দায়িত্ব নিয়েই একাধিক মন্ত্রীকে ছাঁটাই ঋষির, ফেরালেন সুয়েলাকে

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর পরই বুধবার পুরনো একঝাঁক মন্ত্রীকে ছাঁটাই করলেন ঋষি সুনাক। পাশাপাশি, পূর্বসূরি লিজ় ট্রাসের সময় বাদ পড়া এবং পদত্যাগ করা কয়েক জন কনজারভেটিভ নেতা-নেত্রীকে মন্ত্রিসভায় ফিরিয়েছেন তিনি।

ব্রিটেনের নতুন উপপ্রধানমন্ত্রী পদে ডমিনিক রাবকে নিয়োগ করেছেন তিনি। বরিস জনসনের মন্ত্রিসভাতেও উপপ্রধানমন্ত্রী ছিলেন রাব। গত ৫ জুলাই বরিসের পদত্যাগের পরে প্রধানমন্ত্রীত্বের দাবিদার ঋষির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এমনকি, সেপ্টেম্বরে চূড়ান্ত দফার ভোটাভুটির আগে স্যার রবার্ট বাকল্যান্ডের মতো কনজারভেটিভ পার্টির প্রবীণ নেতা ঋষির পাশ থেকে সরে গিয়ে লিজকে সমর্থন করলেও রাব সে পথে হাঁটেননি।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রিসভায় ঋষি ফিরিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নেত্রী সুয়েলা ব্রেভারমানকেও। লিজের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে গত ২০ অক্টোবর ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন সুয়েলা। আলটপকা মন্তব্যের জন্য সম্প্রতি একাধিক বিতর্কের মুখে পড়েছেন তিনি। কিছু দিন আগে সুয়েলা বলেন, ভিসার মেয়াদের চেয়ে বেশি সময় থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা ভারতীয়দের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি। এর ফলে নয়াদিল্লির নিশানা হতে হয় লন্ডনকে। এর পর হাউস অব কমন্সে তিনি ব্রিটেনে সাম্প্রতিক ধর্মঘটের জন্য বিরোধী লেবার পার্টিকে দায়ী করে উপহাসের মুখে পড়েন। গত জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রীত্বের দৌড়ে নেমে দ্বিতীয় রাউন্ডেই হেরে গিয়েছিলেন সুয়েলা।

অর্থমন্ত্রী পদে ঋষি ফিরিয়েছেন ‘দক্ষ প্রশাসক’ হিসেবে পরিচিত জেরেমি হান্টকে। গত ২১ অক্টোবর লিজের পদত্যাগের পরে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন হান্টের নাম নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের অন্দরে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু হান্ট নিজেই জানিয়ে দেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান না। ব্রিটেনের আর্থিক হাল ফেরাতে তিনিই যোগ্য ব্যক্তি বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। সুয়েলার পদত্যাগের পরে গত বুধবার ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে গ্রান্ট শ্যাপসকে নিযুক্ত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী লিজ। করোনাকালে ব্রিটেনের পরিবহন মন্ত্রী ছিলেন তিনি। এ বার তাকে বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন ঋষি।

বিজ্ঞাপন

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কট্টর মস্কো-বিরোধী অবস্থানের জন্য আলোচনার কেন্দ্রে এসেছিলেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস। তাকেও নতুন সরকারে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার ইতিমধ্যেই ওয়ালেসের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আর্থিক অপরাধ এবং সন্ত্রাস বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত ওয়ালেস।

এর আগে অশান্ত নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড বিষয়ক দফতরের দায়িত্বও সামলেছেন ৫২ বছরের এই নেতা। প্রধানমন্ত্রী পদের আর এক দাবিদার পেনি মর্ডন্টকে ‘হাউস অফ কমন্স’-এর নেতা হিসেবে বহাল রাখা হয়েছে। গত বার চতুর্থ রাউন্ড পর্যন্ত দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তিনি। কিন্তু পঞ্চম রাউন্ডে ছিটকে যান। পেনিকে পিছনে ফেলে ঋষির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এসেছিলেন লিজ।