সম্পর্কের নতুন উচ্চতায় ভারত ও ইসরায়েল

  • কনক জ্যোতি, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সম্পর্কের নতুন উচ্চতায় ভারত ও ইসরায়েল

সম্পর্কের নতুন উচ্চতায় ভারত ও ইসরায়েল

এক সময় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রায়-একঘরে ইসরায়েল বিশ্বব্যাপী বন্ধুত্ব ও সম্পর্কের দিগন্ত বিস্তৃত করছে দ্রুতবেগে। ঘোরতর শত্রু অনেক আরব দেশই এখন ইসরায়েলের মিত্র। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শীর্ষ পর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সফরের পাশাপাশি বাণিজ্য ও বিমান যোগাযোগের সূচনাও করেছে একদা বিচ্ছিন্ন ইহুদি রাষ্ট্রটি।

এশিয়ার এ প্রান্তের দেশগুলোতেও সরব ইসরায়েল। সম্পর্ক বাড়ানোর নানা চেষ্টায় তৎপর ইসরায়েল। বিশেষত, সম্পর্কের নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে ভারত ও ইসরায়েল। এবছর জুনে পালিত হয়েছে ভারত-ইসরায়েল সম্পর্কের ৩০ বছর।

বিজ্ঞাপন

ভারত ও ইসরায়েল নিজেদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে একটি স্মারক লোগো চালু করেছে। লোগোটিতে ডেভিডের তারকা এবং অশোকচক্র স্থান পেয়েছে, যে দুটি প্রতীক উভয় দেশের জাতীয় পতাকাতে শোভা পায়। এই বিশেষ লোগোটিকে ইসরায়েলের জনগণ এবং ভারতের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্ব, ভালবাসা এবং প্রশংসার প্রতীক বলে বর্ণনা করা হয়েছে। এটি উভয় পক্ষের মধ্যে ক্রমবর্ধমান কৌশলগত অংশীদারিত্বকেও চিত্রিত করে বলে মনে করেন ভারতে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত নওর গিলোন এবং ইসরায়েলে ভারতের রাষ্ট্রদূত সঞ্জীব সিংলা, যাদের আনুষ্ঠানিক উপস্থিতিতে একটি অনলাইন ইভেন্টের মাধ্যমে লোগোটি ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়।

ভারত-ইসরায়েল সুদীর্ঘ সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে কৃষি ও উদ্যানপালন ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য একটি 'উৎকর্ষ কেন্দ্র' স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে ইসরায়েল। উল্লেখ্য, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ইসরায়েলের এমন ২৯টি কেন্দ্র রয়েছে। আগস্টের শেষ সপ্তাহে কলকাতা সফরে এসে ভারতে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত নাওর গিলন জানান, কাজটি অতিদ্রুত চূড়ান্ত করতে তারা আগ্রহী।

বিজ্ঞাপন

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিল্পমহলের একাংশের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনীতিবিদের বৈঠকের উদ্যোক্তা ছিল বণিকসভা 'ফিকি'। তারা জানান, ২০১৪ সাল থেকে হুগলিতে ওই কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা চললেও তার অগ্রগতি শ্লথ। এ বছরের মধ্যে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। এ ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ দেবেন ইসরায়েলের বিশেষজ্ঞেরা। কী ভাবে সেই প্রযুক্তির সুবিধা কৃষকদের কাছে পৌঁছনো যায় তা ঠিক করবে রাজ্য বা স্থানীয় প্রশাসন। বছরে এক বারের বেশি ফসল ফলানো, সেচে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদি ওই কেন্দ্রের মূল লক্ষ্য হবে।

কলকাতায় ইসরায়েলের কনসাল (সাম্মানিক) হর্ষ নেওটিয়া ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিল্পসচিব বন্দনা যাদব রাজ্যের অর্থনীতির বিকাশের স্বার্থে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর বার্তা দেন। ইসরায়েলি দূত গিলনও জানান, এ রাজ্যে তাদের উপস্থিতি বাড়াতে আগ্রহী তারা। তথ্যপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, পরিস্রুত জলের জোগান সংক্রান্ত বিষয়ে উভয়পক্ষের গাঁটছড়া বাঁধার সম্ভাবনাও রয়েছে।

উল্লেখ্য, ভারত অন্যতম মিত্র ইসরায়েলের সঙ্গে সামরিক, বেসামরিক, নিরাপত্তা, কৃষি, বাণিজ্য, প্রযুক্তিসহ নানাবিধ ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করছে।