যুদ্ধের কারণে বিশ্বে খাদ্যের দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে সামনের দিনগুলোতে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, যুদ্ধের কারণে ক্রমবর্ধমান দাম বৃদ্ধিতে দরিদ্র দেশগুলিতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতাকে আরও খারাপ করেছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের রফতানি যদি যুদ্ধ-পূর্ব স্তরে ফিরিয়ে না নেওয়া হয় তবে বিশ্ব দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হতে পারে, যা বছরের পর বছর স্থায়ী হবে।

যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের বন্দর দিয়ে পণ্য সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। যুদ্ধের আগে ইউক্রেন থেকে প্রচুর পরিমাণে সূর্যমুখী তেলের পাশাপাশি ভুট্টা ও গম রফতানি হতো। 

বিজ্ঞাপন

যার ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

বুধবার (১৮ মে) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে এক বক্তৃতায় গুতেরেস বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের কারণে বিশ্বে অপুষ্টি, ক্ষুধা ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় লাখ লাখ মানুষকে ভুগতে হতে পারে।

তিনি বলেন, যদি আমরা আজ এই সমস্যার সমাধান না করি, তাহলে আমরা আগামী দিনগুলিতে বিশ্বব্যাপী খাদ্য ঘাটতির সম্মুখীন হব।

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনে খাদ্য উৎপাদন, সেই সঙ্গে রাশিয়া ও বেলারুশের উৎপাদিত সারকে বৈশ্বিক বাজারে সরবরাহ ছাড়া খাদ্য সংকটের কোনো কার্যকর সমাধান হবে না।

জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, তিনি খাদ্য রফতানি স্বাভাবিক স্তরে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।

তবে, এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সব পক্ষেরই সদিচ্ছা থাকা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি, বলেন তিনি।

রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বের ৩০ শতাংশ গম রফতানি করে থাকে। যুদ্ধের আগে ইউক্রেনকে বিশ্বের রুটির ঝুড়ি বলা হতো, দেশটি প্রতি মাসে ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন কৃষি পণ্য রফতানি করত।

কিন্তু গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া দেশটিতে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে রফতানি কমে গেছে এবং দাম আকাশচুম্বী হয়েছে। গত শনিবার ভারত গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর তারা আরও বেড়েছে।

জাতিসংঘ বলছে, বর্তমানে ইউক্রেনে প্রায় ২০ মিলিয়ন টন শস্য আটকে আছে, যা ছেড়ে দেওয়া হলে বিশ্ব বাজারের চাপ কমাতে পারে।