স্টেশন হবে। এগুলো হলো- দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, দুলাহাজরা, ইসলামাবাদ, রামু এবং কক্সবাজার। প্রথম অংশের রেললাইন নির্মাণ কাজের পরবর্তীতে কক্সবাজার থেকে মিয়ানমার সীমান্তের গুনদুম পর্যন্ত আরও ২৮ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার নির্মাণ করা হবে। এই অংশে মায়ানমারের নিকট গুনদুম পর্যন্ত হবে আরও দুটি স্টেশন উখিয়া ও গুনদুম।

রেলপথ নির্মাণের কাজ চলছে।

প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রকল্পের দোহাজারী ও কক্সবাজারে কাজের অগ্রগতি অন্যান্য স্থানের চেয়ে একটু বেশি। এরইমধ্যে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৪৬ ভাগ। এই প্রকল্পে ৩৯টি মেজর ব্রিজ এবং ১৪৫টি মাইনর ব্রিজ নির্মাণের কাজের অগ্রগতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। তবে এখনো কোথাও বসেনি রেললাইন। মাটি ভরাট করে রেললাইন বসানোর জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়ে গেলে ট্রাকে বসবে মূল রেললাইন।

প্রকল্পের কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ার মঈন উদ্দীন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘চকরিয়ায় স্টাফ কোয়ার্টার এবং রেলস্টেশন নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরই আমরা আরেকটি স্টেশন হারবাংয়ের পাইলিং কাজও শুরু করব। সাম্প্রতিক সময়ে বৃষ্টির কারণে এই স্টেশনের পাইলিং কাজ শুরু করা যায়নি। বৃষ্টির কারণে পুরো প্রকল্পের কাজেই ব্যাঘাত ঘটেছে। আসছে শীত মৌসুমে কাজের গতি আরও বাড়বে। বর্তমানেও কাজ চলমান রয়েছে।

এদিকে সব জটিলতা কাটিয়ে ২০১৮ সালে প্রকল্প নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করে। ফার্স্ট ট্র্যাক এই প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালে শেষ হবার কথা রয়েছে। তখন ঢাকা থেকে কক্সবাজারে ট্রেনে যাওয়া যাবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হলে রাজধানী ঢাকা থেকে ট্রেনে চড়ে অনায়াসে কক্সবাজারে আসতে পারবে পর্যটকরা। কক্সবাজারে যাতায়াতের জন্য খুবই সহজ হবে এবং অধিক সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজারে আগমন করতে পারবে। একই সাথে এই রেল লাইনটি দেশের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কক্সবাজার অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।

রেলপথ মন্ত্রণালয় বলছে, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমারের সীমান্ত গুনদুম পর্যন্ত ১২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ হলে ট্রান্স এশিয়া করিডোরের সাথে সংযোগ স্থাপন হবে। একই সাথে পর্যটন শহর কক্সবাজার রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে।

   

দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে বৃহস্পতিবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে বৃহস্পতিবার

দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে বৃহস্পতিবার

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ মে)।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল ৫টায় এ অধিবেশন শুরু হবে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধান অনুযায়ী গত ১৫ এপ্রিল এ অধিবেশন আহ্বান করেন।

অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে সংসদের কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে। বৈঠকে সংসদ অধিবেশনের মেয়াদ নির্ধারণ ছাড়াও আলোচ্যসূচি ও কার্যবিবরণী নিয়ে আলোচনা হবে।

অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন দেবেন। এরপর শোক প্রস্তাব উত্থাপিত হবে।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, জুনে দ্বাদশ সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশনের আগে অনুষ্ঠেয় এই দ্বিতীয় অধিবেশন তেমন দীর্ঘ হবে না।

এর আগে ৩০ জানুয়ারি সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়ে ৫ মার্চ শেষ হয়।

;

কেএনএফ'র আরও এক নারী সদস্য কারাগারে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
কেএনএফ'র আরও এক নারী সদস্য কারাগারে

কেএনএফ'র আরও এক নারী সদস্য কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় কেএনএফ'র সদস্য সন্দেহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে জেসি জিংরিনহ পার বম (২০) নামে এক নারী সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১ মে) দুপুরে বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. নাজমুল হোসাইনের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেফতারকৃত নারী আসামি জেসি জিংরিনহ পার বমের বাড়ী বান্দরবানের রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নে।

পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে রুমা উপজেলায় যৌথবাহিনীর সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে সন্দেহভাজন এই নারী আসামিকে আটক করে। আজ বুধবার (১ মে) দুপুরে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে আদালতে তোলা হয়।

বান্দরবান আদালতের পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) প্রিয়েল পালিত বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এ পর্যন্ত মোট ৮০ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ীর চালকসহ মোট ৮১ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৪ জন নারী রয়েছেন।

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে ব্যাংক লুটের পর বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় এ পর্যন্ত রুমাতে পাঁচটি ও থানচিতে চারটি মোট ৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

;

৪২.৮ ডিগ্রিতে পুড়ছে যশোর, নাকাল জনজীবন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরের ওপর দিয়ে কয়েকদিন ধরে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বুধবার (১ মে) এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এরআগে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা দেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

