সি চিন পিং: ‘রাজপুত্র’ থেকে কৃষক, কৃষক থেকে প্রেসিডেন্ট



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম কংগ্রেসের দিকে এখন বিশ্বের নজর। এই কংগ্রেসে মাও সে-তুংয়ের পর দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর নেতা হিসেবে চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তার অবস্থান পোক্ত করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যা চীনের রাজনীতিতে নতুন এক ইতিহাস রচনা করবে।

চীনা সংবিধানে দুইবারের বেশি প্রেসিডেন্ট হওয়ার ব্যাপারে বিধিনিষেধ ছিল। যা ১৯৯০-এর দশক থেকে কার্যকর ছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে দুবারের সেই সীমা সরিয়ে ফেলা হয়। ফলে সি চিন পিং তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার দরজা অবারিত হয়ে যায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হলে সি চিন পিং চীনের ক্ষমতায় নিজেকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবেন। সেই সঙ্গে চীনা রাষ্ট্র ও সমাজের ওপর তার নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত হবে। অনেকেই মনে করেন, এমনও হতে পারে, ৬৯ বছর বয়সী সি চিন পিং আজীবন ক্ষমতা ধরে রাখবেন।

১৯৫৩ সালে চীনের বেইজিংয়ে জন্ম নেওয়া সি চিন পিং বিপ্লবী নেতা শি ঝংশানের পুত্র। ঝংশান কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। মা কি জিনও ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য।

১৯৪৯ সালে মাও সেতুংয়ের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় পিপলস রিপাবলিক অব চায়না। এরপর উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ঝংশান। অভিজাত ঘরে জন্ম নেওয়ায় ছেলে বেলায় সি চিন পিংকে ‘রাজপুত্র’ হিসেবে অভিহিত করা হতো।

কিন্তু কয়েক বছর পরই সি চিন পিংদের পরিবারের সম্পদ নাটকীয়ভাবে কমতে থাকে। দল ও সরকারের সঙ্গে বারবার মতানৈক্যে জড়ান ঝংশান। তার মাশুলও দিতে হয় তাকে। ১৯৬৩ সালে তাকে দল থেকে বহিষ্কার ও কারাবন্দি করা হয়। পাঠিয়ে দেওয়া হয় হেনান প্রদেশে একটি কারখানায়। ফলে বাবার সঙ্গে কয়েক বছরের জন্য যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এরপর ১৯৬৬ সালে চীন উত্তাল হয়ে ওঠে। শুরু হয় তথাকথিত ‘সাংস্কৃতিক বিপ্লব’। লাখ লাখ নাগরিককে ‘চীনা সংস্কৃতি’র শত্রু আখ্যা দেয়া হয়। সারাদেশে তাদের ওপর চালানো হয় সহিংস হামলা। এতে বিপাকে পড়ে জিনপিংয়ের পরিবারও। তার এক সৎবোনকে হত্যা করা হয়। ব্যাহত হয় কিশোর সি চিন পিংয়ের লেখাপড়াও।

অভিজাত স্কুল থেকে ঝরে পড়েন সি চিন পিং। আরও মাত্র ১৫ বছর বয়সে তাকে ছাড়তে হয় বেইজিং। ষাটের দশকের শেষের দিকে শুরু হয় ‘ডাউন টু দ্য কান্ট্রিসাইড মুভমেন্ট’। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তরুণ সি চিন পিংকে পাঠানো হয় শানজি প্রদেশের লিয়াংজিয়াহে গ্রামের ‘পুনঃশিখন কেন্দ্রে’। সেখানে একটানা সাত বছর কৃষকের কাজ করতে হয় ‘রাজপুত্র‘ সি চিন পিং।

শৈশব ও কৈশোর ঝঞ্ঝা বিক্ষুদ্ধ হলেও উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন সি চিন পিং। বেইজিংয়ের শিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পাস করেন তিনি। এ সময় তার পরিচয় ছিল কর্মী-কৃষক-সেনা-ছাত্র।

