ভারতে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন আজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন আজ রোববার। আর সেই উপলক্ষে ঢেলে সাজানো হচ্ছে পুরো চত্বর। সাজানো হয়েছে সংসদ ভবনের অন্দরও। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বিখ্যাত উপকরণ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন সংসদ ভবন। নাগপুরের সেগুনকাঠ থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর থেকে আনা কার্পেট! কী নেই সেখানে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সংসদ ভবনের উদ্বোধন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে দেশটির বিরোধী দলগুলো। এরই মধ্যে ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংসদ ভবন উদ্বোধনের জন্য তারা ৭৫ রুপি মূল্যের একটি বিশেষ মুদ্রা চালু করতে যাচ্ছে। এই বিশেষ মুদ্রার ওজন ৩৫ গ্রাম।

এই মুদ্রাটি ৫০ শতাংশ রূপা, ৪০ শতাংশ তামা, ৫ শতাংশ নিকেল এবং ৫ শতাংশ জিঙ্ক দিয়ে তৈরি। ৪৪ মিমি ব্যাসের মুদ্রার একপাশে অশোক স্তম্ভ চিহ্ন থাকবে। নীচে লেখা হবে 'সত্যমেব জয়তে'। অশোক স্তম্ভের বাম দিকে দেবনাগরী লিপিতে 'ভারত' এবং ডানদিকে ইংরেজিতে 'ইন্ডিয়া' থাকবে।

নতুন ৭৫ রুপির কয়েনে 'রুপি' চিহ্নও থাকবে, যা ভারতীয় মুদ্রার প্রতীক। মুদ্রার অপর পাশে থাকবে নতুন সংসদ ভবনের ছবি। দেশটির কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেবনাগরিতে ছবির উপরে 'সংসদ সংকুল' এবং নীচে ইংরেজিতে 'পার্লামেন্ট কমপ্লেক্স' লেখা হবে।

প্রায় ৬০ হাজার শ্রমিক সম্প্রতি ভারতের নতুন সংসদ ভবন নির্মাণের জন্য দুই বছরের কঠোর পরিশ্রম সম্পন্ন করেছেন, যা এখন ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু তার আগেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে দেশে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

তৃণমূল, আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস, বাম, সমাজবাদী পার্টিসহ ২০টি বিরোধী দল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দিয়েছে। ক্ষমতাসীন দলটিও বিরোধী দলের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি উদ্বোধন বয়কটের সিদ্ধান্তকে ‘দেশের গণতান্ত্রিক নীতি এবং সাংবিধানিক মূল্যবোধের অপমান’ বলে অভিহিত করেছে।

   

পাকিস্তানের হামলায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত, দাবি পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পাকিস্তানের অন্তবর্তীকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি । ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের অন্তবর্তীকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি । ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান ও খাইবার-পাখতুনকওয়া প্রদেশে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা, রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (RAW) জড়িত বলে দাবি করেছেন দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি। পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।  

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দেশটির কোয়েটা প্রদেশে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বুগতি বলেন, আমরা জানি কে এবং কারা কোথা থেকে এ ঘটনার ইন্ধন দিচ্ছে। কর্তৃপক্ষ জানে কারা এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত। পাকিস্তানিরা এ হামলার প্রতিটি রক্তের ফোঁটার প্রতিশোধ নেবে।

দেশে জঙ্গি ও তাদের সহায়তাকারীদের কোনো স্থান নেই বলে জোর দিয়ে সন্ত্রাস নির্মূলে সব ধরনের শক্তি ব্যবহার করার প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী।

এদিকে, বেলুচিস্তানের মাস্তুং জেলায় ঈদে মিলাদুন নবীর মিছিলের প্রস্তুতি চলাকালীন আত্মঘাতী হামলার বিরুদ্ধে কোয়েটার কাউন্টার-টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) থানায় অজ্ঞাত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

সিটিডির এক মুখপাত্র জিও নিউজকে জানান, খুন, খুনের চেষ্টা, সন্ত্রাসবিরোধী এবং বিস্ফোরক আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মুখপাত্র আরও জানান, ঘটনার পরে তদন্ত চলছে, তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রসহ, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাক, আলজেরিয়া, ফ্রান্স, তুর্কি এবং মিশর এ সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

