লেবাননে হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লেবাননে হিজবুল্লাহর সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে নতুন করে বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। দেশটির সামরিক বাহিনীর প্রেস সার্ভিস সূত্রে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, তাদের সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) ফাইটার জেটগুলো লেবাননের তাইব, বেইত লিফ, সাদ্দিকিন এবং খিরবেত সেলম এলাকায় হিজবুল্লাহর সামরিক কম্পাউন্ড এবং সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে আঘাত হানে।’

অঅইডিএফ আরও বলেছে, ‘ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় আইতা অ্যাশ শাবের কাছে একটি সশস্ত্র গ্রুপ এবং একটি সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালায়।’

এদিকে, দিন যত যাচ্ছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি তত খারাপ হচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ করতে না দিলে আগামী দিনে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় হাজার হাজার শিশু মারা যাবে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, বর্তমানে গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে ৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ বা মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ দুর্ভিক্ষ থেকে এক ধাপ দূরে রয়েছে। একই সঙ্গে জাতিসংঘের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, কোনও ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া না হলে গাজায় দুর্ভিক্ষ ‘অনিবার্য’।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গাজায় খাদ্য সংকটের তীব্রতা এতোই বেশি যে অনেকে পশু খাদ্য খেয়ে বেঁচে আছেন। তেমনি একজন গাজার উত্তরাঞ্চলে বসবাস করা ইবতিসাম আল-কাহলুত। তিনি বলেন, পশুখাদ্য থেকে তৈরি রুটি খেয়ে তার দুই বছরের নাতি খালেদের মৃত্যু হয়েছে।

আরও বলা হয়, গাজার শিশুরা পশু-পাখির খাদ্য দিয়ে তৈরি তিতকুটে খাবার খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। কিন্তু সেই খাদ্যেও এখন টান পড়ছে। দুধের শিশুর মুখে খেজুর গুঁজে দিয়ে সন্তানকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছেন মা।

গাজায় উদ্বাস্তু হয়ে শরণার্থী শিবিরে ঠাঁই পাওয়া শিশু ও নারীদের বর্ণনায় উঠে এসেছে সেখানকার এই ভয়াবহ চিত্র। বিশেষ করে গাজার উত্তরাঞ্চলে খাদ্য সংকট খুবই প্রকট। কারণ, যুদ্ধ এবং নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতির কারণে সেখানে ঠিকমত পৌঁছাচ্ছে না ত্রাণ সরবরাহ।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা একটি বিশাল মানবিক বিপর্যয় এড়াতে অবিলম্বে গাজাজুড়ে খাদ্য ও খাবার পানি সরবরাহ করার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিট্যারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ইউএনওসিএইচএ)-এর কোঅর্ডিনেশন ডিরেক্টর রমেশ রাজাসিংহাম বলেছেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে ২ বছরের কম বয়সী প্রতি ছয় শিশুর মধ্যে এক শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার এবং ফিলিস্তিনি এ ভূখণ্ডের ২৩ লাখ মানুষই কার্যত বেঁচে থাকার জন্য ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে অপর্যাপ্ত’ খাদ্য সহায়তার ওপর নির্ভর করছে।

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ এবং সাহায্য গোষ্ঠীগুলো ‘গাজায় ন্যূনতম সহায়তা সরবরাহ পেতেও অপ্রতিরোধ্য বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। এর মধ্যে ক্রসিং বন্ধ, চলাচল এবং যোগাযোগের ওপর বিধিনিষেধ, কঠোর পরীক্ষা পদ্ধতি, অস্থিতিশীলতা, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা এবং অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের মতো বিষয় রয়েছে বলেও জানান তিনি।

   

রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের ৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনে শনিবার (২৭ এপ্রিল) ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে দেশটির চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত করেছে রাশিয়া। খবরটি রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন কিয়েভের কর্মকর্তারা।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উপর বড় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।

ওই হামলার কারণে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে এবং সারাদেশে ব্ল্যাকআউট এবং রেশনিং শুরু হয়েছে।

ইউক্রেনও দক্ষিণ রাশিয়ায় ৬০টিরও বেশি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে জানা গেছে।

মস্কো জানিয়েছে, রাতারাতি ড্রোন হামলার মধ্যে এটি বড় হামলা ছিল। ওই হামলায় কিয়েভের দুটি তেল শোধনাগার এবং একটি সামরিক বিমান ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনী তার নিয়মিত সকালের আপডেটে জানিয়েছে, ‘রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী ইউক্রেনে আরেকটি বড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।’

দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী জার্মান গালুশচেঙ্কো ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, ‘শত্রুরা আবারও দেশের জ্বালানি অবকাঠামোতে আক্রমণ করেছে। বিশেষ করে, ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক, ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক এবং লভিভ অঞ্চলে স্থাপনায় হামলা হয়েছে। সেখানে যন্ত্রপাতির ক্ষতি হয়েছে।’

