এক খাসোগিতে টালমাটাল সৌদি সরকার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সাংবাদিক জামাল খাসোগি (বামে) ও মোহাম্মদ বিন সালমান/ ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিক জামাল খাসোগি (বামে) ও মোহাম্মদ বিন সালমান/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজার রাজ্য সৌদি আরব। রাজার আদেশ, নিষেধ অলিখিত বিধান। বংশপরম্পরায় সেখানকার সরকার প্রধান নির্ধারিত। রাজার মৃত্যু হলে যুবরাজ দেশের প্রধান। নির্বাচন, গণতন্ত্রের বালাই নেই সেখানে।

‘বাকস্বাধীনতা’ সৌদি সরকারের কাছে এক উপহাসের বন্তু। গণমাধ্যম সরকারের নিয়ন্ত্রণেই। সৌদিতে গণমাধ্যমগুলোতে রাষ্ট্রীয় ঐক্যের নামে সরকারের গুণগান করতে হবে এমনটাই নিয়ম।

এজন্য প্রতিনিয়তই লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে যায় সৌদি সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড। বিচার প্রক্রিয়া ও অন্যান্য বিতর্কিত ইস্যুতে মাঝে মধ্যে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো কিছুটা সোচ্চার হলেও সেটা স্থায়ী নয়।

কিন্তু ২ অক্টোবর সাংবাদিক, সমালোচক জামাল খাসোগি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তোপের মুখ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করার সুযোগ পাচ্ছে না সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। প্রতিনিয়ত সন্দেহ ও সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হতে থাকে সৌদি সরকারের উচ্চ মহল।

২ অক্টোবর তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে ঢোকার পর নিখোঁজ হন ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট ও সৌদি নাগরিক জামাল খাসোগি। এরপর থেকে ওয়াশিংটন পোস্ট থেকে শুরু করে বিবিসি, আল-জাজিরাসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো রহস্যজনক এ নিখোঁজের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়।

অনেক গণমাধ্যম দাবি করে নিখোঁজ নয়, হত্যা করা হয়েছে এই সাংবাদিককে। এ কারণে ২ অক্টোবর থেকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর সম্মুখের পাতায় রয়েছে গণমাধ্যম এড়িয়ে চলা সৌদি সরকার।

সৌদি কনস্যুলেটের কর্মচারীদের সাথে ‘ধস্তাধস্তিতে’ মৃত্যুর কথা স্বীকার করেন সৌদি যুবরাজ। এমনকি এই সাংবাদিককে চরম ‘ইসলামপন্থী’ও উল্লেখ করেন তিনি। তবে এ পরিকল্পিত হত্যার সাথে সৌদি সরকার যুক্ত কিনা তা নিয়ে এখনো কোনো স্বীকারোক্তি দেয়নি সৌদি কর্তৃপক্ষ।

তুরস্ক সরকার তদন্ত শুরু করলে থলের বিড়াল আংশিক বেরিয়ে আসে। তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে জামাল খাসোগিকে সৌদি সরকারের উপরের মহলের নির্দেশেই খুন করা হয়েছে। এমনকি ১৫ জন মিলে হত্যা করার পর খাসোগির লাশ টুকরো করে পাঁচ সুটকেসে করে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় বলেও জানানো হয়েছে তুরস্ক সরকারের পক্ষ থেকে।

এই সাংবাদিকের খুন নিয়ে প্রতিদিনই চমকপ্রদ তথ্য দিচ্ছে তুরস্ক সরকার। প্রতিটি তথ্যেই উঠে আসছে এই খুনের সাথে সৌদি যুবরাজের সংযুক্তির কথা। আর এতেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে প্রতিনিয়তই ভাসছে সৌদি সরকারের ছবি।

তুরস্ক সরকারের তথ্যানুযায়ী এই হত্যার পেছনের মূল কারিগর সৌদি যুবরাজ। যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে গোটাবিশ্বের বহু রাষ্ট্র এই হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এমনকি সৌদি সরকারের সাথে সু-সম্পর্ক থাকা দেশগুলোও মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশটির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার ইঙ্গিত দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে হওয়া অস্ত্রচুক্তি বাতিল হতে পারে বলেও ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৫ নভেম্বর জেনেভাতে জাতিসংঘের এক সভায় সৌদি আরবের মানবাধিকার প্রসঙ্গ নিয়ে ‘নিন্দার ঝড়’ বইয়ে দেয় প্রতিনিধিদল।

