কাতারের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনের শিশুদের প্রত্যাবাসন শুরু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ইউক্রেনের শিশুরা। ছবি : সংগৃহীত

ইউক্রেনের শিশুরা। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাতারের মধ্যস্থতায় ইুক্রেনের শিশুদের তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়ার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিতে সফল হয়েছে বলে দাবি করেছে দোহা।

দেশটি বলেছে, প্রথম ধাপে চার ইউক্রেনীয় শিশুর প্রত্যাবাসন সম্পন্ন করা হচ্ছে এবং বাকি শিশুদের জন্য প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে এটি প্রথম ধাপ হিসাবে আশা করা হচ্ছে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুই থেকে ১৭ বছর বয়সি ওই চার শিশুকে মস্কোর কাতার দূতাবাস গ্রহণ করেছে। এবার তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

কাতারের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘ইউক্রেনের শিশুদের প্রত্যাবাসন একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়ার অংশ, যা কাতার কয়েক মাস ধরে উভয় পক্ষের সঙ্গে গোপনে আলোচনা করেছে।’

প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মন্তব্য করে কাতারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী লোলওয়াহ আল-খাতার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজ আমরা একতার শক্তি উদযাপন করছি। কারণ, আমরা শিশু এবং তাদের পরিবারের পুনর্মিলন প্রত্যক্ষ করছি। আমি রাশিয়া এবং ইউক্রেনের প্রতি আমার গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কাতার রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি তাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টা ওই হৃদয়গ্রাহী সাফল্যকে সহজতর করতে সহায়ক হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মানবিক কারণে আমাদের প্রতিশ্রুতিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং আশা করি যে, আমাদের সহযোগিতা আশা এবং সহানুভূতির একটি অনুপ্রেরণামূলক প্রতীক হয়ে থাকবে।’

প্রসঙ্গত, ইউক্রেন বলছে, রাশিয়া তাদের দখলে থাকা দেশ বা ভূখণ্ডে ২০,০০০ শিশুকে রাশিয়ায় সরিয়ে নিয়ে গেছে। ২০২২ সালের মে মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি ডিক্রি স্বাক্ষর করেছিলেন, যা রাশিয়ানদের জন্য পিতামাতার যত্ন থেকে বঞ্চিত ইউক্রেনের শিশুদের দত্তক নেওয়া সহজ করে তোলে।

ইউক্রেনের শিশুদের রাশিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গত মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং শিশু অধিকার কমিশনার মারিয়া আলেকসেয়েভনা লভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

আইইসসি তখন বলেছিল, পুতিন এবং মারিয়া যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী। কিন্তু, উভয় ব্যক্তিই আইসিসির ওয়ারেন্ট এবং অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন।

   

ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে রাশিয়ার আরেক জেনারেল আটক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বড় অংকের ঘুষ নেওয়ার সন্দেহে সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফের উপ-প্রধান লেফটেন্যান্ট-জেনারেল ভাদিম শামারিনকে আটক করেছে রাশিয়া।

আল জাজিরা জানিয়েছে, এ নিয়ে এক মাসে চতুর্থ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করলো মস্কো প্রশাসন।

একটি সামরিক আদালত বুধবার (২২ মে) আদেশ দেন যে, জেনারেল শামারিন, যিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান যোগাযোগ অধিদপ্তরের প্রধানের পদে রয়েছেন, ঘুষ গ্রহনের অভিযোগে তাকে দুই মাসের জন্য কারাগারে পাঠানো হবে।

সামরিক চুক্তি সংক্রান্ত দুর্নীতি বন্ধ করার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে অন্যান্য শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের পর শামারিনকে আটক করা হলো।

এই মাসের শুরুতে ইউক্রেন আক্রমণের সাবেক শীর্ষ কমান্ডার মেজর-জেনারেল ইভান পপভ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মী অধিদপ্তরের প্রধান লেফটেন্যান্ট-জেনারেল ইউরি কুজনেটসভকে ঘুষের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

গত এপ্রিলে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী তৈমুর ইভানভকেও ঘুষের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

এরপর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শোইগুকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করেন। তার স্থলাভিষিক্ত হন অর্থনীতিবিদ আন্দ্রেই বেলোসভ।

ইউক্রেনের যুদ্ধের শুরুতে কিয়েভ দখল করতে রাশিয়ার ব্যর্থতার জন্য শোইগুকে ব্যাপকভাবে দায়ী করা হয়েছিল এবং ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান প্রয়াত ইয়েভজেনি প্রিগোজিন তাকে অযোগ্যতা এবং দুর্নীতির জন্য অভিযুক্ত করেছিলেন।

শামারিন জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভের একজন ডেপুটি এবং জেনারেল স্টাফের প্রধান।

তবে, গেরাসিমভের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি, যদিও তিনি মাঝে মাঝেই ইউক্রেনের যুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর কর্মক্ষমতা নিয়ে কঠোর সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই একটি চলমান প্রচেষ্টা। এটা কোনো প্রচারণা নয়। এটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কার্যক্রমের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।’

;

প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পকেই দেখতে চান নিকি হ্যালি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ সময় ধরে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং সাউথ ক্যারোলাইনার সাবেক গভর্নর নিকি হ্যালি। অবশেষে, এই দুজনের লড়াই শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

