মধ্যবিত্তদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা মোদির
২০২৪ সালের ভোটের অঙ্ক মেলাতে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) ভারতের স্বাধীনতা দিবসের শুভক্ষণের সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ক্ষমতা ধরে রাখতে এবার বিজেপির টার্গেট মধ্যবিত্তদের আস্থা অর্জন।
তাই মঙ্গলবার মধ্যবিত্তদের জন্য একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছেন মোদি। এরই মধ্যে একটি হলো শহুরে মধ্যবিত্তদের জন্য। যাদের নিজেদের বাড়ি নেই, ভাড়া থাকেন, তাদের জন্য বড় ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এনডিটিভি জানিয়েছে, শহুরে অঞ্চলে যে মধ্যবিত্ত পরিবার নিজেদের বাড়ি করতে চাইবে, তাদের জন্য সরকার একটি প্রকল্প আনছে। বিশেষ করে বসতি এবং বেআইনি বসতিতে যারা বাস করেন, তাদের ওই স্কিমের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন মোদি।
মোদি বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে দেশের ১৩ কোটি মানুষ দারিদ্র মুক্ত হয়েছে। কারণ, তারা আবাস যোজনার সুবিধা পেয়েছেন। শহুরে অঞ্চলে যে মধ্যবিত্ত পরিবার নিজেদের বাড়ি করতে চাইবে, তাদের জন্য সরকার একটি প্রকল্প আনছে।’
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে আবাস যোজনা চালু করেছিল ভারতের কেন্দ্র সরকার। ওই প্রকল্পের অধীনে জুলাই পর্যন্ত মোট ১ দশমিক ১৮ কোটি বাসস্থান তৈরির আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৬ দশমিক ২ লাখ বাড়ি করেও দেওয়া হয়েছে।
মোদি জানান, এরপর থেকে যারা ওই প্রকল্পের অধীনে বাড়ি বানাতে চাইবেন, তাদের ঋণের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে।
স্বাধীনতা দিবসে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন মোদি। এদিন যুব সমাজকেও দেশের স্বার্থে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
মোদি বলেন, ‘আমি দেশের যুব সমাজকে বলতে চাই, এই দেশ আপনাদের আকাশ সমান সুযোগ দেবে। সুযোগের কোনও অভাব ভারতে হবে না। করোনার পর বিশ্বে নতুন গ্লোবাল অর্ডার তৈরি হয়েছে। ভারত গ্লোবাল সাউথের মুখ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বল এখন আমাদের কোর্টে। এই সুযোগ আমাদের হাতছাড়া করলে চলবে না।’
এদিকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া নিয়ে মোদি বলেন, ‘বিশ্বের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে ভারত তৃতীয় স্থানে। বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তি নির্ভর। ভারত সেই ক্ষেত্রে অগ্রগতি করবে। কয়েকদিন আগে আমি জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে বালি গিয়েছিলাম। সেখানে সবাই আমাকে জিজ্ঞেস করেছে, কীভাবে ডিজিটাল ইন্ডিয়া সফল হল। আমি তাদের বলেছি, দেশের ছোট ছোট শহরের যুব সমাজও এগিয়ে এসেছেন। তাই আশা আর আকাঙ্খা এবং প্রচেষ্টার কারণে তারা এগিয়ে গেছে।’
স্বাধীনতা দিবসে নিজের ভাষণের শুরুতেই মণিপুর নিয়ে মুখ খোলেন মোদি। তিনি বলেন, ‘মণিপুরে দীর্ঘদিন ধরে সহিংসতা চলেছে। সেখানে মা-বোনদের সম্মানহানীর ঘটনা ঘটেছে। তবে কয়েকদিন হলো সেখানে শান্তি ফিরেছে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার শান্তি বজায় রাখার জন্য এবং সেখানকার সমস্যা মেটাতে একসঙ্গে কাজ করবে। দেশবাসী মণিপুরের পাশে রয়েছে। শান্তির মাধ্যমেই সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।’