তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২২ হাজার ছাড়িয়েছে

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা ২২ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু তুরস্কেই মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৯৯১ জনের। আর সিরিয়ায় মারা গেছে ৩ হাজার ৩৮৪ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর বার্তাসংস্থা রয়টার্সের।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, ভূমিকম্পে তুরস্কের ১০টি প্রদেশে আহত হয়েছেন ৭০ হাজারের বেশি মানুষ। এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। তাদের উদ্ধারে চলছে তৎপরতা।

বিজ্ঞাপন

তুরস্ক ও সিরিয়ার সরকারি সূত্র ও চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গত সোমবার ভোরে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত তুরস্কে ১৮ হাজার ৯৯১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর সিরিয়ায় মারা গেছেন ৩ হাজার ৩৮৪ জন। ফলে দুই দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৩৭৫ ।

তুরস্কে উদ্ধারকাজে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তীব্র ঠান্ডা, বৃষ্টি, যোগাযোগে বিপর্যয়সহ নানা সমস্যা। আশ্রয়, খাবার, পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুতের অভাবে চরম দুর্দশায় রয়েছেন উপদ্রুত এলাকাগুলোর বেঁচে থাকা মানুষেরা। ফলে তাদের মধ্য থেকেও অনেকের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

বিজ্ঞাপন

যুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়ায় ভূমিকম্পের পর অবস্থা আরও ভয়াবহ। দেশটির ভূমিকম্পকবলিত এলাকাগুলো সরকার ও বিদ্রোহী—দুই পক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহায়তা পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে সহায়তা নিয়ে জাতিসংঘের ছয়টি ট্রাক তুরস্ক সীমান্ত পার হয়ে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে। এটি দেশটির উপদ্রুত অঞ্চলে পৌঁছানো প্রথম আন্তর্জাতিক সহায়তা।

ডব্লিউএইচওর প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাস এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, সিরিয়ায় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা পাঠাবে ডব্লিউএইচও।

সংস্থাটি ইতিমধ্যে সতর্ক করেছে যে ভূমিকম্পের পরে কঠোর পরিস্থিতির কারণে তুরস্ক এবং সিরিয়ায় বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের দ্বিতীয় সম্ভাব্য বিপর্যয় আঘাত করতে পারে। আশ্রয়, খাদ্য, পানি ও বিদ্যুৎহীন হয়ে আটকে পড়া হাজার হাজার মানুষ।

এদিকে ‘হোয়াইট হেলমেট’ সিভিল ডিফেন্স গ্রুপের মতে, উত্তর-পশ্চিমে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কমপক্ষে ২ হাজার ৩৭ জন মারা গেছেন এবং ২ হাজার ৯৫০ জন আহত হয়েছেন।

হোয়াইট হেলমেটের প্রধান রায়েদ আল-সালেহ জাতিসংঘের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন, জাতিসংঘ নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না।

রায়েদ আল-সালেহ আরও বলেন, ভূমিকম্পের ১০০ ঘণ্টা পর যে ত্রাণ বহর উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় পৌঁছেছে তাতে ছিল মাত্র ছয় ট্রাক ভর্তি সাহায্য সামগ্রী। এগুলো ভূমিকম্পের আগেই সেখানে যাওয়ার কথা ছিল।