ওমিক্রনের চেয়ে বেশি সংক্রামক হতে পারে ‘এক্সই’: ডব্লিউএইচও
করোনা মহামারি শেষ হয়েও যেন শেষ হচ্ছে না। গত দুই বছর বিশ্বজুড়ে তাণ্ডবের পর মনে হচ্ছিল এই বুঝি মহামারিটি শেষ হলো। কিন্তু এরই মধ্যে পাওয়া গেল নভেল করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘এক্সই’।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করে বলেছে, করোনার নতুন এই ধরনটি ওমিক্রনের ‘বিএ.২’ উপপ্রজাতির চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
ডব্লিউএইচও’র বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক ধারণা- ওমিক্রনের ‘বিএ.১’ ও ‘বিএ.২’ সাব-ভ্যারিয়্যন্টের সংমিশ্রণের ফলে ‘এক্সই’ ধরনের উৎপত্তি।
জানা গেছে, গত ১৯ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যে ‘এক্সই’ প্রথম চিহ্নিত হয়েছিল। এখন পর্যন্ত ৬০০টি এক্সই সংক্রমণের ঘটনা চিহ্নিত করা গিয়েছে। তবে, ‘এক্সই’র সংক্রমণ ক্ষমতা প্রবল হলেও ধরনটি কম প্রাণঘাতী বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত ওমিক্রনের ‘বিএ.২’ সাব-ভ্যারিয়্যান্টটি বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সংক্রামক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক সংক্রমণের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এ ভাইরাসটি দায়ী।
ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট, ‘বিএ.২’ প্রথম ২০২১ সালের নভেম্বরে ফিলিপাইনে উদ্ভূত হয়েছিল। তবে করোনা বারবার মিউটেশনের মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তিত করছে। ওমিক্রনও তার ব্যতিক্রম নয়। মিউটেশনের কারণেই কোভিডের এত ভ্যারিয়েন্ট। আর সেখান থেকে তৈরি হয়েছে সাব ভ্যারিয়েন্টও। ভারতে বর্তমানে ওমিক্রনের বিএ.১, বিএ.২, বিএ.৩ এবং বি.১.১.৫২৯ এই চারটি ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন এই বিএ.২ ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে।
তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, নতুন ‘এক্সই’ ধরনটি যে ওমিক্রনের ‘বিএ.২’ উপপ্রজাতির চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি সংক্রামক তা নিশ্চিতকরণের জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
ডেল্টা এবং ওমিক্রনের যুগ্ম সংক্রমণকেই বলা হচ্ছিল হাইব্রিড কোভিড। মনে করা হচ্ছিল, এই কোভিড জটিল সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে। মূলত তিনটি হাইব্রিড কোভিডের কথা বলছিলেন বিজ্ঞানীরা। দেখা যাচ্ছে এর মধ্যে একটি মারাত্মক আকার নিতে পারে।