ফ্রান্সে সাংবিধানিক স্বীকৃতি পেল গর্ভপাত
গর্ভপাতকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ফ্রান্স সরকার। রয়টার্স জানিয়েছে, বিশ্বে ফ্রান্সই প্রথম দেশ, যারা গর্ভপাতকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিল।
গর্ভপাতের বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করার জন্যে সোমবার (৪ মার্চ) দেশটির সংবিধানে একটি সংশোধনীও আনা হয়েছে।
দেশটির ৭৮০ জন আইনপ্রণেতা পার্লামেন্টে ওই সংবিধান সংশোধনী বিলের পক্ষে ভোট দেন। আর বিলটির বিপক্ষে ভোট দেন ৭২ জন আইনপ্রণেতা। ফলে বিলটি কন্ঠভোটে পাস হয়।
ভোটাভুটির ফলাফল ঘোষণার সময় দাঁড়িয়ে করতালির মাধ্যমে ঐতিহাসিক মুহূর্তটিকে স্বাগত জানান আইনপ্রণেতারা।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এই উদ্যোগকে ‘ফরাসী গর্ব’ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এর মধ্য দিয়ে গর্ভপাতের ক্ষেত্রে নারীদের অধিকারের বার্তা পৌঁছাল বিশ্বজুড়ে।’
আগামী ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে এই পদক্ষেপকে উদযাপন করবে প্যারিস।
পার্লামেন্টে বিল পাস হওয়ার পর প্যারিসের আইফেল টাওয়ার আলোকিত করে এক বার্তা ভেসে ওঠে। ওই বার্তায় লেখা ছিল, ‘শরীর আমার, সিদ্ধান্তও আমার।’
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সাল থেকেই ফ্রান্সে গর্ভপাত বৈধ। তবে দেশটির মানুষ অনেক দিন ধরেই এর সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে আসছিলো।
বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, ফ্রান্সের প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ মনে করে, গর্ভপাত করাবে কি-না এটা একান্তই একজন নারীর সিদ্ধান্ত। আর নারীর এই অধিকার সংরক্ষণ করতে সংবিধানে সংশোধন আনা প্রয়োজন।
এই কারণে দেশটিতে ১৯৫৮ সালে প্রণীত সংবিধানে ২৫তম সংশোধনী আনা হলো। এর আগে সর্বশেষ ২০০৮ সালে দেশটির সংবিধান সংশোধন করা হয়েছিল।