সিউল-ওয়াশিংটন যৌথ মহড়ার বিষয়ে সতর্ক করলো পিয়ংইয়ং
সিউল ও ওয়াশিংটনের যৌথ মহড়ার বিষয়ে সতর্ক করলো পিয়ংইয়ং
চলতি সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় বৃহৎ আকারের যৌথ সামরিক মহড়ার জন্য সিউল ও ওয়াশিংটনকে ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে বলে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছে উত্তর কোরিয়া।
রয়টার্স জানিয়েছে, একইসঙ্গে এই দুই মিত্র দেশের ‘উদ্বেগজনক মহড়া’ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে পিয়ংইয়ং।
উল্লেখ্য, পিয়ংইয়ং ইতিমধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়াকে তার ‘প্রধান শত্রু’ ঘোষণা করে দুই কোরিয়ার পুনঃএকত্রীকরণ ও প্রসারের জন্য নিবেদিত এজেন্সিগুলোকে বর্জন করেছে এবং এমনকি ০.০০১ মিলিমিটার আঞ্চলিক লঙ্ঘনের জন্য যুদ্ধের হুমকিও দিয়েছে।
এদিকে, পিয়ংইয়ং থেকে ক্রমাগত ক্রমবর্ধমান পরমাণু হুমকির প্রতিক্রিয়া জানাতে নিজেদের প্রস্তুতি বাড়াতে গতকাল সোমবার বার্ষিক বসন্ত সামরিক মহড়া শুরু করেছে ওয়াশিংটন এবং সিউল। এই মহড়াতে গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ সেনা অংশগ্রহণ করেছে।
উভয় দেশ জানিয়েছে, ‘ফ্রিডম শিল্ড নামের এই মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্র বাধাদান, বোমা হামলা, বিমান হামলা এবং সরাসরি গুলি চালানোর অনুশীলন করা হবে।’
উত্তরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুখপাত্র সিউল এবং ওয়াশিংটনকে এই ‘বেপরোয়া’ এবং ‘উন্মত্ত যুদ্ধ মহড়া’ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বেপরোয়া সামরিক মহড়ার তীব্র নিন্দা করে তাদেরকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছে পিয়ংইয়ংয়ের সামরিক বাহিনী।
পিয়ংইয়ংয়ের মুখপাত্র সরকারি কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সিকে (কেসিএনএ) দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘উস্কানি ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী পদক্ষেপগুলো বন্ধ করা উচিত।’
পিয়ংইয়ংয়ের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ‘এটি প্রতি মুহূর্তে তাদের নিরাপত্তার হুমকি সৃষ্টি করে। যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে বুঝতে হবে এই বাজে পছন্দের জন্য তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে।’
প্রসঙ্গত, উত্তর কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার নিন্দা করে আসছে। এগুলোকে আক্রমণের মহড়া বলে অভিহিত করেছে দেশটি।
এই ধরনের পূর্ববর্তী যৌথ মহড়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে অতীতে ব্যালিষ্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে পিয়ংইয়ং।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন গত মাসে পুনরাবৃত্তি করেছিলেন যে, পিয়ংইয়ং আক্রমণ করলে দক্ষিণ কোরিয়াকে শেষ করে দিতে দ্বিধা করবে না।
পাশাপাশি, পিয়ংইয়ং আক্রমণ করলে কঠোর প্রতিক্রিয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। তিনি তার সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, উসকানি দিলে ‘আগে ব্যবস্থা নিন, পরে রিপোর্ট করুন।’