দেশগুলো সকল প্রকার সহিংসতা, সন্ত্রাসবাদ এবং নাগরিকদের ভয় দেখানোর বিরুদ্ধে তাদের দৃঢ় অবস্থান পুন:ব্যক্ত করেছে এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছে।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানে পরপর দুইবার বোমা হামলার ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৭ জন এবং আহত শতাধিক।



;

সাইফার মামলার তদন্তে দোষী সাব্যস্ত ইমরান খান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ইমরান খান। ছবি : সংগৃহীত

ইমরান খান। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে শনিবার রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা প্রকাশের (সাইফার) মামলায় দোষী ঘোষণা সাব্যস্ত করেছে দেশটির শীর্ষ তদন্ত সংস্থা।

ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান এবং তার ডেপুটি কুরেশির বিরুদ্ধে শনিবার চার্জশিট জমা দিয়েছে।

পাকিস্তান অবজারভারভারের ওয়েবসাইটের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে প্রতিষ্ঠিত একটি বিশেষ আদালতে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম চলছে এবং ইমরান ও কুরেশি-উভয়ই বর্তমানে বিচার বিভাগীয় রিমান্ডে কারাগারে আটক রয়েছেন।

গত বছর মার্চ মাসে ওয়াশিংটনে দেশটির দূতাবাসের পাঠানো একটি গোপন কূটনৈতিক তথ্য প্রকাশ করায় অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগে গত মাসে গ্রেপ্তার হন ৭০ বছর বয়সি ইমরান খান।

সাইফার মামলায় পিটিআই নেতাদের বিচার শুরু করতে এবং আইন অনুযায়ী তাদের সাজা দেওয়ার জন্য আদালতকে অনুরোধ করেছে এফআইএ।

এফআইএ-এর চার্জশিটে ইমরান ও কুরেশির নাম থাকলেও পিটিআইয়ের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ উমরের নাম নেই বলে জানা গেছে।

জিওটিভি জানিয়েছে, ওই মামলায় সাবেক মুখ্য সচিব আজম খানকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে এফআইএ-এর শক্তিশালী সাক্ষী হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন আজম খান।

পাকিস্তান অবজারভার আরও জানিয়েছে, আদালতে চার্জশিটসহ ২৮ জন সাক্ষীর একটি তালিকা জমা দিয়েছে এফআইএ।

সাক্ষীদের তালিকায় পররাষ্ট্র সচিব আসাদ মজিদ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সোহেল মাহমুদ এবং অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ফয়সাল নিয়াজ তিরমিজির নাম রয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে ২৬ সেপ্টেম্বর তৃতীয়বারের মতো ইমরান খানকে রিমান্ডে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। তার বিচার বিভাগীয় রিমান্ড প্রাথমিকভাবে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এবং এরপর ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

;

রাশিয়ার ৩০টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি ইউক্রেনের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ইউক্রেনের আকাশে ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন। ছবি : সংগৃহীত

ইউক্রেনের আকাশে ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে রাশিয়ার পাঠানো ইরানের তৈরি ৪০টি শাহেদ ড্রোনের মধ্যে ৩০টি ড্রোন কিয়েভের বিমানবাহিনী ভূপাতিত করেছে বলে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দাবি করেছে দেশটির আঞ্চলিক ও সামরিক কর্মকর্তারা।

ইউক্রেনের দক্ষিণ সামরিক কমান্ডের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, ভূপাতিত করা ৩০ টি ড্রোনের মধ্যে ২০টি ড্রোন মধ্য ভিনিশিয়া অঞ্চলে এবং বাকি ১০টি দক্ষিণে ওডেসা এবং মাইকোলাইভ অঞ্চলে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়।

দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের মুখপাত্র নাটালিয়া হুমেনিউক ইউক্রেনের টিভিকে বলেছেন, রাশিয়া দানিয়ুব নদীর শস্যবন্দরের অবকাঠামোতে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে এবং অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে ইউক্রেনের অন্যান্য অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে হামলা করছে।

প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ে শস্যচুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে দানিউব নদীর শস্যবন্দর, ওডেসা বন্দরসহ ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি অবকাঠামোতে বিমান হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া।

ভিন্নিতসিয়ার আঞ্চলিক গভর্নর সেরহি বোরজভ বলেছেন, মস্কোর ড্রোন এই অঞ্চলের একটি অবকাঠামোতে আঘাত হেনেছে, যার ফলে বড়সড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

তবে, ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে আর কোনো তথ্য দেননি তিনি। আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে, দক্ষিণ খেরসন অঞ্চলে তিনজন আহত হয়েছে।

এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বৈঠক করেছেন চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ।

রয়টার্স জানিয়েছে, পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় চেচেন অঞ্চলের অবদান নিয়ে আলোচনা করেছেন কাদিরভ।

প্রসঙ্গত, মস্কোর স্বার্থ রক্ষায় চেচনিয়াকে নির্মমভাবে পরিচালনার জন্য পুতিনের কাছ থেকে বিস্তৃত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন কাদিরভ।

মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে একটি পোস্টে কাদিরভ লিখেছেন, পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেনে চেচেন যোদ্ধাদের ভূমিকাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

তিনি আরও লিখেছেন, আলোচনায় অন্য কিছু সমস্যা উত্থাপিত হয়েছিল এবং পরে ওই সমস্যা সমাধানে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

কাদিরভের ছেলে গত মাসে কোরআন পোড়ানোর অভিযোগে অ্যাডাম নিকিতা ঝুরাভেল নামে একজন জাতিগত রাশিয়ান বন্দিকে লাথি ও ঘুষি মেরেছিল।

যদিও পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় ওই ঘটনা উঠেছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়।

কাদিরভ সোমবার ওই রাশিয়ান বন্দিকে মারধরের ভিডিও পোস্ট করে বলেছেন, মুসলিম ধর্ম রক্ষায় তার ছেলের ভূমিকার জন্য গর্বিত তিনি।

কথিত কোরআন পোড়ানোর ঘটনা চেচনিয়ায় ঘটেনি। তবে রাশিয়ান তদন্তকারীরা বলেছেন, তারা ঝুরাভেলকে চেচেন হেফাজতে স্থানান্তর করেছেন, কারণ সেখানকার মুসলমানরা নিজেদেরকে ওই ঘটনার শিকার হিসাবে দেখছে।

সাবেক ক্রেমলিনের বক্তৃতা লেখক এবং বর্তমানে পুতিনের কঠোর সমালোচক আব্বাস গ্যালিয়ামভ বলেছেন, ‘ওই মারধরের ঘটনায় পুতিনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা যায় যে, তিনি একজন জাতিগত রাশিয়ানকে হত্যা করার জন্য চেচেনদের হাতে তুলে দিয়েছেন।’

এদিকে, চলতি মাসে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, ৪৬ বছর বয়সি কাদিরভ গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আছেন।

কাদিরভ ক্ষমতা হস্তান্তর করার বিষয়ে বেশ কয়েকবার প্রকাশ্যে ভেবেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি তিন কিশোর ছেলের প্রোফাইল উত্থাপনও করেছেন, যাদের মধ্যে বড় ছেলেটি গত মার্চ মাসে ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে ছবি তুলেছিল।

অন্যদিকে, চেচনিয়ায় স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা মস্কোর জন্য অত্যাবশ্যক। কারণ, সোভিয়েত ইউনিয়ন পৃথক না হওয়ার জন্য দুটি নৃশংস এবং ব্যয়বহুল যুদ্ধ করেছে তারা।

;

প্রায় সব আর্মেনীয়ান নাগোর্নো-কারাবাখ ছেড়ে পালিয়েছে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
আর্মেনিয়া সীমান্তে অপেক্ষমান শরণার্থীরা। ছবি : সংগৃহীত

আর্মেনিয়া সীমান্তে অপেক্ষমান শরণার্থীরা। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল ছেড়ে এক লাখেরও বেশি জাতিগত আর্মেনিয়ান পালিয়েছে বলে দাবি করেছে আর্মেনিয়া।

বিবিসি জানিয়েছে, গত সপ্তাহে আজারবাইজান ওই অঞ্চলটি দখল করার পর থেকে এই ছিটমহল আর থাকার সাহস করেনি জাতিগত আর্মেনিয়ানরা।

তবে আজারবাইজান বলেছে, তারা অঞ্চলটিকে পুনরায় একীভূত করতে এবং এর সকল বাসিন্দাদের প্রতি ন্যায্য আচরণ করতে চায়। তবে, আজারবাইজানের ওই ঘোষণাকে "মিথ্যা" বলে অভিহিত করেছেন আর্মেনিয়ার এক মুখপাত্র।

এদিকে, আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র নাজেলি বাগদাসারিয়ান বলেছেন, গত সপ্তাহে নাগোর্নো-কারাবাখের মোট জনসংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজারের মধ্যে আনুমানিক ১ লাখ ৪১৭ জন শরণার্থী আর্মেনিয়ায় প্রবেশ করেছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) বলেছে, প্রায় ১ লাখ মানুষ পালিয়ে গেছে এবং যারা পালিয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই ক্ষুধার্ত, ক্লান্ত এবং অবিলম্বে তাদের সহায়তা প্রয়োজন"।