এত পরিশ্রম ও কষ্ট সত্ত্বেও কমিউনিস্ট পার্টি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার বদলে বারবারই দলে যোগ দিতে চাইতেন সি চিন পিং। তবে প্রতিবারই বাবার কারণে তা ভেস্তে যায়। অবশেষে ১৯৭৪ সালে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়। দায়িত্ব শুরু হয় হিবে প্রদেশ থেকে।

কয়েক বছর অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের পরে বাড়ে দায়িত্বভার। ১৯৮৯ সালে ৩৫ বছর বয়সে তার পদোন্নতি হয়। দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ ফুজিয়ানের নিংদে শহরের দলীয় প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। ওই বছরই বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বাধীনতার দাবিতে বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়।

সরকারের দুর্নীতি বন্ধ ও গণতন্ত্রের দাবিতে ১৯৮৯ সালের এপ্রিল থেকে শিক্ষার্থীরা ঐতিহাসিক তিয়েনআনমেন স্কয়ারে অনশন শুরু করে। তার সঙ্গে যোগ দেন শ্রমিকেরা। মাও সেতুংয়ের ছবির সামনে গণতন্ত্রের দেবীর মূর্তি খাড়া করে ক্ষমতাসীন সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।

রাজধানী বেইজিং থেকে অনেক দূরে ফুজিয়ান প্রদেশ। কিন্তু রাজধানী বিক্ষোভের উত্তাপ সেখানেও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানেও শুরু হয় বিক্ষোভ। দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে নিয়েও সেই বিক্ষোভ মোকাবিলায় হিমশিম খেতে হয় সি চিন পিংকে।

বিক্ষোভ প্রধানত শান্তিপূর্ণ হলেও দমনে কঠোর অভিযান চালায় সরকার। বিক্ষোভকারীদের উৎখাতে ৩ জুন রাতে রাজধানী বেইজিংয়ে সেনা ও ট্যাংক নামানো হয়।

পরদিন ৪ জুন মধ্যরাতে সব দিক থেকে ঘিরে ফেলা হয় তিয়েনআনমেন স্কয়ার। বেয়নেট হাতে সেনাদের সামনে সার বেঁধে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা তিয়েনআনমেন স্কয়ার ত্যাগ করে। তবে স্কয়ারের বাইরে সেনাদের নির্বিচার গুলিতে ততক্ষণে নিহত হন শত শত ছাত্র-শ্রমিক।

ওই ঘটনার পর এ নিয়ে কোনোরকম আলোচনা নিষিদ্ধ করে চীন। এমনকি প্রায় ৩০ বছর পরও এ নিয়ে কথা বলা নিষেধ। সেই ঘটনা দেশটির ইতিহাস বই ও সরকারি নথি থেকে মুছে ফেলা হয়েছে।

তিয়েনআনমেন হত্যাযজ্ঞের কোনো সরকারি পরিসংখ্যান এখন পর্যন্ত প্রকাশ করেনি চীন। তবে প্রত্যক্ষদর্শী, মানবাধিকার সংস্থা ও গবেষকদের মতে, তিয়েনআনমেনে সেদিন হাজারের ওপর লোককে হত্যা করেছিল সেনারা।

ওই ঘটনার পর সি চিন পিংকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রায় দুই দশক পর ২০০৮ সালে বেইজিংয়ে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হয়। যার পুরো আয়োজনের দায়িত্ব পান সি চিন পিং।

এর মধ্য দিয়ে চীনও নিজেকে দেখানোর সুযোগ পায় যে, সেও এতদিনে অনেকটা এগিয়েছে এবং অলিম্পিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক আসরেরও আয়োজন করতে সক্ষম। এবং এক্ষেত্রে সফলতাও দেখায় চীন যা তার ক্রমবর্ধমান শক্তি হয়ে ওঠার প্রতীক হয়ে ওঠে।

