ওমিক্রন ‘অভাবনীয় হারে’ ছড়িয়ে পড়ছে: ডব্লিউএইচও
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করে বলছে, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়্যান্ট ওমিক্রন অভাবনীয় হারে ছড়িয়ে পড়ছে।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বিবিসির প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রন ৭৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও’র প্রধান টেড্রোস আধানম গ্যাব্রিয়াসুস বলেন, ইতিমধ্যে অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রন ৭৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কারণ অনেক দেশ হয়তো এখনও শনাক্ত করতে পারেনি।
সাউথ আফ্রিকান এই ধরন মোকাবিলায় যথেষ্ট কিছু করা হচ্ছে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন টেড্রোস আধানম। তিনি বলেন, এটা নিশ্চিত, আমরা আমাদের দিক থেকে এই ভ্যারিয়্যান্টকে কম গুরুত্ব দিচ্ছি। মারাত্মক অসুস্থতা তৈরি যদি নাও করে, ব্যাপক মাত্রায় সংক্রমণের ফলে অপ্রস্তুত চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন প্রথম নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয়। তারপর থেকে দেশটিতে ব্যাপক হারে সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে আছেন।
ওমিক্রন শনাক্তে পর বেশ কয়েকটি দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা এবং এর প্রতিবেশীদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপরও ওমিক্রনের ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ব।
টেড্রোস আধানম বলেন, কোভিড-১৯ ছড়ানো ঠেকাতে টিকার বুস্টার ডোজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু, এখানে অগ্রাধিকার নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়।