যুক্তরাষ্ট্রে মাকে হত্যার পর বাংলাদেশি যুবকের আত্মহত্যা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে মাকে গুলি করে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন এক বাংলাদেশি যুবক। জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের মেরিয়াট্টা শহরে গত সপ্তাহে এ ঘটনাটি ঘটলেও শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) স্থানীয় প্রবাসীদের মাঝে তা প্রকাশ পায়।

স্থানীয় প্রবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশি যুবক তৌফিক ইসলামের (২৯) সঙ্গে মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ যু্বতীর কয়েক বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তৌফিক ওই যুবতীকে বিয়ে করবে বলে পরিবারকে জানায়। বিয়েতে সম্মতি না থাকায় মা-বাবার সঙ্গে তৌফিকের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এ বিষয়টি নিয়ে পরিবারে প্রায়ই নানা কলহের সৃষ্টি হয়।

বিজ্ঞাপন

ঘটনার দিন অর্থাৎ ২৯ ডিসেম্বর মায়ের সঙ্গে আবারও ঝগড়া বাধে তৌফিকের। মা-ছেলের চরম বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে মায়ের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং মাকে গুলি করে হত্যা করেন তৌফিক। এ সময় অন্য কেউ বাড়িতে ছিল না। সন্ধ্যার দিকে তার ছোটভাই বাড়িতে এসে দরজা খুলেই ঘরের ভেতর মা ও ভাইয়ের রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখে আতঙ্কিত হয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মা ও ছেলের মরদেহ স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

তৌফিকের বাবার নাম মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। তাদের বাড়ি ঝালকাঠি জেলায়।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি কেনা নিজের লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মাকে হত্যার পর নিজে আত্নহত্যা করেছেন বলে স্থানীয় প্রবাসীরা ধারণা করছেন। এ ব্যাপারে মেরিয়াট্টা পুলিশ ডিপার্টমেন্টে একটি অপমৃত্য্য রেকর্ড করা হয়েছে।

৬ জানুয়ারি স্থানীয় আত্তাকোয়া মসজিদ প্রাঙ্গনে জুমার নামাজের পর মা ও ছেলের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা ছাড়াও ভিনদেশি অনেক মুসল্লি্রা অংশ নেন। পরে নিউটন কাউন্টিতে অবস্থিত মুসলিম কবরস্থানে মা ও ছেলের মরদেহ দাফন করা হয়।