যশোর বিমানবন্দর মতিউর রহমান ঘাঁটির আবহাওয়া কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দীর্ঘ তাপ্রপ্রবাহে বিপর্যস্ত এ জেলার মানুষ। অসহনীয় গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণীকুল। সারা দিন রোদ আর প্রচণ্ড গরমে স্থবিরতা নেমে এসেছে কর্মজীবনেও। এদিকে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের মধ্যে জেলাতে শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। শহরাঞ্চলে তেমন লোডশেডিং না হলেও গ্রামে রাত-দিন মিলে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না।

অতিরিক্ত গরমে পোল্টি শিল্প ঝুঁকির মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা। খরা ও তাপে আম, লিচুর মুকুল ঝরে যাচ্ছে বলে কৃষক ও কৃষি বিভাগের দাবি। তাপের কারণে বৃদ্ধিও কম হবে বলে কৃষকের আশঙ্কা।

তাছাড়া সবজির বিকাশেও ক্ষতি হচ্ছে। চাষিদের যেমন কষ্ট হচ্ছে তেমনি শুষ্কতায় সবজির বৃদ্ধিও ক্ষতি হচ্ছে।

;

পুরুষের সমান কাজ করেও কম মজুরি নারীদের 

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পুরুষের সমান কাজ করেও কম মজুরি নারীদের 

পুরুষের সমান কাজ করেও কম মজুরি নারীদের 

  • Font increase
  • Font Decrease

পুরুষদের সমান সারাদিন মাঠে রোদে পুড়ে কাজ করি। ভোরে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির কাজ শেষ করে এখানে কাজে আসতে হয়। স্বামী দুই বছর আগে মারা গেছে, এখন অভাবের সংসারে দুই মেয়ে নিয়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতেও ২৫০ টাকা মজুরি পেয়ে কোনোমতে খেয়ে না খেয়ে সংসার চলে— এভাবেই বলছিলেন ইটভাটার শ্রমিক খাদিজা বেগম।

খাদিজা বেগম নীলফামারী সদরের কচুকাটা বন্দরপাড়ার মৃত আজগার আলীর স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী। 

খাদিজা বেগমের পরিশ্রমে দুই মেয়ে ও তার মুখে দুমুঠো ভাত উঠে। পুরুষের সমান কাজ করেও অর্ধেক মজুরি পান তিনি। বর্তমান সমাজে নারী পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারি-বেসরকারিভাবে সভাসেমিনার করা হলেও পাঠ পর্যায়ে নেই এর প্রতিফলন। কর্মক্ষেত্রে নারীদের বেতন বৈষম্য দূরীকরণের নেই কোন পদক্ষেপ। তবে দেশের শিক্ষা, কৃষি, অর্থনীতিসহ সব সেক্টরে নারীর পদচারণা রয়েছে, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে নারীর হাতের ছোঁয়ায় কৃষিতে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

জেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে জানা যায়, নারীরা পুরুষের মতই ফসলের পরিচর্যা, তামাকের মিল কাজ, ধানের চারা রোপণ, মাটি কাটা, সড়ক সংস্কারের কাজ করেন। পুরুষের সাথে সমানতালে কাজ করলেও বেতন পান অর্ধেক। পুরুষেরা দিন শেষে পেয়ে থাকেন ৫০০ টাকা, আর নারীরা ২৫০ টাকা। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করেও বেতন বৈষম্যের শিকার তারা।


জেলা শ্রমিক উন্নয়ন সংগঠনের তথ্যমতে, জেলায় প্রায় দশ হাজার নারী বাসা-বাড়ি, কৃষি, হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে কাজ করছেন। তাদের মধ্যে কৃষি ও হোটেল বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করা নারীরা বেতন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। 

এ-বিষয়ে খাদিজা বেগম আরও বলেন, অভাবের সংসারে অর্ধেক বেতন, খুব কষ্টে আছি । আমার মত অনেক নারীই পুরুষের সমান কাজ করেও অর্ধেক মজুরি পায়। আমরা পুরুষদের সাথে সমান তালে কাজ করি তবুও আমাদের বেতন কম দেওয়া হয়। সমান বেতন হলে ভালোই সংসার চলত।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করা রহিমা বেগম বলেন, আমাদের ছুটি নেই। কাজে না এলে মজুরি নেই। বাজার, কেনাকাটা, থাকা, সব নিজেদের। কিছু সময় শরীরের অবস্থা এত নাজুক থাকে যে বাকি সময় অন্য কোনও কাজ করার ক্ষমতা থাকে না। এ কাজ করে কোনোমতে সংসার চলে।

নীলফামারী জেলা শ্রমিক উন্নয়ন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম বলেন, নারী-পুরুষ একসাথে কাজ করে, তবু মালিকরা তাদের কম মজুরি দেয়। আমরা বিভিন্ন সময়ে সভায় তাদের সমান মজুরি দেওয়ার দাবি করি। নারী পুরুষের সমান মজুরি দিতে আমরা আগামীতে বিভিন্ন কোম্পানির মালিকদের সাথে বসব৷

নীলফামারী জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, সরকারি কাজ টিআর, কাবিখা, কর্মসৃজনসহ বিভিন্ন প্রকল্পে নারী পুরুষের সমান মজুরি দেওয়া হয়। বেসরকারি ও মালিকানাধীন কাজেও নারী পুরুষের সমান মজুরি এবং বৈষম্য দূর করার চেষ্টা করছি।

;