পাকিস্তানের নির্বাচন-পরবর্তী সংকটে এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এরই মধ্যে জোট গঠনে একে অপরের সহযোগী হয়েছেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) দলের নেতা নওয়াজ শরিফ এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো।
তবে ক্ষমতা ভাগাভাগির আলোচনায় এখন পর্যন্ত নেই কারাবন্দি ইমরান খানের দল পিটিআই। তারা ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। এতে ইমরান খানের পিটিআই এবং তার সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০১টি আসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৫টি আসন এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৪টি আসন পেয়েছে।
এদিকে ডন বলছে, ৭৫ ও ৫৪ আসন নিয়ে নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও বিলওয়াল ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) নির্বাচনে পিছিয়ে থাকলেও জোট বেঁধে সরকার গঠনের দৌড়ে এগিয়ে আছে।
জোট গঠনে দুই দলের নেতাদের বৈঠকে পিপিপিকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, জাতীয় পরিষদের স্পিকার ও সিনেটের চেয়ারম্যান পদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে পিএমএল-এন।
কিন্তু পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর শর্তেই শুধু পিএমএল-এনের সঙ্গে পিপিপি সমঝোতায় রাজি হবে বলে জানিয়েছেন।
এদিকে ভোট কারচুপির অভিযোগে পাঞ্জাবের চকওয়ালের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করায় পিটিআই সমর্থিত দুই প্রার্থী ও তাদের ৩০০ সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
তবে সোমবার সমগ্র পাঞ্জাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করেছে পিটিআই। দলটির নেতা হাম্মাদ আজহার জানান, আজ কেবল রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের বাইরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হবে।