মালয়েশিয়ায় বন্দুকযুদ্ধে বাংলাদেশি নিহত
মালয়েশিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যো ১ জন বাংলাদেশি ও ২ জন ভিয়েতনামের নাগরিক।
সোমবার (১১ মার্চ) রাতে এই সংঘর্ষ ঘটে। নিহতরা মালয়েশিয়ার বিভিন্ন স্থানে গত কয়েক মাস ধরে ডাকাতি করে আসছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে গত ১০ মাসে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন রাজ্যে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি করে প্রায় আড়াই কোটি টাকার সম্পদ কেড়ে নিয়েছে এই চক্রটি। গত সোমবার রাতেও তারা পেকান শহরে তাদের সপ্তম ডাকাতির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছিল। তবে বন্দুকযুদ্ধে মারা যাওয়ায় সেটি আর হয়নি বলে দাবি করেছে স্থানীয় পুলিশ।
পাহাং পুলিশের প্রধান দাতুক সেরি ইয়াহায়া ওথমান জানান, নিহত তিনজন একটি গাড়িতে ছিল। টহলরত পুলিশ সদস্যরা গাড়িটি চেক করতে কাছে গেলে তারা জালান পেকান-কুয়ান্তান হাইওয়ের দিকে মোড় নিয়ে পালিয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত গতির টহল গাড়ি নিয়ে তাদের ধাওয়া করা হলে তারা গাড়িসহ আটকা পরে। এমন সময় গাড়িটিকে চেক করতে গেলে দুষ্কৃতকারীরা তাদের গাড়ি থেকে গুলি ছুড়তে থাকেন।
ইয়াহায়া জানান, পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য গুলি ছুড়তে বাধ্য হন এবং সেখানে গাড়িতে থাকা তিনজন অপরাধীর মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ ডাকাতদের গাড়ি থেকে গ্লক ১৭ পিস্তল, ৬টি বুলেট, ১টি ম্যাগাজিন ও তিনটি বুলেটের খোসা উদ্ধার করে।
প্রাথমিক যাচাইতে দেখা যায় এই দুবৃত্তরা পাহাং, সেরামবান, পেরাকসহ কয়েকটি জেলার স্বর্ণের দোকানে নিয়মিত ডাকাতি করে আসছিল৷
তিনি বলেন, নিহতদের বয়স ৩৫ থেকে ৪৪ বছর। ধারণা করা হচ্ছে এই দলের প্রধান ছিলেন নিহত বাংলাদেশি। এই দুর্বৃত্তরা দীর্ঘ ছুটি বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোকে ডাকাতির জন্য ব্যবহার করতেন।