নির্বাচনে হেরে সামরিক অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করেছিলেন বলসোনারো
ব্রাজিলের সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধানরা তদন্তকারী পুলিশদের বলেছেন, দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো ২০২২ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পরে সম্ভাব্য অভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনা করার জন্য তাদের দুই বার বৈঠকে ডেকেছিলেন।
ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টে শুক্রবার (১৫ মার্চ) এ সংক্রান্ত মামলার সাবেক কমান্ডাররা ওই সাক্ষ্য দেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।।
ব্রাজিলের সাবেক কমান্ডাররা বলেছেন, সামরিক আইন ঘোষণা করে বামপন্থী প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার ক্ষমতায় আসা বন্ধ করার চক্রান্ত করেছিলেন বলসোনারো।
এদিকে, সাক্ষ্য ও প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনে পরাজয়ের পরে তার অভ্যুত্থানের চেষ্টাকে কখনও স্বীকার করেননি বলসোনারো।
নির্বাচনের পরাজয়ের পরে লুলার হাতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব হস্তান্তর এড়াতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। পরের দিন তার সমর্থকেরা একটি অভ্যুত্থান উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করে সরকারি ভবনে হামলা চালায়।
এ বিষয়ে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধের তাৎক্ষণিক জবাব দেননি বলসোনারোর আইনজীবীরা।
জবানবন্দিতে সাবেক সেনা কমান্ডার মার্কো আন্তোনিও ফ্রেয়ার গোমস এবং বিমান বাহিনীর কমান্ডার কার্লোস ডি আলমেদা ব্যাপটিস্তা বলেছেন, তারা দুজনেই বলসোনারোকে বলেছিলেন যে, তারা তার অভ্যুত্থানের পরিকল্পনাকে সমর্থন করবেন না।
ফ্রেয়ার গোমস ও কার্লোস ডি আলমেদা ব্যাপটিস্তা উভয়ই বলেছেন, অভ্যুত্থানের পরিকল্পনায় নৌবাহিনীর কমান্ডার আলমির গার্নিয়ার সান্তোস জড়িত ছিলেন।
বেশ কয়েকটি বৈঠকে সামরিক বিদ্রোহে বলসোনারোকে সমর্থন করতে তিনি প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন।
এই দুই সামরিক কমান্ডার ছাড়াও পুলিশের কাছে আরও তিনজন সাক্ষীর জবানবন্দি রয়েছে, যারা অভ্যুত্থানের চেষ্টার পিছনে প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে বলসোনারোকে সরাসরি দায়ী করেছেন।