উত্তর কোরিয়ার গভীর সম্পর্ককে স্বাগত জানিয়েছেন ল্যাভরভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছানোর পর সের্গেই ল্যাভরভ । ছবি : সংগৃহীত

উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছানোর পর সের্গেই ল্যাভরভ । ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের প্রতি মস্কো তার পূর্ণ সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।

এক সরকারি সফরে উত্তর কোরিয়ায় থাকা লাভরভও ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোকে সমর্থনের জন্য দেশটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

তার সফর দেশটিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সম্ভাব্য সফরের মঞ্চ তৈরি করবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য রাশিয়ার কাছে অস্ত্রের বড় চালান পাঠাতে শুরু করেছে উত্তর কোরিয়া।

ল্যাভরভের দুই দিনের সফর গত সেপ্টেম্বরে কিমের দিনব্যাপী রাশিয়া সফরের অনুসরণে বলে জানা গেছে। সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে পুতিনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন কিম।

এর আগে গত জুলাই মাসে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীও উত্তর কোরিয়া সফর করেছিলেন এবং তাকে হাওয়াসং আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ দেশের সর্বাধুনিক অস্ত্র দেখানো হয়েছিল।

এক আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনায় বুধবার (১৯ অক্টোবর) কিমের জন্য মস্কোর সম্পূর্ণ সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেন লাভরভ। তিনি এ সময় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের রাশিয়ান ফেডারেশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার অভিযোগ তুলে ধরেন।

তবে, ২০১৮ সালে পিয়ংইয়ংয়ে তার শেষ সফরের মতো ল্যাভরভ তার বর্তমান সফরে কিমের সঙ্গে দেখা করবেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়।

এদিকে, ওয়াশিংটন এর আগে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য পিয়ংইয়ং থেকে অস্ত্র কিনছে মস্কো এবং উত্তর কোরিয়া থেকে যেকোনও সাহায্য গ্রহণ জাতিসংঘের প্রস্তানের লঙ্ঘন হবে।

গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র গোয়েন্দা তথ্য এবং প্রমাণ প্রকাশ করে বলেছে, রাশিয়ায় গোলাবারুদ এবং কামান স্থানান্তর ইতিমধ্যেই শুরু করেছে পিয়ংইয়ং।

স্যাটেলাইট চিত্রগুলো দেখাচ্ছে যে, গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে উত্তর কোরিয়ার নানজিন বন্দর থেকে রাশিয়ার পূর্ব উপকূলে ৩০০টি কন্টেইনার পাঠানো হয়েছিল এবং তারপরে ইউক্রেনীয় সীমান্তের কাছে টিখোরেটস্কের কাছে একটি সামরিক গুদামে ওই কন্টেইনার পাঠানো হয়েছিল।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বিবিসিকে বলেছেন, রাশিয়ান অস্ত্র ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ার কারণে মস্কো উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রের প্রতি আগ্রহী হবে।

কিছু বিশ্লেষক বিশ্বাস করেন যে, গত সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার সঙ্গে কথিত অস্ত্র চুক্তির সময় কিম মানবিক সহায়তা চেয়েছিলেন। তবুও, কেউ কেউ মনে করেন যে, পিয়ংইয়ং তাদের সম্পদের আপেক্ষিক অভাবের কারণে খুব বেশি গোলাবারুদ হস্তান্তর করতে অনিচ্ছুক হতে পারে।

গত ছয় মাসে উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়া-উভয়ই একে অপরের সাথে সম্পর্ক গভীর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কারণ, উভয় দেশই বিশ্ব মঞ্চে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

   

হামাসকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম ইসরায়েলের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও  জিম্মি চুক্তিতে রাজি হতে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে ৭ দিনের সময় দিয়েছে ইসরায়েল। এই সময়ের মধ্যে চুক্তি না করলে গাজার রাফাহতে ফের হামলা শুরু করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে তারা।

শুক্রবার (৩ মে) যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এই আল্টিমেটাম কবে দেওয়া হয়েছে সেটি স্পষ্ট করে জানায়নি সংবাদমাধ্যমটি। তবে প্রতিবেদনটিতে এক মিশরীয় কর্মকর্তার শুক্রবারের বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে। যার অর্থ- চুক্তিতে সম্মত হতে হামাসকে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছে ইসরায়েল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কয়েক মাস ধরেই রাফাহতে হামলার হুমকি দিয়ে আসছেন। যুদ্ধ বন্ধ এবং জিম্মি মুক্তির দাবিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাকে অনবরত চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে  বিদেশে অবস্থানরত হামাসের নেতাদের হাতে চুক্তির প্রস্তাব তুলে দেওয়া হয়েছে; যেটি তৈরি করেছে মিশর।

