জান্তার সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’
মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অন্যতম ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’। দীর্ঘ দিন ধরে চলা আলোচনার পর চীনের মধ্যস্থতায় এই সমঝোতা হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে জান্তা ও বিদ্রোহীদের সাথে চলমান সংঘাতের পর থেকে বিভিন্ন এলাকা দখল করা শুরু করেছে জান্তাবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর বিভিন্ন জোট যার বেশিরভাগই চীন সীমান্তের এলাকা। এতে করে বর্তমানে চীন সীমান্ত এলাকায় অস্থিরতাএ পাশাপাশি চীন-মিয়ানমারের সীমান্ত বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশপাশি চীনে বার্মিজ শরণার্থীদের ঢেউ আসার পরিস্থিতিও দেখা দিয়েছে।
২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বর্তমানে দেশের মধ্যেই নানা হুমকি ও সংকটের মধ্যে রয়েছে। এদিকে জান্তাবিরোদী এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে রাজনৈতিকভাবে মদদ দিচ্ছে মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জোট ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (নাগ)।
সশস্ত্র গোষ্ঠী টিএনএলএর এক নেতা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা শত্রুপক্ষের (সামরিক সরকার) সঙ্গে একটি চুক্তি করেছি। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ভবিষ্যতে আমরা আর শত্রুপক্ষের সেনাছাউনি বা তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলোতে হামলা চালাব না; আর বিপরীতে তারাও আমাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে বিমান ও বোমা হামলা থেকে বিরত থাকবে।’
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) এক ব্রিফিংয়ে মাও নিং জানান, চীনের দক্ষিণাঞ্চলী প্রদেশ ইউনানের রাজধানী কুনমিংয়ে গত বুধবার বৈঠক হয়েছে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স এবং জান্তা প্রতিনিধিদের মধ্যে। ওই বৈঠকের পর চুক্তি স্বাক্ষরে সম্মত হন দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা।
জান্তা এবং বিদ্রোহী উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরাই একমত হয়েছেন যে মিয়ানমার-চীন সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি তারা করবেন না। চীনও আশা করছে, মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ এই চুক্তিকে শিগগিরই বাস্তবায়নের পথে নিয়ে যাবে এবং সবাই সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করবে,’ ব্রিফিংয়ে বলেন মাও নিং।