ওমিক্রনে উচ্চ ঝুঁকিতে বিশ্ব, সতর্ক করল ডব্লিউএইচও

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন বিশ্বকে অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকিতে রেখেছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) ওমিক্রন নিয়ে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ সতর্কবার্তা দিয়েছে। খবর বার্তাসংস্থা রয়টার্সের।

বিজ্ঞাপন

সংস্থাটি তার ১৯৪টি সদস্যদেশকে টিকাদান কর্মসূচির গতি আরও ত্বরান্বিত করার পরামর্শ দিয়েছে। সংক্রমণের নতুন ঢেউ দেখা দিলে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে; সে বিষয়ে পরিকল্পনাও দ্রুত নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, মূল করোনাভাইরাস ও তার অন্যান্য রূপান্তরিত ধরনের তুলনায় ওমিক্রনের স্পাইক প্রোটিনের সংখ্যা অনেক বেশি। সংস্থাটির আশঙ্কা, এটি মহামারির পুরো চিত্র আরও বিপর্যয়কর করে তুলতে পারে।

বিজ্ঞাপন

তবে, এখন অবধি ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়েছে এমন খবর পাওয়া যায়নি।

ওমিক্রন গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয়। তারপর অন্যান্য দেশে শনাক্ত হয়েছে নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট।

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে এর আগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

এদিকে বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে রূপান্তরিত হয়ে নতুন এই রূপ নিয়েছে। এটি মারাত্মক হুমকি তৈরি করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

এরই মধ্যে ওমিক্রন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলো ছাড়াও নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, বতসোয়ানা, ব্রিটেন, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, হংকং, ইসরায়েল, ইতালি এবং নেদারল্যান্ডস ও স্কটল্যান্ডে শনাক্ত হয়েছে।

ডব্লিউএইচও বলছে, ওমিক্রন নিয়ে গবেষণা শেষ করতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। নতুন এ ধরনটি কতটা সংক্রামক, কতটা মারাত্মক কিংবা এ ধরনটির বিরুদ্ধে এখনকার কোভিড টিকা, পরীক্ষার পদ্ধতি, চিকিৎসার পদ্ধতি কতটা কার্যকর, তা নিয়ে গবেষণা চলছে।

সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয় যে আলামতগুলো উপস্থাপিত হয়েছে, তার ভিত্তিতে বলা যায় কোভিড-১৯ রোগতাত্ত্বিক গবেষণায় উল্লেখজনক পরিবর্তন আনতে হবে।

এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (সামা) প্রধান ড. এনজেলিক কোয়েটজি বলেছেন, গত ১০ দিনে ৩০ জন রোগী করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে আসে। এসময় তাদের যেসব উপসর্গ দেখা গেছে, তার মধ্যে চরম ক্লান্তি, গলা ব্যথা, পেশী ব্যথা এবং শুকনো কাশির মতো সমস্যা। এছাড়া শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়।

তিনি বলেন, করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকে এর লক্ষণগুলো বেশ আলাদা।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত যত রোগী দেখেছি তাদের সবার টিকা নেওয়া হয়নি। তাদের ওমিক্রনের হালকা লক্ষণ ছিল। তার মতে, ইউরোপের বিপুল সংখ্যক মানুষ করোনার এই নতুন প্রজাতি দ্বারা সংক্রামিত। এখনও পর্যন্ত ওমিক্রন দ্বারা সংক্রামিত বেশিরভাগ রোগীর বয়স ৪০ বছরের কম।