আফগান জাদুঘরে প্রত্নবস্তুর পাশে রকেট লঞ্চার ও বোমা!
আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরীফ জাদুঘরে প্রাচীন কুরআন এবং প্রাচীন আফগান মুদ্রার পাশাপাশি প্রদর্শিত হচ্ছে বিদেশী সেনাদের বিরুদ্ধে তালেবানের বিজয়ের প্রমাণ হিসাবে রকেট লঞ্চার এবং ঘরে তৈরি বোমাগুলি ।
জাদুঘরের পরিচালক আবদুল কাইয়ুম আনসারি বলেন, ‘এর কোনো পুরানো ইতিহাস নেই, তবে সবই বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এর ব্যতিক্রমী অর্থ রয়েছে।’
উত্তর মাজার-ই-শরিফ শহরের বিখ্যাত ব্লু মসজিদের এক কক্ষের বালখ প্রদেশের যাদুঘরের ভেতরে ২০২১ সালে তালেবানের দুই দশকের বিদ্রোহের সমাপ্তির স্মৃতিচিহ্নের জন্য দুটি জায়গা উৎসর্গ করা হয়েছে।
আনসারি জোর দিয়ে বলেন, ‘এই প্রদর্শনগুলোর ছবি তোলা বা ভিডিও ধারণ করা নিষেধ।’
তিনি আরও বলেন, এই জাদুঘর পরিদর্শন করার জন্য তারা দুই বছরেরও বেশি সময় পরে এএফপি দলকে অনুমতি দিয়েছেন।
জাদুঘরটিতে মাটির এবং চীনামাটির বাসনে রাখা হয়েছে হলুদ ব্যারেল বিস্ফোরক। এর পাশে একটি লাল হোন্ডা মোটরবাইকের পাশে একটি কাচের বাক্সে আবদ্ধ রয়েছে একটি রকেট চালিত গ্রেনেড লঞ্চার।
জাদুঘরটির তত্ত্বাবধায়ক বলেন, ‘যুদ্ধের সময় মোটরবাইকটি মুজাহিদিনদের (যোদ্ধাদের) পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হতো, রকেট চালিত গ্রেনেড লঞ্চারটি ট্যাঙ্কের মতো যুদ্ধের অস্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, মুষ্টিমেয় আফগান পুরুষ ওই সব অস্ত্র পরিদর্শন করেছে।
কিন্তু আনসারির ভাষ্য মতে, ‘জাদুঘরের ছোট অংশে যুদ্ধের জিনিসপত্র রাখা হয়েছে। সেখানেই সবচেয়ে বেশি দর্শক।’
তিনি বলেন, ‘তালেবান কর্তৃপক্ষ এই ব্যতিক্রমী জাদুঘরটি হোক সেটা চেয়ে ছিলেন। জনসাধারণের আগ্রহের কারণে আরও অনেক কক্ষ অন্যান্য যুদ্ধকালীন বস্তু দিয়ে পূর্ণ করা হতে পারে।’
আনসারি বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ কেন যুদ্ধকালীন সংগ্রহগুলোর দেখাতে অনিচ্ছুক তা স্পষ্ট নয়। আমার ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে এটির ছবি তোলা উচিত। এটি পুরো বিশ্বকে এবং আমাদের জনগণকে অবশ্যই দেখাতে হবে।’