লভিভ এবং ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক অঞ্চলগুলো ইউক্রেনের পশ্চিমে ইইউ সীমান্তে এবং ফ্রন্টলাইন থেকে কয়েকশ কিলোমিটার দূরে।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, মস্কো ৩৪টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার মধ্যে ২১টি গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।

কিয়েভ জানিয়েছে, মস্কো আকাশ এবং স্থল থেকে তার আক্রমণ বাড়াচ্ছে।

;

রাজনীতিতে আসছেন প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্ট



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজনৈতিক পরিবারের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও এতদিন তিনি সরাসরি অংশ নেননি রাজনীতিতে। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে একের পর এক ইঙ্গিত দিচ্ছেন গান্ধী পরিবারের জামাই রবার্ট বঢরা।

গান্ধী পরিবারের পারিবারিক আসন অমেঠী থেকে এবার কাকে প্রার্থী করা হবে, তা এখনও চূড়ান্ত করেনি কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতেই ভেসে বেড়াচ্ছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্টের নাম। ওই আসন থেকে লড়ে রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করতে চান তিনি, তা নিয়ে আগেই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন রবার্ট। তার দাবি, অমেঠী তাঁকে চায়।

এনডিটিভিকে রবার্ট বলেছেন, পুরো দেশ চায় তিনি যেন সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন।

রবার্টের ভাষ্যমতে, অমেঠীর বর্তমান সাংসদ স্মৃতি ইরানি তার প্রতিশ্রুতি রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই অমেঠী পরিবর্তন চাইছে। তিনি আরও বলেন, ‘সারা ভারত থেকে আওয়াজ আসছে। সবাই চান আমি সক্রিয় রাজনীতিতে আসিভ কারণ আমি সব সময় দেশের মানুষের মধ্যেই ছিলাম। আমি ১৯৯৯ সাল থেকে অমেঠীতে প্রচারণা চালিয়েছি।’

প্রিয়াঙ্কার স্বামী আরও দাবি করেন, দুই দফা নির্বাচনের পরে বলা চলে কংগ্রেস বিজেপির থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। তার মতে, ‘মানুষ পরিবর্তন চান। তারা বিজেপি থেকে পরিত্রাণ চান। বিজেপি কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে অপব্যবহার করছে। ভারতের মানুষ গান্ধী পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন। কারণ, তারা রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কার কঠোর পরিশ্রম দেখছেন রোজ।’

অমেঠী থেকে কংগ্রেস তাকে টিকিট দেবে কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়, তবে রবার্ট বারবারই দাবি করে আসছেন, সেখানকার মানুষ চাইছেন এবার ওই আসন থেকে তিনিই লড়ুন।

তিনি বলেন, ‘অমেঠী চায় গান্ধী পরিবারের একজন সদস্য এখানে আসুন। তাকে তারা বিপুল পরিমাণ ভোটে জেতাবেন। সেখানকার বাসিন্দারা এটাও আশা করেন যে, আমি যদি রাজনীতিতে প্রথম পা রাখি কিংবা সাংসদ হওয়ার কথা ভাবি তা হলে যেন অমেঠী থেকেই লড়ি।’

উল্লেখ্য, দুই দিন আগেই অমেঠীতে রবার্টের সমর্থনে কয়েকটি পোস্টার লাগানো হয়েছিল। সেখানে লেখা ছিল, ‘অমেঠীর মানুষ রবার্টকেই চায়।’

কংগ্রেসের জন্য অমেঠী খুবই গুরুত্বপূর্ণ আসন। কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি অমেঠীতে বরাবর গান্ধী পরিবারের কোনও না কোনও সদস্য প্রার্থী হয়েছেন এবং জিতেছেন। অতীতে এই আসন থেকে সঞ্জয় গান্ধী, রাজীব গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

২০১৯ সাল পর্যন্ত এই কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস জয় পেয়েছে। কিন্তু, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাহুলের বিরুদ্ধে এই আসনে জয় পান বিজেপির স্মৃতি ইরানি।

;

গুজরাটে পানি পুরি বিক্রি করছেন মোদি!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম দেখাতে হুট করে চমকেও উঠতে পারেন গুজরাটের এই পানি পুরির দোকানের মালিককে দেখে। দেখে মনে হতে পারে স্বয়ং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদি পানি পুরি বিক্রি করছেন!