যাকে হত্যা করে বৈশ্বিকভাবে চাপে পড়েছে সৌদি সরকার, সেই খাসোগিকে কেন হত্যা করবে সৌদি সরকার? বাকস্বাধীনতার জন্য লড়াই করে যাওয়া খাসোগি মৃত্যুর কিছুদিন আগে স্বেচ্ছায় নির্বাসন কাটাচ্ছিলেন। তিনি সৌদি সরকারের এক কট্টর সমালোচক ছিলেন।

মৃত্যুর কিছুদিন আগেও আল-জাজিরাতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌদি সরকারের কট্টর সমালোচনা করে খাসোগি বলেন, ‘সৌদি আরব কোনোদিন গণতন্ত্রের দিকে হাঁটবেনা‘। ইয়েমেনের উপর সৌদি আরবের হামলা নিয়েও সোচ্চার ছিলেন খাসোগি। সৌদি যুবরাজ ও রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলায় এই  ভয়াবহ পরিণতি বরণ করতে হয়েছে বলে দাবি করছেন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

এএফপির এক প্রতিবেদনুযায়ী, ২০১৪ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৬০০ জনের  বিতর্কিত হত্যা সম্পন্ন হয়েছে দেশটিতে। কখনো আইনের আওতায় অথবা কখনো আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে। কিন্তু খাসোগি হত্যার মত এতটা বৈশ্বিক চাপে পড়েনি দেশটি। এই সাংবাদিকের নির্মম ও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডেই দেশটির সরকার অনেকটাই টালমাটাল।

   

ইরানে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাগেরি কানি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ানের মৃত্যুতে উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাগেরি কানিকে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছে ইরানের মন্ত্রিপরিষদ। 

সোমবার (২০ মে) ইরান সরকারের মুখপাত্র আলি বাহাদোরি জাহরোমি এ ঘোষণা দেন। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান সরকারের তিনটি শাখা- নির্বাহী, লেজিসলেটিভ এবং বিচার বিভাগের সঙ্গে মিটিংয়ের পর এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে আলি বাগেরি উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি নিহত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানের স্থলাভিষিক্ত হলেন। আলি বাগেরি ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের ডেপুটি সেক্রেটারি ছিলেন।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানের বিশ্বস্থ সহচর ছিলেন আলি বাগেরি। সম্প্রতি ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা মোকাবিলায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

এদিকে কাছাকাছি সময়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবারকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পালনে নিযুক্ত করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।

অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, কোনোরকম বিঘ্ন ছাড়াই প্রেসিডেন্ট রাইসির দেখানো পথ অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করা হবে।

উল্লেখ্য, দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর সোমবার ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মেলে। ওই হেলিকপ্টারে থাকা প্রেসিডেন্ট রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতিসহ সব আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।

;

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুদ্ধাপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান প্রসিকিউটর ব্রিটিশ আইনজীবী করিম আহমেদ খান কিউসি।

সোমবার (২০ মে) দ্য হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তিনি এই আবেদন করেন। খবর: বিবিসির।

করিম খান বলেন, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও হামাস নেতারা গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী।

ইসরায়েলের যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করায় আইসিসির প্রসিকিউটরের নিন্দা করেছেন।

আইসিসির প্রসিকিউটরের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদনের রায় কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।

আইসিসি গত তিন বছর ধরে অধিকৃত ফিলিস্তিন অঞ্চলে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের তদন্ত করে আসছে। সাম্প্রতিককালে হামাসের কর্মকাণ্ডও তদন্ত করেছে এই সংস্থাটি।

নেতানিয়াহু সম্প্রতি ইসরায়েলের সিনিয়র ব্যক্তিদের আইসিসির ওয়ান্টেড তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনাকে ‘ঐতিহাসিক ক্ষোভ’ বলে অভিহিত করেছেন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজার শাসক দল হামাস। এতে এক হাজার তিন শ ইসরায়েলি নিহত ও তিন হাজার ৪০০ জন আহত হয়। ওই হামলার জবাবে গাজায় বোমাবৃষ্টি অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। দেশটির ছোড়া গোলায় বিপুলসংখ্যক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।

হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রায় ১৩ হাজার শিশুসহ মোট ৩০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।

এদিকে হামাসের হাতে জিম্মিদের মধ্যে ১৩০ জন এখনো গাজায় আছেন এবং ৩১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

;

রাইসির জানাজা আগামীকাল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির জানাজা আগামীকাল মঙ্গলবার (২১ মে) তাবরিজে অনুষ্ঠিত হবে। 

সংবাদমাধ্যম তাসনিমের দেশটির ইসলামিক রেভল্যুশানি গার্ডস্ কর্পসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। গতকাল তাবরিজের উদ্দেশেই রওয়ানা করেছিলেন রাইসি ও তার সফরসঙ্গীরা।

ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে তাসনিম আরও জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি তার নিহত সফরসঙ্গীদের জানাজা হবে সেখানে। তার আগে, মরদেহগুলো তাবরিজের ফরেনসিক বিভাগে রাখা হবে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি এক আনুষ্ঠানিক বিৃবতিতে প্রেসিডেন্ট রাইসির স্মরণে পাঁচদিনের শোক ঘোষণা করেছেন।



;

রাইসির মৃত্যুতে ইসরায়েলি নেতাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন কয়েকজন ইহুদি ধর্মীয় নেতা। তার এই মৃত্যু ‘ঈশ্বরের পক্ষ থেকে শাস্তি’ বলেও বিশ্বাস তাদের। ব্যক্তিগত বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ায় তারা রাইসির কঠোর সমালোচনা করেন।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় রাইসির মৃত্যুর পর ইসরায়েল সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বললেও ইহুদি ধর্মীয় নেতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সমালোচনামূলক পোস্ট করেছেন। সেসব পোস্টে রাইসির প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন তারা।

রাইসিকে ‘তেহরানের জল্লাদ’ উল্লেখ করে রাবি মেইর আবুতবুল এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, এই হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনা ঐশ্বরিক শাস্তি। খুব নোংরা ভাষায় আবুতবুল লেখেন, সে ইহুদিদের ঝুলাতে চেয়েছিল, তাই ঈশ্বর তাকে এবং তার সঙ্গে থাকা ইসরায়েল বিরোধী ক্রুকে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত করে বাতাসে বিক্ষিপ্ত করে দিয়েছেন। ইসরায়েল ও ইহুদিদের প্রতি রাইসির মনোভাবের কঠোর নিন্দা জানান আবুতবুল।

ইরানের সদ্য প্রয়াত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে রাবি নির বেন আর্টজিও এক ফেসবুক পোস্টে এই রাবি লেখেন, নিজের প্রতি জুলুম করো না, ঈশ্বর বলেছেন, যথেষ্ট হয়েছে। আপনি ঈশ্বরকে রাগান্তিত করেছেন। রাইসি ও তার প্রশাসনের পদক্ষেপের দিকে ইঙ্গিত করে এমন মন্তব্য করেন বেন আর্টজি। এ ঘটনাকে ঈশ্বরের অসন্তোষ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

ইহুদি আরেক ধর্মীয় নেতা রাবি ইৎজ-চাক বাৎজরি রাইসিকে ফেরাউনের দোসর হামানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। রাইসির মৃত্যুর খবর আসার আগে বাৎজরি ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে দুষ্টু হামান। নিজের পোস্টে বাইবেলের একটি লাইনও জুড়ে দেন এই রাবি।

উল্লেখ্য, ঘন কুয়াশার কারণে রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। ইরানের উত্তরাঞ্চলে মর্মান্তিক ওই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় রাইসিসহ আরোহী ৯ জনের কেউ প্রাণে বাঁচেননি। সফরসঙ্গীসহ রাইসি নিহত হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বিশ্বের বিভিন্ন নেতারা শোক প্রকাশ করছেন। তার বিপরীতের ইহুদি ধর্মীয় নেতারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সিনেটর নেতাও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

;