ব্রিটিশ জাহাজে হামলা ও মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি হুতিদের



ziaulziaa
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইয়েমেনের সশস্ত্র হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী বলেছে, তারা একটি ব্রিটিশ কার্গো জাহাজে হামলা চালিয়েছে। আল জাজিরা জানিয়েছে হুতিদের দাবি, তাদের হামলায় ব্রিটিশ জাহাজটির উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে।

এ ছাড়াও হুতিরা জানিয়েছে, তারা ইয়েমেনের আকাশে একটি মার্কিন ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে।

হুতিরা লোহিত সাগরের মধ্য দিয়ে যাওয়া বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যাহত করার পরে ওয়াশিংটনের সামরিক অভিযানের অংশ হিসাবে গত শনিবার গভীর রাতে ইয়েমেনে পাঁচটি হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে হামলা শুরুর পর মার্কিন ও ব্রিটিশ জাহাজগুলোতে তাদের হামলার বাড়িয়েছে হুতিরা।

এক টেলিভিশন ভাষণে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) হুতি সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, ‘আমাদের হামলার পর রুবিমার কার্গো জাহাজটি বিপর্যয়কর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে।’

সারি আরও বলেন, ‘ব্যাপক ক্ষতির ফলে জাহাজটির এডেন উপসাগরে সম্ভাব্য ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। হামলা চলাকালীন আমরা নিশ্চিত করেছিলাম যে, জাহাজের ক্রুরা নিরাপদে প্রস্থান করেছেন।’

ব্রিটিশ মেরিটাইম সিকিউরিটি সংস্থা অ্যামব্রে নিশ্চিত করেছে যে, বেলজিয়ামের পতাকাবাহী রুবিমার জাহাজটি যুক্তরাজ্য-নিবন্ধিত। জাহাজটি গত রবিবার গভীর রাতে হামলার শিকার হয়েছে।

ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনসও (ইউকেএমটিও) ওই হামলার ঘটনাটি নিশ্চিত করে জাহাজের নাম উল্লেখ না করেই জানিয়েছে, ‘জাহাজটি ইয়েমেনের আল-মাখা (মোচা) থেকে প্রায় ৩৫ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে হামলার শিকার হয়।’

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ‘জাহাজটি নোঙ্গর করা হয়েছে এবং এর সমস্ত ক্রু নিরাপদ রয়েছে। সাহায্য প্রদানের জন্য সামরিক কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে রয়েছে।’

অ্যামব্রে সোমবার জানিয়েছে, আরেকটি মার্কিন মালিকানাধীন এবং গ্রিসের পতাকাবাহী বাল্ক ক্যারিয়ার হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়েছে।

অন্যদিকে, ইয়েমেনে হামলা চালাতে পাঠানো যুক্তরাষ্ট্রের একটি এমকিউ-৯ রিপার ড্রোনকে ভূপাতিত করার দাবি করেছে হুতি সামরিক বাহিনী। হুতিদের দাবি, ওই ড্রোনের মূল্য ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি।

সোমবার হুথি সামরিক মুখপাত্র বলেছেন, তাদের বাহিনীর আক্রমণ অব্যাহত থাকবে।

ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, এটি তিনটি মোবাইল অ্যান্টিশিপ ক্রুজ মিসাইল, একটি সারফেস ড্রোন এবং একটি ডুবো ড্রোনের বিরুদ্ধে সফল হামলা চালিয়েছে। এটি বলেছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো হুথিরা একটি মানবহীন ডুবো জাহাজ ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিল।

সেন্টকম জানিয়েছে, তাদের এই পদক্ষেপগুলো ন্যাভিগেশনের স্বাধীনতাকে রক্ষা করবে এবং মার্কিন নৌবাহিনী ও বণিক জাহাজগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক জলসীমাকে আরও নিরাপদ ও নিরাপদ করে তুলবে।

   

রাশিয়ায় অফিস ভবনে আগুন লেগে ৮ জনের মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আটতলা কমপ্লেক্সে আগুন