এর মধ্যদিয়ে দলে সি চিন পিংয়ের গুরুত্ব ও প্রভাব বাড়ে। যা তাকে দলের শীর্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী নেতাদের কাতারে নিয়ে যায়। ২০০৭ সালে সপ্তদশ পার্টি কংগ্রেসে তিনি চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হন। এর পরের বছর তিনি চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ২০১২ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক অ্যান্ড্রু জে. নাথান বলেছেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্ব ২০১২ সালে সি চিন পিং কে নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছিল, তারা বিশ্বাস করেছিল যে তাকে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা মনে করেছিল সি চিন পিং নমনীয়, অনুগত হবে । কিন্তু তিনি সবকিছু নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর তার উগ্র মানসিকতা সবাইকে অবাক করেছে, বলেন নাথান।

ক্ষমতা গ্রহণের পর সি চিন পিং দ্রুত তার কর্তৃত্ববাদী দিক প্রকাশ করেন। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে এক বক্তৃতায় তিনি গণতন্ত্রকে বিপজ্জনক বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং যুক্তি দিয়েছিলেন যে ১৯৮৯ সালে তার একদলীয় কমিউনিস্ট ব্যবস্থার অবসানের পর সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মতো পরিণতি এড়াতে চীনকে যা করা দরকার তা করতে হবে।

চীনের অভিজাত রাজনীতির বিশেষজ্ঞ ডেভিড শামবাঘ সি চিন পিংকে ‘আধুনিক সম্রাট’ বলে অভিহিত করেছেন।

   

রাজনীতিতে আসছেন প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্ট



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজনৈতিক পরিবারের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও এতদিন তিনি সরাসরি অংশ নেননি রাজনীতিতে। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে একের পর এক ইঙ্গিত দিচ্ছেন গান্ধী পরিবারের জামাই রবার্ট বঢরা।

গান্ধী পরিবারের পারিবারিক আসন অমেঠী থেকে এবার কাকে প্রার্থী করা হবে, তা এখনও চূড়ান্ত করেনি কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতেই ভেসে বেড়াচ্ছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্টের নাম। ওই আসন থেকে লড়ে রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করতে চান তিনি, তা নিয়ে আগেই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন রবার্ট। তার দাবি, অমেঠী তাঁকে চায়।

এনডিটিভিকে রবার্ট বলেছেন, পুরো দেশ চায় তিনি যেন সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন।

রবার্টের ভাষ্যমতে, অমেঠীর বর্তমান সাংসদ স্মৃতি ইরানি তার প্রতিশ্রুতি রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই অমেঠী পরিবর্তন চাইছে। তিনি আরও বলেন, ‘সারা ভারত থেকে আওয়াজ আসছে। সবাই চান আমি সক্রিয় রাজনীতিতে আসিভ কারণ আমি সব সময় দেশের মানুষের মধ্যেই ছিলাম। আমি ১৯৯৯ সাল থেকে অমেঠীতে প্রচারণা চালিয়েছি।’

প্রিয়াঙ্কার স্বামী আরও দাবি করেন, দুই দফা নির্বাচনের পরে বলা চলে কংগ্রেস বিজেপির থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। তার মতে, ‘মানুষ পরিবর্তন চান। তারা বিজেপি থেকে পরিত্রাণ চান। বিজেপি কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে অপব্যবহার করছে। ভারতের মানুষ গান্ধী পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন। কারণ, তারা রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কার কঠোর পরিশ্রম দেখছেন রোজ।’

অমেঠী থেকে কংগ্রেস তাকে টিকিট দেবে কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়, তবে রবার্ট বারবারই দাবি করে আসছেন, সেখানকার মানুষ চাইছেন এবার ওই আসন থেকে তিনিই লড়ুন।

তিনি বলেন, ‘অমেঠী চায় গান্ধী পরিবারের একজন সদস্য এখানে আসুন। তাকে তারা বিপুল পরিমাণ ভোটে জেতাবেন। সেখানকার বাসিন্দারা এটাও আশা করেন যে, আমি যদি রাজনীতিতে প্রথম পা রাখি কিংবা সাংসদ হওয়ার কথা ভাবি তা হলে যেন অমেঠী থেকেই লড়ি।’