তবে গাজায় অবস্থানরত হামাসের প্রভাবশালী নেতা ইয়াহিয়া সিনাওয়ার এখনো প্রস্তাবটি সম্পর্কে কোনো কিছু জানাননি। তার কাছে নতুন প্রস্তাবটি পৌঁছেছে কি না সে বিষয়টিও স্পষ্ট নয়। কারণ সিনাওয়ারসহ অন্যান্য বড় নেতারা গাজার বিভিন্ন সুড়ঙ্গে অবস্থান করছেন।

;

গাজা ইস্যুতে জর্ডানের বাদশাহ’র সাথে বৈঠক করবেন বাইডেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সাথে বৈঠক করতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যাঁ পিয়েরে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, বৈঠকটি হবে একান্ত ‘ব্যক্তিগত’।
তবে বৈঠকের দিনক্ষণ সম্পর্কে তিনি কিছু বলেন নি।

জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ হোয়াইট হাউস সফর করেন। এ সময় তিনি অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান এবং রাফায় হামলার কারণে মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে হুঁশিয়ার করেছিলেন।

এছাড়া এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য মিত্রদের সাথে জর্ডান ইসরায়েলে ছোঁড়া ইরানের ড্রোন ভূপাতিত করেছিল। জর্ডানের লক্ষ্য ছিল মধ্যপ্রাচ্যের সহিংসতা আর বাড়তে না দেয়া।

এদিকে গাজায় প্রায় সাত মাস ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধ ও জিম্মি মুক্তি নিশ্চিত করতে একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্র হামাসের প্রতি তাদের ভাষায় ‘অসাধারণ উদার’ এই প্রস্তাব মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

তবে শুক্রবার হামাস অভিযোগ করেছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাফায় হামলার হুমকি দিয়ে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাবকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করছে।

;

ফিলিপাইনে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিপাইনে শুক্রবার (৩ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬ টা ১৬ মিনিটে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে দেশটির ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা সংস্থা ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি (পিআইভিএস)।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মধ্যাঞ্চলীয় লেইতে প্রদেশের উপকূলীয় শহর দুলাংয়ের সাগরতীর থেকে ৩২ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে সমুদ্রের তলদেশের ৮ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূকম্পটির উৎপত্তিস্থল।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ভূগর্ভস্থ টেকটোনিক প্লেটের অবস্থান পরিবর্তন এই ভূমিকম্পের প্রধান কারণ। একই কারণে নিকট ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে ফের ভূমিকম্প দেখা দিতে পারে বলে সতর্কবার্তাও দিয়েছে পিভিআইএস।

ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, প্রশান্ত মহাসাগরের ‘আগ্নেয় মেখলা’ (রিং অব ফায়ার) অঞ্চলের টেকটোনিক প্লেটের ওপর অবস্থান হওয়ার কারণে ফিলিপাইনে ছোট-বড় মাত্রার ভূমিকম্প প্রায় নিয়মিত একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

;

ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে কঠিন শর্ত সৌদির



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই লক্ষ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের আলোচনা চলছে।

ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সৌদি আরব যদি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে তাহলে সৌদিকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সৌদি আরব শর্ত দিয়েছে যদি ইসরায়েল তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় তাহলে-পশ্চিমতীর এবং গাজাকে নিয়ে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন করতে হবে, গাজা থেকে সব ইসরায়েলি সেনাকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে এবং ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ডে অবৈধ বসতি স্থাপন বন্ধ করে দিতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় লেখা একটি কলামে কলামিস্ট থমাস ফ্রাইডম্যান লিখেছেন, ‘ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্থাপন হবে যদি শুধুমাত্র সৌদির শর্ত মেনে নেওয়া হয়। তাদের শর্ত হলো- গাজা থেকে সরে যেতে হবে, বসতি স্থাপন বন্ধ করতে হবে এবং তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করতে হবে।’

তবে এই কলামিস্ট জানিয়েছেন, ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অধীনে এই চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কিন্তু যখনই সৌদির শর্ত মেনে নেওয়ার মতো কোনো সরকার ইসরায়েলে আসবে তখনই চুক্তিটি হবে।

চুক্তির অংশ হিসেবে সৌদি আরবকে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া পারমাণবিক অবকাঠামোর ক্ষেত্রেও তারা তাদের সহায়তা করবে।

উল্লেখ্য, সৌদি আরব এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে স্বীকৃতি এবং মার্কিন মধ্যস্থতায় ২০২০ সালের আব্রাহাম এ্যাকর্ডেও যোগ দেয়নি। যদিও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কো ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। 

;