আটতলা কমপ্লেক্সে আগুন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর ফ্রায়াজিনোতে অবস্থিত একটি বড় অফিস ভবনে আগুন লাগার ঘটনায় কমপক্ষে ৮ জন নিহত হয়েছেন। আঞ্চলিক গভর্নর অ্যান্ড্রে ভোরোবিয়ভ সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্ট দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বার্তাসংস্থা তাসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জরুরি বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন, মস্কো থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার (১৫ দশমিক ৫ মাইল) উত্তর-পূর্বের ফ্রায়াজিনোতে একটি ভবনে আগুন লাগার পর সেখান থেকে একজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ৩৪ বছর বয়সী এ ব্যক্তিকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তারা আরও বলেন,  আগুনে অফিস ভবনের ভেতরে বিভিন্ন জিনিস ধসে পড়ে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আগুন লাগার পর ভয়ে-আতঙ্কে জানালা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার কারণে আরও দুজন নিহত হয়েছেন।

জরুরি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন যে, আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে দুটি হেলিকপ্টার এবং ১৩০ জনের বেশি সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে। কিভাবে ওই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হলো সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। 

তবে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, ভবনটির সাততলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং পরে তা অন্যান্য ফ্লোরেও ছড়িয়ে পড়ে।

রাশিয়ার মালিকানাধীন ইলেকট্রনিক্স সংস্থা রুসেলেক্ট্রনিক্স জানিয়েছে, ভবনটি ১৯৯০ সাল থেকেই ব্যক্তিগত মালিকানাধীন হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। তবে বিরোধী মিডিয়া আউটলেটগুলো সাম্প্রতিক সময়ে জানিয়েছে, ২০২৩ সালের শেষের দিকেও ওই ভবনে প্লাটানের কার্যক্রম চলেছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ফুটেজে দেখা গেছে, আটতলা কমপ্লেক্সের ওপরের তলা থেকে প্রচুর ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে। ওই ভবনটি কি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছিল তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তাস নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক সময় এটি প্লাটান গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং প্রতিরক্ষা শিল্পের কাজে ব্যবহৃত হতো।

অ্যান্ড্রে ভোরোবিয়ভ জানিয়েছেন যে, প্রায় ৩০টি কোম্পানি ওই ভবনটিতে অফিস পরিচালনার জন্য জায়গা ভাড়া নিয়েছিল। অগ্নিকাণ্ডে ওই ভবনের দুই কর্মীর এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তারা বেঁচে আছেন কি না তাও নিশ্চিত নয়।

;

জাতিসংঘ সম্পর্কে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ গুতেরেসের 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আন্তোনিও গুতেরেস

আন্তোনিও গুতেরেস

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা ইস্যুতে জাতিসংঘ সম্পর্কে মিথ্যে ও ভুয়া তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। নাম উল্লেখ না করলেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধেই যে তিনি অভিযোগ তুলেছেন তা স্পষ্ট।

সোমবার (২৪ জুন) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গুতেরেস নিজে এই অভিযোগ তুলেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইসরায়েলের নাম উল্লেখ না করে মহাসচিব বলেন, একটি মহল সম্প্রতি গুজব ছড়াচ্ছে যে (গাজায় হামাস-ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধে) আমি কখনও হামাসের প্রতি ক্ষোভ বা নিন্দা জানাইনি। এমনকি আমাকে হামাসের সমর্থক বলে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তব সত্য হলো, গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত আমি কমপক্ষে ১০২ বার প্রকাশ্যে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে হামাসের নিন্দা জানিয়েছি। ৫১ বার জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে এবং বাকি ৫১ বার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।’

প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের জাতিসংঘ দূত গিলাদ এরদান সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে হামাসের প্রতি জাতিসংঘের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিলেন।

এরদান বলেছিলেন, ‘গুতেরেসের একমাত্র লক্ষ্য হলো হামাসকে টিকে থাকতে সাহায্য করা। সেক্রেটারি-জেনারেল জাতিসংঘের মান মেনে চলতে অস্বীকার করেন এবং সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনার বিকৃত ব্যাখ্যা দেন, যা আমরা নিন্দনীয় মনে করি। মহাসচিব সন্ত্রাসীদের একজন পৃষ্ঠপোষক এবং তার আজকেই পদত্যাগ করা উচিত।’