কারাবাখের সাবেক বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকর্তা আর্তাক বেগলারিয়ান বলেছেন, নাগর্নো-কারাবাখ বাসিন্দাদের শেষ দল শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আর্মেনিয়ায় পৌছেছে।

তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, "প্রায় কয়েকশ লোক রয়ে গেছে, যাদের বেশিরভাগই কর্মকর্তা, জরুরী পরিষেবার কর্মচারী, স্বেচ্ছাসেবক, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কিছু ব্যক্তি।"

জাতিসংঘ বলেছে, মানবিক পরিস্থিতির মূল্যায়ন করার জন্য তারা চলতি সপ্তাহান্তে নাগর্নো-কারাবাখে একটি মিশন পাঠাবে।

নাগর্নো-কারাবাখ অন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসাবে স্বীকৃত, যা গত তিন দশক ধরে জাতিগত আর্মেনিয়ানদের দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছিল।

দক্ষিণ ককেশাসের এই পার্বত্য অঞ্চলটি আর্মেনিয়া দ্বারা সমর্থিত এবং এর মিত্র রাশিয়াও।

৭০ বছর বয়সি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ভেরা পেট্রোসিয়ান মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি সবকিছু পিছনে ফেলে এসেছি। আমি জানি না আমার ভাগ্যে কী আছে। আমার কিছুই নেই। আমি কিছুই চাই না।’ আজারবাইজানের সঙ্গে সীমান্তের আর্মেনিয়া অংশের একটি হোটেলই এখন তার বাড়ি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি যে, গুলি, ক্ষুধা, অশান্তি এবং যন্ত্রণা প্রত্যক্ষ করেছি, তা আর দেখতে চাই না।’

এদিকে আজারবাইজান বলছে, তাদের সামরিক অভিযানে বেসামরিক নাগরিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান ৩০ বছরের মধ্যে ছিটমহলটি নিয়ে দুটি যুদ্ধ করেছে। ২০২০ সালে ছয় সপ্তাহের সংঘর্ষের পর নাগর্নো-কারাবাখ এবং এর আশেপাশের কিছু অংশ ফিরে পায় আজারবাইজান।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বলেছেন, ‘আর্মেনিয়ানদের অধিকারকে সম্মান করা হবে এবং ওই অঞ্চলটিকে একটি স্বর্গে পরিণত করা হবে।’

কিন্তু কারাবাখের আর্মেনিয়ানরা রয়টার্সকে বলেছে, তারা আজারবাইজানের অংশ হিসাবে বাস করতে চায় না, বরং তারা আজারবাইজানের হাতে জাতিগত নির্মূলের ভয় পায়।

কারাবাখ নেতৃত্বের উপদেষ্টা ডেভিড বাবায়ান বলেন, ‘আমাদের জনগণ আজারবাইজানের অংশ হিসেবে থাকতে চায় না। ৯৯ শতাংশ আর্মেনিয়ান আমাদের ঐতিহাসিক ভূমি ছেড়ে যেতে ইচ্ছুক।’

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা হিকমেত হাজিয়েভ আল-জাজিরাকে বলেছেন, ওই অঞ্চলের বেসামরিক নাগরিকদের রাজনৈতিক একীকরণ, আর্থসামাজিক সমস্যাসহ তাদের ভবিষ্যত সম্পর্কে সরাসরি সংলাপের জন্য বলা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী শিলা পেলান বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন না যে, আজারবাইজানের শাসনের অধীনে জাতিগত আর্মেনিয়ানদের সঙ্গে ন্যায্য আচরণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আর্মেনিয়ানদের প্রতি ঘৃণার একটি দীর্ঘস্থায়ী নীতি রয়েছে। এটা শুধু রাতারাতি শেষ হবে না। কারাবাখের আর্মেনিয়ানদের জন্য কোনো নিরাপত্তা বা অধিকার সুরক্ষিত থাকবে বলে বিশ্বাস করার কোনো যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি নেই। তারা এখন খুব বিপদে আছে।’

নাগোর্নো-কারাবাখে মানবাধিকার ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য অবিলম্বে জাতিসংঘের একটি দল মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছে আর্মেনিয়া।

;