ইউক্রেনের হয়ে ড্রোন উৎক্ষেপণ, মস্কোতে রাশিয়ার নাগরিক আটক
রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) শুক্রবার (১৫ মার্চ) জানিয়েছে, রাশিয়ার একজন নাগরিককে মস্কোতে রাষ্ট্রদ্রোহের সন্দেহে আটক করা হয়েছে।
এফএসবি’র দাবি, আটককৃত ব্যক্তি ইউক্রেনের পক্ষে ড্রোন একত্রিত ও উৎক্ষেপণের কথা স্বীকার করেছে। যদিও ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেনি মস্কো।
এফএসবি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ওই ব্যক্তি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অবকাঠামোর আশেপাশে মনুষ্যবিহীন আকাশযান উৎক্ষেপণ করেছিল।’
বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স এফএসবি কর্তৃক প্রকাশিত একটি ভিডিওর উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি ইউক্রেনপন্থী রাশিয়ার নির্বাসিতদের দল ‘ফ্রিডম অফ রাশিয়া লিজিয়ন’-এর হয়ে কাজ করছিল।
উল্লেখ্য যে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়ার অভ্যন্তরে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর বিরুদ্ধে হামলা বাড়িয়েছে কিয়েভ। এরই মধ্যে রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল শোধনাগারে সফল ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।
এদিকে, রাশিয়ায় প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) থেকে শুরু হওয়া এ ভোট চলবে রবিবার (১৭ মার্চ) পর্যন্ত। এতে সব ভোটারকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শাসনকে আরও ছয় বছর দীর্ঘায়িত করার জন্য শুক্রবার থেকে তিন দিনব্যাপী প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে ।
২০০০ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে রাশিয়ার ক্ষমতায় রয়েছেন পুতিন। এবারের নির্বাচনেও তিনিই জয়ী হবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এর আগে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেন, 'আমাদের এখন ঐক্যবদ্ধ ও সংঘবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। আপনাদের দেওয়া প্রতিটি ভোটই মূল্যবান। আগামী তিন দিন আপনাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আহ্বান জানাচ্ছি।'
এ ছাড়াও এক ভিডিও বার্তায় পুতিন বলেছেন, 'জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য সব ভোটার একটি শক্তিশালী, সমৃদ্ধ এবং স্বাধীন রাশিয়াকে দেখতে চায়। আর তা ভোট প্রয়োগের মাধ্যমেই সম্ভব।'
এদিকে রাশিয়া- ইউক্রেন সংঘাতের মধ্যেই রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে ভোট দিচ্ছেন সেখানকার নাগরিকরা।
এবারের নির্বাচনে পুতিন ছাড়াও আর তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যদিও তাদের কেউই পুতিনের সমালোচনা করেননি। একাধিক মতামত জরিপে পুতিনকে অধিকাংশ রাশিয়ান নাগরিকের সমর্থন পেতে দেখা যায়।