টুইটারের সিইও পদ ছাড়ছেন ইলন মাস্ক!

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

টুইটারের সিইও পদ থেকে পদত্যাগ করা উচিত? জনতাকে এই প্রশ্ন করে এলন মাস্ক বলেছিলেন, জনগণ যে জবাব দেবে, তা ভালো হোক বা মন্দ, তার পক্ষে হোক বা বিপক্ষে—তা মেনে নেবেন তিনি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান মাস্ক কি ভাবতে পেরেছিলেন, জনতার জবাব তার বিপক্ষেও যেতে পারে?

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে টুইটারের ১২২ মিলিয়ন অনুসারীদের কাছে প্রশ্নটি করেছিলেন মাস্ক। তার পর উত্তর দেওয়ার জন্য শুরু করেছিলেন একটি ভোটিং প্রক্রিয়া। হ্যাঁ অথবা না-এর বিকল্পে ক্লিক উত্তর চলে যাবে এলনের কাছে। দুনিয়া জুড়ে যে কোনও টুইটার ব্যবহারকারী উত্তর দিতে পারতেন এই প্রশ্নের। দিয়েছেনও। সব মিলিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ১ কোটি ৭৫ লাখ ২ হাজার ৩৯১ জন ভোট দেন। তবে ভোটারদের মধ্যে ৫৭.৫ শতাংশই ভোট দেন এলনের বিরুদ্ধে। অর্থাৎ অধিকাংশ ভোটারই চেয়েছেন, টুইটারের নতুন মালিক মাস্কটুইটারের সিইও পদ থেকে পদত্যাগ করুন। বাকি ৪২.৫ শতাংশ ভোটার চেয়েছেন তিনি থাকুন টুইটারে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার ফল প্রকাশের কথা ছিল। যথাসময়েই প্রকাশ্যে আসে জনতার রায়। এলন অবশ্য তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এর পর পদত্যাগ সংক্রান্ত কোনও ঘোষণা করেননি। বস্তুত এলন এ-ও জানাননি, তিনি না থাকলে তার পদে কে দায়িত্ব নিতে চলেছেন। অনুমান করা হয়েছিল, হয়তো ভোটিংয়ের পর তা জানাবেন তিনি। কিন্তু এলন তা করেননি।

উল্লেখ্য, গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা টেসলার প্রধান এলন টুইটার দখল করার পরই অর্ধেক কর্মীকে ছাঁটাই করা হয় সংস্থাটি থেকে। সরিয়ে দেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু কর্তাব্যক্তিকেও। এছাড়াও টুইটারে বহু নীতিগত বদল আনেন এলন। যার মধ্যে টুইটারের ব্লু টিক অ্যাকাউন্টকে চাঁদাভিত্তিক করে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি নিয়ে গোটা বিশ্বে হইচই পড়ে যায় ইন্টারনেট প্রভাবশালীদের মধ্যে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও এলনের সম্পত্তি নিয়ে প্রতিবেদন লেখা বেশ কিছু সাংবাদিকের টুইটার অ্যাকাউন্ট অচল (ডিঅ্যাক্টিভেট) হয়ে যাওয়ায় তা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়। অনেকেই জানতে চান টুইটার কি তবে সংবাদমাধ্যমের মুখ বন্ধ করতে চায়? গত ২৭ অক্টোবরের পর থেকে এমনই একের পর বিতর্কে বিদ্ধ হয়েছেন এলন, সমালোচিত হয়েছে টুইটার। তবে এলনের নতুন ঘোষণায় সেই পর্বে ইতি পড়তে চলেছে বলে আশা করছেন অনেকেই।