মাদক সরবরাহ বন্ধে চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাণঘাতী মাদক ফেন্টানিল সরবরাহ বন্ধে চীনের ৮ প্রতিষ্ঠান ও ২৮ ব্যক্তির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) কতিপয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে দেশটি। মাদক ফেন্টানিলের পাচার বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের নেওয়া পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা জানি, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কাছে ফেন্টানিলের মতো বিষাক্ত মাদক কারা ছড়িয়ে দিচ্ছে। এই মাদকের আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খলের শুরুটা চীনের রাসায়নিক কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে হয়ে থাকে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে আমরা তাদের সতর্ক করে দিতে চাই।’

ফেন্টানিল যুক্তরাষ্ট্রের অনেক জনগণের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, তারা ২৮ ব্যক্তি ও ৮ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর মধ্যে চীনভিত্তিক বড় একটি নেটওয়ার্কও আছে। বিশ্বজুড়ে অবৈধ মাদক ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

তবে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানিয়েছে মেরিক গারল্যান্ড। এ তদন্তপ্রক্রিয়ায় চীনা কর্তৃপক্ষ মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছে না বলেও জানান তিনি।

ওয়াশিংটনে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূতের মুখপাত্র লিউ পেনগিয়ু বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-ঘোষিত পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কঠোর নিন্দা জানিয়েছে চীন। দেশটির দাবি, চীন সরকার মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।

এদিকে গারল্যান্ডের মেক্সিকো সফরের আগে আগেই চীনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ ঘোষণা করা হলো। গ্যারল্যান্ডের মেক্সিকো সফরের সময় নির্ধারিত আলোচনায় ফেন্টানিল পাচারের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

   

জিম্বাবুয়ে ও উগান্ডার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনে কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, বিরোধীদের নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা দেয়া ও বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপের অভিযোগে এবার আফ্রিকার দুই দেশ  জিম্বাবুয়ে ও উগান্ডার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আফ্রিকার দুই দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন। দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘জিম্বাবুয়ের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা অভিযুক্তদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও জাতীয়তা আইন অনুসারে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে।’ 

ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘যারা নির্বাচনে কারচুপি, ভোটারদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা বা ব্যক্তিকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা দেয়া, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বাইরে রাখা; গণতন্ত্র, শাসন বা মানবাধিকার সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত নাগরিক সমাজের সংস্থাগুলোর ক্ষমতা সীমিত করা, ভোটার, নির্বাচন পর্যবেক্ষক বা নাগরিক সমাজকে হুমকি বা শারীরিক সহিংসতার মাধ্যমে ভয় দেখানোর মতো কাজ করবে সেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।

ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, ‘কেবল যেসব ব্যক্তি এসব কাজে যুক্ত থাকবেন তারাই নয়, তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। এ ধরনের ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও এই বিধিনিষেধের আওতাভুক্ত হতে পারেন।’

উগান্ডা প্রসঙ্গে পৃথক এক বিবৃতিতে বলা হয়, দেশটির গণতন্ত্রকে দমন ও ক্ষুণ্ন করায় ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় উগান্ডার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে একটি ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। 

 




;

উগান্ডা-জিম্বাবুয়ের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়ে ও উগান্ডার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ ঘোষণা দেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনে কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, বিরোধীদের নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা দেওয়া এবং বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপের অভিযোগে জিম্বাবুয়ে ও উগান্ডার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, জিম্বাবুয়েতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করায় দেশটির ওপর নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি ঘোষণা করছি। এই নীতির আওতায় যারা জিম্বাবুয়ের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা অভিযুক্ত, তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারা ২১২ (এ) (৩) (সি) অনুসারে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে।

কোনো ধরনের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে, সে বিষয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে—নির্বাচনে কারচুপি, ভোটারদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা বা ব্যক্তিকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা দেওয়া, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বাইরে রাখা; গণতন্ত্র, শাসন বা মানবাধিকারসংক্রান্ত কর্মকাণ্ড পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত নাগরিক সমাজের সংস্থাগুলোর ক্ষমতা সীমিত করা। ভোটার, নির্বাচন পর্যবেক্ষক বা নাগরিক সমাজকে হুমকি বা শারীরিক সহিংসতার মাধ্যমে ভয় দেখানো।

এর বাইরে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা ব্যক্তিরাও ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন বলে ঘোষণা করেন ব্লিঙ্কেন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী মামলার বিচারের সময় বিচার বিভাগের স্বাধীন কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করা বা জিম্বাবুয়েতে মানবাধিকারের অপব্যবহার বা লঙ্ঘনে জড়িত ব্যক্তিরাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কেবল যেসব ব্যক্তি এসব কাজে যুক্ত থাকবেন, তারাই নয়, তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

