কলেরা মোকাবিলায় জিম্বাবুয়ের রাজধানীতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কলেরা প্রাদুর্ভাবের কারণে জিম্বাবুয়ে রাজধানী হারারেতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটিতে কলেরায় এ পর্যন্ত অর্ধশত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ৭ হাজারের বেশি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

কর্মকর্তারা বলছে, এ প্রাদুর্ভাব শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে যা ২০০৮ সালের মারাত্মক মহামারির কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। সে সময় এ রোগে হাজার হাজার মানুষ মারা যায়।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, রাজধানী হারারোর মেয়র ইয়ান মাকোন কলেরার কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞাপন

কর্তৃপক্ষের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, কলেরা ছড়িয়ে পড়লেও যে পরিমাণ নিরাপদ পানি ও সাহায্য সরবরাহ করা হচ্ছে তা অপর্যাপ্ত।

ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ দ্য রেড ক্রস (IFRC) অনুসারে, প্রাদুর্ভাবের পরে অতিরিক্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তির জন্য স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ লড়াই করছে।
চিকিৎসায় স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

সম্প্রতি বিশুদ্ধ পানির অভাবে জিম্বাবুয়েতে মারাত্মক কলেরা প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। সর্বশেষ কলেরা প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল রাজধানী হারারের ঘনবসতিপূর্ণ শহরতলি কুয়াদজানা। কলেরা একটি তীব্র ডায়রিয়ার সংক্রমণ Vibrio cholerae ব্যাকটেরিয়া দ্বারা দূষিত খাবার বা জল খাওয়ার কারণে হয়।

বৃহস্পতিবার হারারের মেয়র বলেন, কলেরা প্রাদুর্ভাবের সাথে ২০০৮ সালের প্রাদুর্ভাবের সাথে মিল রয়েছে।

সে সময় প্রাদুর্ভাবে ৪ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কমপক্ষে ১ লাভ মানুষ সংক্রামিত হয়েছিল।

গত মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানায়, দেশে ৭হাজার ৩৮৯ সন্দেহভাজন রোগীর রেকর্ড করা হয়েছে। এতে ৫০ জন মারা গেছেন এবং ১০৯ জন হাসপাতালে রয়েছে।

আইএফআরসি জানায়, রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এরই মধ্যে ৬২ জেলার মধ্যে ৪৫টি এবং দেশের ১০টি প্রদেশে একাধিক ভৌগোলিক অঞ্চলকে প্রভাবিত করছে।

মালাউই, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং মোজাম্বিকসহ প্রতিবেশী দেশগুলোও অতীতে ঘন ঘন কলেরার প্রাদুর্ভাবের দেখা দিয়েছে।