‘হৃদপিণ্ড বরাবর এক ঘুষি মেরে নাভালনিকে হত্যা করা হয়’
রাশিয়ার বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনিকে হৃৎপিণ্ড বরাবর এক ঘুষি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন একজন মানবাধিকার কর্মী।
হত্যার ক্ষেত্রে এটি রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির একটি পুরানো পদ্ধতি বলে জানিয়েছেন তিনি।
এনডিটিভি জানিয়েছে মানবাধিকার গ্রুপ গুলাগু ডট নেটের প্রতিষ্ঠাতা ভ্লাদিমির ওসেচকিন নাভালনির কারাগারের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অফ লন্ডনকে বলেছেন, ‘এভাবে মানুষ হত্যা কেজিবির বিশেষ বাহিনীর একটি পুরানো পদ্ধতি। তারা তাদের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল একজন মানুষকে হার্টে একটি ঘুষি মেরে কীভাবে মেরে ফেলা যায়। এটি কেজিবির একটি বৈশিষ্ট্য ছিল।’
সোভিয়েত যুগের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিষেবা কেজিবি ছিল অনেক ভয়ঙ্কর। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৯১ সালের ৩ ডিসেম্বর সংস্থাটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। পরে এটি রাশিয়ায় ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (এসভিআর) নামধারণ করা হয় এবং এটি পরে ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) নাম ধারণ করে।
ওসেচকিন দাবি করেছেন যে, প্রাণঘাতী হামলার আগে ৪৭ বছর বয়সি নাভালনিকে তার শরীরকে দুর্বল করার জন্য কঠোর, সাবজিরো তাপমাত্রায় ঘন্টার জন্য বাইরে রাখা হয়েছিল।
কারাগারে কর্মরত একটি অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে ওসেচকিন বলেন, ‘আমি মনে করি যে, তারা প্রথমে তাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ঠান্ডায় বাইরে রেখে এবং রক্ত সঞ্চালনকে ন্যূনতমভাবে কমিয়ে দিয়ে তার শরীরকে অবসাদগ্রস্ত করেছিল। এতে করে কাউকে হত্যা করা খুব সহজ হয়ে যায়।’
একটি প্রতিবেদন অনুসারে একজন প্যারামেডিক বলেছেন, যারা কারাগারে মারা যায় তাদের মৃতদেহ সাধারণত সরাসরি ফরেন মেডিসিন ব্যুরোতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, নাভালনির লাশ কোনো কারণে একটি ক্লিনিকাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’
এদিকে, নাভালনির পরিবার এবং সমর্থকরা তাকে হত্যা করার জন্য পুতিনকে অভিযুক্ত করেছেন। যদিও এই অভিযোগ ক্রুদ্ধভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ক্রেমলিন।