বিষয়টা সত্যি না হলেও বোঝার উপায় নেই গুজরাটের আনন্দে তুলসী পানি পুরি দোকানের মালিক অনিল ভাই ঠক্করকে দেখে। স্থানীয়রা তাকে প্রধানমন্ত্রী মোদী হিসাবে ডাকেন। কারণ তার চুলের স্টাইল, সাদা দাড়ি এবং চেহারা প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে অনেকটাই মিলে যায়।


গুজরাটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই হুবহু রুপের মানুষটি পানি পুরি বিক্রি করেন, চলতি মাসের শুরুতে সাত পর্বের লোকসভা নির্বাচনের ভোট শুরু হওয়ার সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে তার ভিডিও।

ঠক্কর মূলত জুনাগড়ের বাসিন্দা এবং তিনি ১৮ বছর বয়স থেকে 'তুলসী পানি পুরি সেন্টার' পানি পুরি বিক্রি করছেন। দোকানটি তার দাদা শুরু করেছিলেন।

৭১ বছর বয়সী ঠক্কর জানান, তার দোকানের গ্রাহকরা প্রায়ই চেহারার কারণে তার সাথে সেলফি তুলেন।


তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে আমার সাদৃশ্য থাকার কারণে আমি স্থানীয় এবং পর্যটক উভয়ের কাছ থেকে অনেক ভালবাসা এবং সম্মান পাই"।

ঠক্কর বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর মূল্যবোধের দ্বারা গভীরভাবে অনুপ্রাণিত এবং যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপর জোর দেন, তেমনি তিনি তার স্টলটি অনবদ্যভাবে পরিষ্কার রাখেন।


মিস্টার ঠক্করই প্রধানমন্ত্রী মোদীর একমাত্র ডপেলগ্যাঞ্জার নন। মুম্বাইয়ের মালাড থেকে আসা বিকাশ মহন্তের সাথেও - প্রধানমন্ত্রীর মোদির সাথে অদ্ভুত মিল রয়েছে।

এই বছরের শুরুর দিকে, তাকে গর্ভা বাজানো দেখানো একটি ভিডিওকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ডিপফেক বলে ভুল করা হয়েছিল।

ভিডিওটির সত্যতা নিয়ে প্রাথমিকভাবে প্রশ্ন করা হয়েছিল, অনুমান করা হয়েছিল যে এটি একটি ডিপফেক হতে পারে। বিকাশ মহন্তে অবশ্য পরে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে তিনিই ভিডিওতে গর্ভা বাজিয়েছিলেন।

;

‘নাভালনিকে হত্যার নির্দেশ দেননি পুতিন’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আর্কটিক কারাগারে পুতিনবিরোধী রাজনীতিবিদ আলেক্সি নাভালনির রহস্যজনক মৃত্যুর নেপথ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে মন্তব্য করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা।

প্রায় ২ মাসের তদন্ত শেষে শনিবার (২৭ এপ্রিল) গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানায়, নাভালনি হত্যার নির্দেশ দেননি পুতিন। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

তবে, এই মার্কিন অনুসন্ধানকে নির্বোধ এবং হাস্যকর বলে অভিহিত করেছেন নাভালনির সিনিয়র সহযোগী লিওনিড ভলকভ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা শনিবার (২৭ এপ্রিল) জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে পুতিন সম্ভবত নাভালনিকে হত্যার নির্দেশ দেননি। তবে, নাভালনির মৃত্যুর জন্য পুতিনকে সামগ্রিক দায় থেকে অব্যাহতি দেয়নি সংস্থাটি। 

অন্যদিকে, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, অনুসন্ধানটি মার্কিন গোয়েন্দাদের দ্বারা ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালকের কার্যালয় এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা প্রতিবেদনটি শেয়ার করেছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল তার কয়েকটি সূত্রের মাধ্যমে জানিয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মূল্যায়নটি কিছু শ্রেণীবদ্ধ গোয়েন্দা তথ্য, নাভালনির মৃত্যুর সময়, মার্চ মাসে পুতিনের পুনঃনির্বাচন প্রক্রিয়া এবং জনসাধারণের তথ্যের বিশ্লেষণসহ বিভিন্ন তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ওই হত্যাকাণ্ডে মস্কোর জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে ক্রেমলিন। গত মাসে নাভালনির মৃত্যুকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করেছিলেন পুতিন।

পুতিন বলেছেন, নাভালনি যদি আর রাশিয়ায় থাকতে না চান তাহলে বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে কারাবন্দি নাভালনিকে পশ্চিমের হাতে তুলে দিতেও প্রস্তুত ছিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, ৪৭ বছর বয়সি নাভালনি ছিলেন পুতিনের কঠোর সমালোচক। তার সহযোগীরা তাকে হত্যা করার জন্য পুতিনকে অভিযুক্ত করে বলেছেন, তারা তাদের অভিযোগের সমর্থনে প্রমাণ দেবে।

;