চীন ৮ জানুয়ারি থেকে সব অবমুক্ত করে দিচ্ছে

চীন ৮ জানুয়ারি থেকে সব অবমুক্ত করে দিচ্ছে

  • খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চীন ২০২৩ সালের রোববার ( জানুয়ারি) থেকে সব অবমুক্ত করে দিচ্ছে। দিন থেকে চীন তার সকল সীমান্ত পুনরায় খুলে দেবে এবং "জিরো-কোভিড" নীতি থেকে বেরিয়ে আসবে।

চীনের স্বাস্থ্য কমিশন এক ঘোষণায় কথা জানিয়ে বলেছে, সীমানা পুনরায় খুলবে এবং জানুয়ারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার রোধ করার জন্য গৃহীত কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা পরিত্যাগ করবে। তারা কঠোর "জিরো-কোভিড" নীতি থেকে সম্পূর্ণ বের হয়ে আসছে।

বিজ্ঞাপন

চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বলেছে, দেশি বিদেশি এবং চীনা নাগরিক উভয়ই ভ্রমণের ৪৮ ঘণ্টা আগে কোভিড-১৯ নেগেটিভ পরীক্ষার আর প্রয়োজন পড়বে না।

চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং দেশের সীমানা পুনরায় খুলে দিয়ে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে উন্নীত করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে মনে হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

জিনপিং তার ২০২৩ সালের নববর্ষের ভাষণে বলেছেন, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে আমরা জনগণের স্বার্থ সর্বাগ্রে রেখেছি এবং জীবনকে সবার আগে গুরুত্ব দিয়েছি।

ডায়নামিক বিজ্ঞানসম্মত এবং নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে, আমরা মানুষের জীবন স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির আলোকে মহামারীকে মানিয়ে নিয়েছি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায়।

চীন কার্যকরভাবে ১৪০ কোটি জনসংখ্যার ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষকে সম্পূর্ণরূপে টিকা দিয়েছে। প্রায় ৩৪৮ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। ৬০ বছরের বেশি বয়সী প্রায় ৮৭ শতাংশ লোককে সম্পূর্ণরূপে টিকা দেওয়া হয়েছে, যেখানে৮০ বছরের বেশি বয়সী ৬৬. শতাংশ মানুষ টিকা দেওয়ার সম্পূর্ণ কোর্স সম্পন্ন করেছে।

চীন গত তিন বছরে প্রায় . শতাংশের গড় বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি করেছে যা অর্থনীতির অসাধারণ স্থিতিস্থাপকতা এবং সামগ্রিক স্থিতিশীলতা প্রকাশ করে। ২০২২ সালে চীনা অর্থনীতি পুনরুদ্ধার অব্যাহত রেখেছে। বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে চীনের জিডিপি বছরে তিন শতাংশ বেড়েছে।

চীনা মূল ভূখণ্ডে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ ২০২০ সালে প্রায় এক ট্রিলিয়ন ইউয়ান (১৪৪. বিলিয়ন ডলার) এবং ২০২২ সালে প্রথম তিন মাসেই এক ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়ে গেছে।

২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী শিপমেন্টে মন্দার মধ্যে চীন পণ্যের বৈদেশিক বাণিজ্যে বছরে . শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর ২১. শতাংশ এবং এই বছরের প্রথম ১১ মাসে . শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বর্তমানে বিদেশি আগতদের জন্য একটি নির্দিষ্ট সুবিধায় পাঁচ দিনের কোয়ারেন্টাইন এবং বাড়িতে তিন দিনের আলাদা থাকার নির্দেশনা রয়েছে।

বেইজিং ডিসেম্বরের পর থেকে কঠোর কোভিড-১৯ নির্দেশনাগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে শিথিল করেছে। এর ফলে ঘন ঘন পিসিআর পরীক্ষার মতো ব্যবস্থা বাদ দেওয়া হলো।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে মহামারীর প্রাথমিক পর্যায় থেকে, চীন কঠোর অ্যান্টিভাইরাস ব্যবস্থা প্রয়োগ করেছিল, তবে দেশটি এখন বলছে তারা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে বদ্ধপরিকর।

কমিশন আরও বলেছে, বেইজিং ব্যবসা, অধ্যয়ন এবং পারিবারিক পরিদর্শনের জন্য চীনে প্রবেশকারী বিদেশিদের জন্য ভিসা পদ্ধতি সহজতর করবে এবং মহামারী সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি অনুসারে চীনা নাগরিকদের জন্য বিদেশ গমন পুনরায় চালু করবে।