নাভালনিকে মৃত্যুর পরও নির্যাতন করছেন পুতিন : ইউলিয়া
রাশিয়ার বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়া বলেছেন, তার স্বামীর মৃতদেহের উপরও নির্যাতন করেছে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ। সমাহিত করার জন্য স্বামীর লাশ হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন ইউলিয়া।
আল জাজিরা জানিয়েছে, ইউলিয়া প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে অর্থোডক্স খ্রিস্টান মূল্যবোধকে উপহাস করার এবং তার স্বামীর মৃতদেহকে নির্যাতন করার অভিযোগ করেছেন।
ইউলিয়া শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত একটি ভিডিওতে মস্কো কর্তৃপক্ষের প্রতি বলেছেন, ‘আমার স্বামীর মৃতদেহ বুঝিয়ে দিন।’
প্রসঙ্গত, লাভালনিকে ঐতিহ্যগত অর্থোডক্স অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া উপহার দিতে চেয়েছিলেন ইউলিয়া।
তিনি পুতিনকে একটি বার্তায় বলেন, ‘আপনি তাকে জীবিত নির্যাতন করেছেন এবং এখনও আপনি তার মৃতদেহের উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছেন। আপনি মৃতদের শেষটুকু নিয়েও উপহাস করেন।’
এদিকে নাভালনির মা লিউডমিলা নাভালনায়া বলেছেন, তদন্তকারীরা তাকে তার ছেলেকে গোপনে সমাহিত করার জন্য চাপ দিচ্ছে। অন্যদিকে রাশিয়ায় পুতিনবিরোধী গণমাধ্যম নোভায়া গেজেটার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্যারামেডিক বলেছিলেন, নাভালনির মরদেহ সালেখার্ড অঞ্চলের ক্লিনিক্যাল হাসপাতালে আনা হয়। মরদেহের মাথা ও বুকে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
তিনি বলেছিলেন, ‘যারা মরদেহটি নিয়ে এসেছিলেন তারা বলেছেন যে এমন আঘাত খিঁচুনির কারণে হতে পারে। লোকটির খিঁচুনি শুরু হলে তাকে শান্ত রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। এ সময় শরীরে আঘাত লাগে। বুকেও ছিল আঘাতের দাগ। এরপর সম্ভবত হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু ঘটে।’
রুশ কারা কর্মকর্তাদের মতে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রুশ আর্কটিকের নৃশংস কারাগার হিসেবে কুখ্যাত আইকে ৩-তে কিছুক্ষণ হাঁটার পর অসুস্থ হয়ে মারা যান ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত নাভালনি।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, এখনও ময়নাতদন্ত হয়নি। এ ছাড়া মস্কো থেকে দুটি অনির্ধারিত ফ্লাইট ১৭ ফেব্রুয়ারি সালেখার্ডে পৌঁছেছিল। সম্ভবত ময়নাতদন্ত বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এসেছিল সেই ফ্লাইট। গণমাধ্যমকর্মীরা আরও জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পৌঁছেছিল প্রথম বিমান। তদন্ত কমিটির গাড়িও তখন দেখা গেছে। দেড় ঘণ্টা পর পৌঁছেছে দ্বিতীয় বিমান।