আমি হোয়াইট হাউসে প্রথম নারী হতে পারি, তবে আমিই শেষ না: কমলা
আমি হোয়াইট হাউসে প্রথম নারী হতে পারি, তবে আমিই শেষ না বলে মন্তব্য করেছেন আমেরিকার প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
শনিবার (৭ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাতে ডেলাওয়্যারের উইলমিংটন থেকে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম ভাষণ প্রদান করেন কমলা হ্যারিস।
তিনি বলেন, ‘আমি যদিও এই অফিসে প্রথম নারী হতে পারি, তবে আমি শেষ না’ ।
ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে কমলা হ্যারিস আমেরিকান ভোটার এবং সংগঠকদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘আমেরিকান জনগণ, যারা আমাদের দেশটিকে সুন্দর করে গড়ে তোলার জন্য ভোট দিয়েছে তাদের ধন্যবাদ’।
‘বেশ কয়েক মাস সাম্য ও ন্যায়বিচারের জন্য আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি। দুঃখ, কষ্ট, বেদনা, উদ্বেগ ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। আমরা আপনাদের ধৈর্য, সাহস, সহনশীলতা ও সহানুভূতি দেখেছি। আপনারা ভোট প্রদান করে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে ঐক্য ও সত্যকে বেছে নিয়েছেন। আপনারা আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনকে বেছে নিয়েছেন’।
আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট ডেমোক্রেটিক প্রার্থী সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন জো বাইডেন। কমলা হ্যারিস হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ও নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট। আমেরিকার আড়াইশ’ বছরের ইতিহাসে প্রথম কোনো কৃষ্ণাঙ্গ নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে গড়লেন নতুন এক ইতিহাস।
কমলা হ্যারিসের জন্ম ১৯৬৪ সালের ২০ অক্টোবর ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের ওকল্যান্ডে। পিতা অধ্যাপক ডোনাল্ড জে হ্যারিস জ্যামাইকান বংশোদ্ভূত আর মা ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান। তাঁরা দুজনই বিজ্ঞানী। কমলার মা শ্যামলা গোপালন ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়ে ব্রেস্ট ক্যানসার গবেষক হিসেবে যোগ দেন। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হলে মা ছিলেন মূলত কমলার ছায়াসঙ্গী।
কমলা প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী এবং দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচিত হন (২০১০) এবং দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন।
উল্লেখ্য, আমেরিকার ইতিহাসে এ পর্যন্ত মাত্র দুজন নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে লড়েছেন। ২০০৮ সালে রিপাবলিকান পার্টির হয়ে সারা পলিন, ১৯৮৪ সালে ডেমোক্রেটিক পার্টির জেরালডিন ফেরারো। তাদের কেউই নির্বাচিত হতে পারেননি।