ওমিক্রন, এশিয়া-প্যাসিফিককে প্রস্তুত থাকতে বললো ডব্লিউএইচও

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’। ইতিমধ্যে ভাইরাসটি কমপক্ষে ৩০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যেই এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোকে সতর্ক করে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কর্মকর্তারা বলেছেন, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের স্বাস্থ্যখাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। এবং এই অঞ্চলের দেশগুলোকে টিকা কার্যক্রম দ্রুত করতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত পাঁচটি রাজ্যে ১০ জনের শরীরে ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর এ আহ্বান জানালো সংস্থাটি। খবর আল-জাজিরার।

পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক পরিচালক তাকেশি কাসাই ম্যানিলা থেকে একটি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, করোনার নতুন ধরন মোকাবিলায় প্রত্যেকটি দেশ ও সম্প্রদায়কে অবশ্যই প্রস্তুতি নিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

ডব্লিউএইচওর এই পরিচালক আরও বলেন, শুধু সীমান্ত বন্ধ করলেই হবে না। দ্রুত সংক্রমণশীল এ ধরন ঠেকাতে প্রস্তুতির বিকল্প নেই। ওমিক্রন সম্পর্কে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে।

ওমিক্রন গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয়। তারপর অন্যান্য দেশে শনাক্ত হয়েছে নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট।

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে এরইমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরাও। তারা বলছেন, করোনার ব্যাপকভাবে রূপান্তরিত হয়ে নতুন এই রূপ নিয়েছে। এটি মারাত্মক হুমকি তৈরি করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

করোনাভাইরাসের আগের সব ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ৩২ বার রূপ বদলে ফেলা ওমিক্রন অতি-সংক্রামক হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এই ভ্যারিয়েন্টের প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ভারতের কোভিড-১৯ টাস্কফোর্সের প্রধান ডা. ভিকে পল বলেছেন, এই মুহূর্তে কঠোর বিধি-নিষেধের দরকার হবে না। পরিস্থিতি এখনও বেশ ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে আছে।