উল্লেখ্য, দুই দিন আগেই অমেঠীতে রবার্টের সমর্থনে কয়েকটি পোস্টার লাগানো হয়েছিল। সেখানে লেখা ছিল, ‘অমেঠীর মানুষ রবার্টকেই চায়।’

কংগ্রেসের জন্য অমেঠী খুবই গুরুত্বপূর্ণ আসন। কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি অমেঠীতে বরাবর গান্ধী পরিবারের কোনও না কোনও সদস্য প্রার্থী হয়েছেন এবং জিতেছেন। অতীতে এই আসন থেকে সঞ্জয় গান্ধী, রাজীব গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

২০১৯ সাল পর্যন্ত এই কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস জয় পেয়েছে। কিন্তু, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাহুলের বিরুদ্ধে এই আসনে জয় পান বিজেপির স্মৃতি ইরানি।

;

গুজরাটে পানি পুরি বিক্রি করছেন মোদি!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম দেখাতে হুট করে চমকেও উঠতে পারেন গুজরাটের এই পানি পুরির দোকানের মালিককে দেখে। দেখে মনে হতে পারে স্বয়ং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদি পানি পুরি বিক্রি করছেন!

বিষয়টা সত্যি না হলেও বোঝার উপায় নেই গুজরাটের আনন্দে তুলসী পানি পুরি দোকানের মালিক অনিল ভাই ঠক্করকে দেখে। স্থানীয়রা তাকে প্রধানমন্ত্রী মোদী হিসাবে ডাকেন। কারণ তার চুলের স্টাইল, সাদা দাড়ি এবং চেহারা প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে অনেকটাই মিলে যায়।


গুজরাটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই হুবহু রুপের মানুষটি পানি পুরি বিক্রি করেন, চলতি মাসের শুরুতে সাত পর্বের লোকসভা নির্বাচনের ভোট শুরু হওয়ার সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে তার ভিডিও।

ঠক্কর মূলত জুনাগড়ের বাসিন্দা এবং তিনি ১৮ বছর বয়স থেকে 'তুলসী পানি পুরি সেন্টার' পানি পুরি বিক্রি করছেন। দোকানটি তার দাদা শুরু করেছিলেন।

৭১ বছর বয়সী ঠক্কর জানান, তার দোকানের গ্রাহকরা প্রায়ই চেহারার কারণে তার সাথে সেলফি তুলেন।


তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে আমার সাদৃশ্য থাকার কারণে আমি স্থানীয় এবং পর্যটক উভয়ের কাছ থেকে অনেক ভালবাসা এবং সম্মান পাই"।

ঠক্কর বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর মূল্যবোধের দ্বারা গভীরভাবে অনুপ্রাণিত এবং যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপর জোর দেন, তেমনি তিনি তার স্টলটি অনবদ্যভাবে পরিষ্কার রাখেন।


মিস্টার ঠক্করই প্রধানমন্ত্রী মোদীর একমাত্র ডপেলগ্যাঞ্জার নন। মুম্বাইয়ের মালাড থেকে আসা বিকাশ মহন্তের সাথেও - প্রধানমন্ত্রীর মোদির সাথে অদ্ভুত মিল রয়েছে।

এই বছরের শুরুর দিকে, তাকে গর্ভা বাজানো দেখানো একটি ভিডিওকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ডিপফেক বলে ভুল করা হয়েছিল।

ভিডিওটির সত্যতা নিয়ে প্রাথমিকভাবে প্রশ্ন করা হয়েছিল, অনুমান করা হয়েছিল যে এটি একটি ডিপফেক হতে পারে। বিকাশ মহন্তে অবশ্য পরে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে তিনিই ভিডিওতে গর্ভা বাজিয়েছিলেন।

;

