মিয়ানমারে অস্ত্র, জ্বালানি ও বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বন্ধের আহ্বান

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান শুক্রবার (১ মার্চ) বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই মিয়ানমার জান্তার অস্ত্র, বিমানের জ্বালানি এবং বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বন্ধ করার জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে দেশটি তার জনগণের বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালাতে না পারে।’

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলকে উল্লেখ করে বলেন, ‘রোহিঙ্গাসহ দেশের সকল মানুষের বিরুদ্ধে নৃশংসতা প্রতিরোধে শক্তি পুনরায় প্রদর্শণ করার জন্য আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আমার আহ্বানের পুনরাবৃত্তি করছি।’

বিজ্ঞাপন

রয়টার্স জানিয়েছে তিনি বলেন, ‘দেশগুলোর উচিত অস্ত্র, জেট ফুয়েল এবং বৈদেশিক মুদ্রায় সেনাবাহিনীর প্রবেশাধিকার বন্ধ করা, যা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে দমন অভিযান অব্যাহত রাখতে তাদের প্রয়োজন।’

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকে মিয়ানমার অশান্তিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মুসলিম রোহিঙ্গারা বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে কয়েক দশক ধরে নিপীড়নের সম্মুখীন হয়েছে এবং তাদের মধ্যে প্রায় এক মিলিয়ন বাংলাদেশের সীমান্ত জেলা কক্সবাজারে বদ্ধ শিবিরে বসবাস করছে। এদের বেশিরভাগই ২০১৭ সালে সামরিক আগ্রাসনের ভয়ে পালিয়েছে।

রোহিঙ্গাদের বিদেশী নাগরিক হিসেবে দেখে এবং তাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করে মিয়ানমারের সামরিক শাসকরা।

তুর্ক আরও বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে নিয়মতান্ত্রিক বৈষম্য, নিপীড়ন, ব্যাপক জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি এবং অন্যান্য গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের পর রোহিঙ্গারা আজ মূলত গ্রাম এবং বন্দিশিবিরে বন্দী রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমার কার্যালয় একাধিক বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন পেয়েছে যে, সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা শত শত রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। মিয়ানমারে নিপীড়ন ও সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের আন্তর্জাতিক শরণার্থী সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আমি সমস্ত সদস্য রাষ্ট্রের কাছে আবেদন করছি।’