কঙ্গোয় অগ্ন্যুৎপাতের পর সুপেয় পানির সংকট
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে নাইরাগঙ্গো আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর সুপেয় পানির সংকটে পড়েছে পাঁচ লাখ মানুষ। দেশটির গোমা শহরে সুপেয় পানি সরবরাহ করতে না পারলে সেখানে কলেরা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ)।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গোমা শহর থেকে মাত্র ছয় মাইল দূরে নাইরাগঙ্গো আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে একটি পানি সংরক্ষণাগার ও পানি সরবরাহের অনেক লাইন ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া গৃহহীন হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। শহরটির জনসংখ্যা ২০ লাখ।
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে নিয়োজিত এমএসএফের প্রধান মাগালি রৌদত বলেন, ‘গৃহহীন মানুষের জরুরি সহায়তা দিতে আমরা কাজ করছি। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। মানবিক সহায়তাদানকারী সংগঠনগুলোর কাছ থেকে আমরা জরুরি সহায়তা চাই।’
দাতব্য সংগঠনটি জানায়, তাদের সদস্যরা পার্শ্ববর্তী স্যাক শহরে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন। শহরটির বিভিন্ন উপাসনালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সড়কে গামা শহরের এক থেকে এক লাখ ৮০ হাজার বাসিন্দা আশ্রয় নিয়েছে।
নাইরাগঙ্গো বিশ্বের অন্যতম সক্রিয় আগ্নেয়গিরির একটি। জাতিসংঘ বলেছে, অগ্ন্যুৎপাতে এখন পর্যন্ত ৩২ জন নিহত হয়েছেন। এর আগে ২০০২ সালে আগ্নেয়গিরিটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। ওই ঘটনায় প্রায় আড়াই শ মানুষ নিহত হন। গৃহহীন হয় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ। এ ছাড়া ১৯৭৭ সালেও একবার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তাতে নিহত হয়েছিলেন প্রায় ৬০০ মানুষ।