নিকি হ্যালি বলেছেন, এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকেই ভোট দেবেন তিনি।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের সঙ্গেই দলীয় প্রার্থী হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছিলেন হ্যালি। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সরে যেতে হয়েছে।

রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন ট্রাম্পের আমলে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত নিকি হ্যালি। এ জন্য সাবেক নিয়োগদাতা ট্রাম্পের সঙ্গে লড়াইয়ে নামতে হয়েছিল তাকে।

দলীয় মনোনয়নের দৌড়ে (প্রাইমারি) ট্রাম্পের সামনে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে টিকেও ছিলেন। অবশেষে গত মার্চে সরে দাঁড়ান তিনি।

এরপর বুধবার প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে নিকি হ্যালি বলেন, ‘ট্রাম্প নিখুঁত প্রার্থী নন। তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন বিপর্যয়কর।’

নিজ দলের মধ্যে যারা ট্রাম্পকে সমর্থন করেন না, তারা নিকি হ্যালিকে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য সমর্থন জুগিয়েছিলেন। তবে চলতি বছরের শুরুর দিকে রিপাবলিকান প্রাইমারিগুলোয় ভালো ফল করতে ব্যর্থ হন তিনি।

ওয়াশিংটনে চিন্তক প্রতিষ্ঠান হাডসন ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে রক্ষণশীলদের সামনে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প-বাইডেন দুজনেরই সমালোচনা করেন নিকি হ্যালি।

তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানে একটি পরাজয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন বাইডেন। ইউক্রেনে যুদ্ধ ঠেকাতে তিনি কিছুই করেননি। এমনকি সম্প্রতি ইসরায়েলকে নেকড়ের মুখে ছুড়ে দিয়েছেন।’

নিকি হ্যালি বলেন, ‘একজন ভোটার হিসেবে আমি তাকেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে চাই, যিনি আমাদের মিত্রদের সঙ্গে থাকবেন, সীমান্তকে সুরক্ষিত করবেন, পুঁজিবাদ ও স্বাধীনতাকে সমর্থন করবেন। যিনি বুঝতে পারবেন, আমাদের বেশি বেশি নয় বরং কম ঋণ দরকার, এমন একজনকেই প্রেসিডেন্ট দেখতে চাই।’

;

মাশহাদে সমাহিত করা হবে ইব্রাহিম রাইসিকে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) পবিত্র শহর মাশহাদে সমাহিত করা হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান এবং অন্য ছয়জনের সঙ্গে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন রাইসি।

দাফন উপলক্ষ্যে রাইসির কফিনটি বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর-পূর্ব ইরানের মাশহাদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এদিকে, ইরানের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বিরজান্দে রাইসির শোক মিছিলে হাজার হাজার লোক অংশ নিয়েছে।

রাইসির কফিন বহনকারী বিমানটি তার নিজ শহর মাশহাদে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। সেখানে রাইসিকে সোনার গম্বুজ বিশিষ্ট ইমাম রেজা মাজারে সমাহিত করা হবে, যা ইরানের পবিত্রতম ইসলামিক স্থান। এটি নবম শতাব্দীর ইমাম আলী আল-রেজার বিশ্রামস্থল।

৬৩ বছর বয়সি রাইসিকে ব্যাপকভাবে ৮৫ বছর বয়সি সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনেইয়ের স্থলাভিষিক্ত প্রার্থী হিসেবে দেখা হয়েছিল, যিনি ইরানে চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী।

অন্যদিকে, তেহরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আমিরাবদুল্লাহিয়ানকে স্মরণে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যেখানে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাঘেরি কানি তাকে একজন শহীদ হিসাবে বর্ণনা করে বলেছেন, ‘আমিরাবদুল্লাহিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিপ্লবী প্রকৃতির নিশ্চয়তা দিয়েছেন।’

আমিরাবদুল্লাহিয়ানকে তেহরানের দক্ষিণে শাহ আবদোলাজিম মাজারে সমাহিত করা হবে, যেখানে ইরানের উল্লেখযোগ্য রাজনীতিবিদ এবং শিল্পীদের সমাধিস্থ করা হয়ে থাকে।

;

ফিলিস্তিনের একতরফা স্বীকৃতির বিরুদ্ধে বাইডেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের একতরফা স্বীকৃতির বিরোধিতা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার (২২ মে) এ তথ্য রয়টার্সকে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের নারী মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন বলেছেন, ‘বাইডেন তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারজুড়ে দ্বি-তত্ত্ব রাষ্ট্রের শক্তিশালী সমর্থক।
তবে বাইডেন মনে করেন, দলগুলোর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব, একতরফা স্বীকৃতির মাধ্যমে নয়।’

তবে, অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন তার মন্তব্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে তিনটি ইউরোপীয় দেশের আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা সরাসরি উল্লেখ করেননি।

কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে স্পেন, আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়ের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে বাইডেন এই বিরোধীতা করেছেন।

উল্লেখ্য, ইউরোপের এই তিনটি দেশই যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে বিবেচিত।

এদিকে বাইডেন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নিয়ে এগিয়ে যেতে ইসরায়েলকে চাপ দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

যদিও ওয়াশিংটন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সাম্প্রতিক একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়ে বলেছে, ‘ইসরায়েলের নিরাপত্তা স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে আলোচনার মাধ্যমেই কেবল স্বীকৃতির বিষয়টি আসতে পারে।’

;