দুপুরের আগেই ওড়িশায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস

  ঘূর্ণিঝড় ইয়াস
  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কলকাতা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র

ওড়িশার দিকে ঘুরে গিয়েছে ইয়াসের অভিমুখ। বুধবার (২৬ মে) সকাল দশটা থেকে এগারটার মধ্যে ওড়িশার ভদ্রক জেলার ধমড়ায় ল্যান্ডফল হবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের। বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পশ্চিম দিক ধরে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি। ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ইয়াস। স্থলভাগে প্রবেশ করার সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার।

ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে জারি রয়েছে সতর্কতা, উপকূলবর্তী এলাকাগুলো নেমেছে ভারতীয় সেনার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ঘূর্ণিঝড়ের সাথে পূর্ণিমা এবং চন্দ্রগ্রহণ থাকার কারণে পশ্চিমবঙ্গের দিঘার সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস ২০ ফুট উচ্চতায় উঠেছে।

বিজ্ঞাপন

প্রাথমিকভাবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পশ্চিমবঙ্গেই আঘাত হানতে চলেছে বলে অনুমান করা হয়েছিল। সে থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রয়েছে বাংলা। তবে, রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে ইয়াসের প্রভাব ভালই পড়তে শুরু করেছে। মেদিনীপুর এবং সাগরদ্বীপের কয়েকটি গ্রামে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। উপকূলবর্তী এলাকায় কাঁচা বাড়িগুলো এই মুহূর্তে পানির তলায় চলে গিয়েছে।

তবে সতর্ক প্রশাসন। নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। গতরাত থেকেই সেখানে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়েছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য সরকারি আধিকারিকরাও। প্রাকৃতিক বিপর্যের মধ্যে জরুরি পরিস্থিতি ছাড়া কাউকে বাড়ি থেকে না বেরনোর জন্য আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী নবান্নের থাকবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মূল লক্ষ্য যাতে প্রাণহানি না ঘটে। ইতিমধ্যে ১১ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এবং ইয়াস এর আছড়ে পড়ার পর সেখানে বিপর্যস্ত এলাকাগুলোয় যাতে তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করা যায় সেদিকেও নজর রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ওড়িশার বালেশ্বর, ভদ্রক, কেন্দ্রাপড়া, জগৎসিংহপুরের উপকূলবর্তী বিভিন্ন জেলায় অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। অতি ভারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা পশ্চিবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও। দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকাতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।