এরদানের এমন বক্তব্যের পর এবার আত্মপক্ষকে সমর্থন করে ইসরায়েলের গুজবকে উড়িয়ে দিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব।

উল্লেখ্য, ইসরায়েলের অভিযোগ, ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত কর্মীরা এই যুদ্ধের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট; কিন্তু জাতিসংঘ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অন্যদিকে জাতিসংঘের বক্তব্য, ইসরায়েল তার অভিযোগের পক্ষে প্রয়োজনীয় প্রমাণ দেখাতে না পেরে এসব গুজব ছড়াচ্ছে।

;

যুক্তরাজ্যে ২ সন্তানকে হত্যা করল মা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
এলিজাবেথ ও ইথান

এলিজাবেথ ও ইথান

  • Font increase
  • Font Decrease

সাত বছর বয়সী মেয়ে এলিজাবেথ এবং ১১ বছরের ছেলে ইথানকে হত্যা করে মা ভেরোনিক জন। হত্যার বিষয়টি নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়ে পুলিশকে জানিয়েছে ভেরোনিক।

হত্যার কারণ হিসেবে ভেরোনিক বলে, ‘আমি আমার বাচ্চাদের ভীষণ ভালোবাসি। আমি চাইনি বাচ্চারা আমার স্বামীর কাছে থাকুক।’

৯৯৯ এ ডায়াল করে অপারেটরকে জানায়, ‘আমি আমার দুটি বাচ্চাকে হত্যা করেছি।’

স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রায়াল-অফ-ফ্যাক্টস শুনানিতে প্রসিকিউটর পিটার গ্রিভস-স্মিথ বলেন, ভেরোনিক জন তার স্বামী নাথান জনকেও কাঠের টুকরো দিয়ে আঘাত করে বলে জানায়। নিজ স্বীকারোক্তিতে সে জানায়, ছেলে ইথানকে ২০ বারেরও বেশি  ছুরিকাঘাত করে সে এবং মেয়ে মাথায় আঘাত পায়।

নটিংহাম ক্রাউন কোর্টকে জানানো তথ্যমতে, দাম্পত্য কলহের জের ধরে সন্তানদের হত্যা করে মা ভেরোনিক জন।

;

গাজার ৭৫% আবাদি জমি ধ্বংস করেছে ইসরায়েল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
গাজা যুদ্ধের ধ্বংস-তাণ্ডব

গাজা যুদ্ধের ধ্বংস-তাণ্ডব

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরো-মেডিটেরেনিয়ান হিউম্যান রাইটসের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, গাজার অন্তত ৭৫ ভাগ আবাদি জমি ধ্বংস করেছে ইসরায়েল।

সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মানবাধিকার সংস্থা ইউরো-মেডিটেরেনিয়ানের তথ্যমতে, এসব জমির কিছু অংশ কথিত বাফার জোন হিসেবে অধিগ্রহণ করেছে। আর কিছু অংশ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে।

ইউরো-মেড বলেছে, গাজার ফিলিস্তিনি জনগণ যাতে দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে মৃত্যুবরণ করে মূলত সেই লক্ষ্যে কাজ করছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। স্থানীয়ভাবে খাদ্য উৎপাদনের সমস্ত ব্যবস্থা ধ্বংস করার পর ইসরায়েল গাজায় কোনো ধরনের খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা রাখেনি। এ ছাড়া, আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে যে সমস্ত ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর চেষ্টা হচ্ছে, তাতে বাধা সৃষ্টি করছে বর্বর দখলদার সেনারা।

ইউরো-মেড আরও জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি কৃষকদের উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে হত্যা করার ডকুমেন্ট রয়েছে তাদের হাতে। যেসব কৃষককে হত্যা করা হয়েছে তারা তাদের ক্ষেতে কাজ করছিলেন অথবা ফসলের ক্ষেতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

তাদের কাছে এমন সব ডকুমেন্ট রয়েছে যাতে, দেখা যায় ইহুদিবাদী সেনারা কৃষি খামার, গ্রিনহাউজ, পানির কূপ, পুকুর এবং অন্যান্য কৃষি সরঞ্জাম ধ্বংস করছে বলে জানায় ইউরো মেড।



;