এখনও মুক্তি মেলেনি ১০ দশ মাস বয়সি শিশু জিম্মির

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কেফির বিবাসের মুক্তির দাবি সম্বলিত পোস্টার। ছবি : সংগৃহীত

কেফির বিবাসের মুক্তির দাবি সম্বলিত পোস্টার। ছবি : সংগৃহীত

দশ মাস বয়সি কেফির বিবাস তার জীবনের ৫০ দিনেরও বেশি গাজায় বন্দীদশায় কাটিয়েছে। ইসরায়েলের মতে, তাকে মুক্ত করার প্রচেষ্টাকে জটিল করতেই অন্য একটি ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠীর কাছে তাকে হস্তান্তর করেছে হামাস ।

তার পরিবারের সদস্যরা মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) কেফির বিবাস, তার বাবা-মা এবং ভাইয়ের মুক্তির দাবিতে ইসরায়েলি সরকার, মিশর এবং কাতারসহ ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারীদের কাছে আবেদন করেছে।

বিজ্ঞাপন

হামাসের যোদ্ধারা গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলি শহরগুলোতে বিস্ফোরণের পরে শিশু কেফির, চার বছর বয়সি এরিয়েল এবং তাদের পিতামাতা ইয়ার্ডেন এবং শিরিকে আটক নিয়ে যায়।

ইসরায়েল জানিয়েছে, যে ২৪০ জনকে জিম্মি করা হয়েছে তাদের মধ্যে কেফিরই সর্বকনিষ্ঠ।

বিজ্ঞাপন

ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, আতঙ্কিত শিরি বাচ্চাদের কম্বলে আঁকড়ে ধরে আছেন কারণ তারা জিম্মি হয়ে পড়েছে।

ইয়ার্ডেনের বোন অফরি বিবাস সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার ১০ জিম্মির প্রত্যাশিত মুক্তি প্রাপ্তদের মধ্যে কেফিরের পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। প্রত্যাবাসিত জিম্মিদের স্বজনদের সেটা আগেই জানিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

হামাস গত শুক্রবার থেকে ১৯ জন বিদেশী জিম্মিসহ ৫০ জন ইসরায়েলি নারী ও শিশু জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে।

অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতির অংশ হিসাবে ইসরায়েল ১৫০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে এবং গাজায় সাহায্যের চালান বাড়িয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধান সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘কেফির, এরিয়েল এবং তাদের বাবা-মাকে হামাস ছাড়া অন্য একটি ফিলিস্তিনি দলের কাছে জিম্মি হিসাবে হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘তাদের ওই হস্তান্তরের একচেটিয়া দায় হামাসের।’

আরেক সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আভিচায় আদ্রাই বলেছেন, ‘পরিবারটি দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিস এলাকায় ছিল।’

বিবাসের পরিবার মিডিয়াকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আপাতত আমরা যে আলিঙ্গনের জন্য এত আশা করেছিলাম, তা আর হচ্ছে না। এই উপলব্ধি আমাদের বাকরুদ্ধ করে দেওয়৷’