‘নাভালনিকে হত্যার নির্দেশ দেননি পুতিন’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আর্কটিক কারাগারে পুতিনবিরোধী রাজনীতিবিদ আলেক্সি নাভালনির রহস্যজনক মৃত্যুর নেপথ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে মন্তব্য করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা।

প্রায় ২ মাসের তদন্ত শেষে শনিবার (২৭ এপ্রিল) গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানায়, নাভালনি হত্যার নির্দেশ দেননি পুতিন। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

তবে, এই মার্কিন অনুসন্ধানকে নির্বোধ এবং হাস্যকর বলে অভিহিত করেছেন নাভালনির সিনিয়র সহযোগী লিওনিড ভলকভ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা শনিবার (২৭ এপ্রিল) জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে পুতিন সম্ভবত নাভালনিকে হত্যার নির্দেশ দেননি। তবে, নাভালনির মৃত্যুর জন্য পুতিনকে সামগ্রিক দায় থেকে অব্যাহতি দেয়নি সংস্থাটি। 

অন্যদিকে, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, অনুসন্ধানটি মার্কিন গোয়েন্দাদের দ্বারা ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালকের কার্যালয় এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা প্রতিবেদনটি শেয়ার করেছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল তার কয়েকটি সূত্রের মাধ্যমে জানিয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মূল্যায়নটি কিছু শ্রেণীবদ্ধ গোয়েন্দা তথ্য, নাভালনির মৃত্যুর সময়, মার্চ মাসে পুতিনের পুনঃনির্বাচন প্রক্রিয়া এবং জনসাধারণের তথ্যের বিশ্লেষণসহ বিভিন্ন তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ওই হত্যাকাণ্ডে মস্কোর জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে ক্রেমলিন। গত মাসে নাভালনির মৃত্যুকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করেছিলেন পুতিন।

পুতিন বলেছেন, নাভালনি যদি আর রাশিয়ায় থাকতে না চান তাহলে বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে কারাবন্দি নাভালনিকে পশ্চিমের হাতে তুলে দিতেও প্রস্তুত ছিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, ৪৭ বছর বয়সি নাভালনি ছিলেন পুতিনের কঠোর সমালোচক। তার সহযোগীরা তাকে হত্যা করার জন্য পুতিনকে অভিযুক্ত করে বলেছেন, তারা তাদের অভিযোগের সমর্থনে প্রমাণ দেবে।

;

নারীর প্রতি সহিংসতা মহামারির আকার নিয়েছে- অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারীদের প্রতি সহিংসতা দিন দিন মহামারির আকার নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানেজ।

নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজধানী সিডনিতে নারীর প্রতি সহিংসতাবিরোধী আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সিডনিসহ অস্ট্রেলিয়ার বড় বড় শহরে নারীর প্রতি সহিংসতাবিরোধী মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসব সমাবেশে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আরো কঠোর আইন প্রণয়নের দাবি জানানো হয়। খবর- আমু টিভি

এ সব মিছিলে ধ্বনি তোলা হয়, সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি বছর প্রতি চারদিনে একজন করে নারীকে হত্যা করা হয়েছে।

এছাড়া এ শুধু এপ্রিলেই সিডনিতে ছয়জনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এর মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন। মিছিলে কেউ কেউ ‘শ্রদ্ধা করুন’ ও ‘আর কোনো সহিংসতা নয়’ স্লোগান লেখা ব্যানার বহন করেন।

সমাবেশে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানেজ জানান, ২৮ এপ্রিল রোববার রাজধানী ক্যানবেরাতে অনুষ্ঠিতব্য একই ধরনের মিছিলে তিনিও অংশগ্রহণ করবেন।
তিনি এ সময় বলেন, আমি নারীদের সঙ্গে সারা অস্ট্রেলিয়া হেঁটে হেঁটে বলবো, ‘আর নয়, যথেষ্ট হয়েছে! অবশ্যই আমাদের ভালো কিছু করতে হবে’।

 

 

;