ইহুদি বিদ্বেষ বিতর্কে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ
ইহুদি বিদ্বেষ আর চুরি বিতর্কের জেরে অবশেষে পদত্যাগ করলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যায়ের প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিন গে।
রয়টার্স জানিয়েছে গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে ইহুদি বিদ্বেষ বাড়া নিয়ে মন্তব্যের পর থেকে তার বিরুদ্ধে গবেষণাপত্রে চুরি করার অভিযোগ ওঠে। নানা বিতর্কের এক পর্যায়ে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) তিনি পদত্যাগ করেন।
গত মাসে ক্যাম্পাসে ইহুদি বিদ্বেষ বাড়ার বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের শিক্ষা-সংক্রান্ত কমিটিতে শুনানি হয়। শুনানিতে করা মন্তব্যের জেরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন ক্লাউডিন গে।
একই কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার প্রেসিডেন্ট এলিজাবেথ ম্যাগিল ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির প্রেসিডেন্টও সমালোচনার মুখোমুখি হন।
শুনানিতে তাদের প্রত্যেকের কাছে জানতে চাওয়া হয় শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসে যে ইহুদিদের গণহত্যার ডাক দিয়েছেন, তাতে তারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন কি-না।
এ প্রশ্নে তারা কেউই সুনির্দিষ্ট উত্তর দেননি। এর তীব্র প্রতিক্রিয়ায় ৭৪ আইন প্রণেতা ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির প্রেসিডেন্টদের অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানিয়ে চিঠি লিখেন।
এ প্রেক্ষিতে ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার প্রেসিডেন্ট এলিজাবেথ ম্যাগিলও পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে ক্লাউডিন গে’র বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তিনি তার একাডেমিক গবেষণাপত্রে ঠিকঠাক সোর্সের নাম লেখেননি। এ কারণে গবেষণায় তার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তোলা হয়। কেমব্রিজের প্রভাবশালী হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম কৃষাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন ক্লাউডিন গে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। প্রতিশোধ হিসেবে ওই দিন থেকেই গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে দেশটি। এ ঘটনার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ক্যাম্পাসে ইহুদি বিদ্বেষ ও ঘৃণামূলক অপরাধ বেড়ে গেছে।