ব্লিঙ্কেন বলেন, এ ধরনের ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও এই বিধিনিষেধের আওতাভুক্ত হতে পারেন। সোজা কথায়, যে বা যারা জিম্বাবুয়ের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করেন—২০২৩ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের সময় এবং তার পরে বা আগে—এই নীতির অধীনে মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

উগান্ডা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল ও ক্ষুণ্ন করায় ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ব্লিঙ্কেন বলেন, ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় উগান্ডার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে একটি ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। ওই সময় দেশটির সরকারকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া উন্নত করতে এবং ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনী প্রক্রিয়া, সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের জন্য দায়ীদের জবাবদিহি করতে অনুরোধ করা হয়।

কিন্তু পরিস্থিতির কোনো উন্নতি না হওয়ায় আমি উগান্ডার বর্তমান বা সাবেক কর্মকর্তাদের বা অন্যদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ভিসা-নীতির সম্প্রসারণ ঘোষণা করছি। যারা উগান্ডার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার জন্য বা প্রান্তিক সদস্যদের দমন করার লক্ষ্যে নীতি বা কর্মের জন্য দায়ী বা জড়িত তারাই এর লক্ষ্য।

এছাড়া পরিবেশকর্মী, মানবাধিকার রক্ষাকারী, সাংবাদিক, এলজিবিটিকিউআই+ ব্যক্তি ও সুশীল সমাজ সংগঠকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিরা এই নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন। জিম্বাবুয়ের মতোই বলা হয়, গণতান্ত্রিক পরিবেশ ক্ষুণ্ণকারী ওই সব ঘটনায় যুক্ত ব্যক্তিদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরাও বিধিনিষেধের অধীন হতে পারেন।

;

উপকূল অতিক্রম করছে মিগজাউম



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৪.৮০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮০.২০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। 

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের অন্ধপ্রদেশের নিলর ও মাসুলিপট্টমের কাছ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার আটটি জেলার জন্য সতর্কতা জারি করেছে। জেলাগুলো হচ্ছে- তিরুপতি, নেলোর, প্রকাশম, বাপটলা, কৃষ্ণা, পশ্চিম গোদাবরী, কোনাসিমা এবং কাকিনাদা। পুদুচেরির উপকূলীয় অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেখানে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলাচল সীমিত করা হয়েছে।

অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডি বলেন, ঝড়টিকে জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি এড়াতে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।

রেড্ডি জানান, নিচু এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের থাকার জন্য ৩০০টিরও বেশি ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদের কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় সমস্ত সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত দলগুলো আরও সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র সতর্ক করেছেন, অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলীয় শহরগুলোতে অত্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।

ভারতের আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর ও মছলিপত্তনামের মাঝামাঝি বাপাটলা উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে স্থলভাগে। সেই সময় এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার, সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি কোনো প্রভাব না পড়লেও পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে বৃষ্টি হতে পারে। কিছুটা উত্তাল থাকবে সমুদ্র উপকূল।

উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে ভারতের চেন্নাইয়ে সোমবার সকাল থেকে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে। ভারি বৃষ্টিতে নগরীর বেশিরভাগ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বিমানবন্দরের রানওয়ে প্লাবিত হওয়ায় বিমান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

 

;

পানির নিচে চেন্নাই, অন্ধ্রপ্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড়ের মিগজাউমের প্রভাবে দুইদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে পানির নিচে তলিয়ে গেছে ভারতের চেন্নাই শহর। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে প্রশাসন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিগগিরই উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। এর ফলে এক থেকে দেড় মিটার উঁচু জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হতে পারে। এতে প্লাবিত হবে দক্ষিণ উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশের নিচু অঞ্চলগুলো। বাপটলা এবং কৃষ্ণা জেলাগুলোর ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ঝড়ের প্রকোপ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি ব্যাপক শক্তি নিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে, যার সর্বোচ্চ স্থিতিশীল বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৯০-১০০ কিলোমিটার থেকে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।

অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার আটটি জেলার জন্য সতর্কতা জারি করেছে। জেলাগুলো হচ্ছে- তিরুপতি, নেলোর, প্রকাশম, বাপটলা, কৃষ্ণা, পশ্চিম গোদাবরী, কোনাসিমা এবং কাকিনাদা। পুদুচেরির উপকূলীয় অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেখানে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলাচল সীমিত করা হয়েছে।

;